কিমের চীন সফর: পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে সম্মত উত্তর কোরিয়া
অবশেষে
পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে কোরিয়া উপদ্বীপকে
পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের অঙ্গীকার করেন তিনি। চীনের পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
বৈঠকে কিম জং উন বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের নেয়া উদ্যোগের প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালে বিষয়টির নিষ্পত্তি হতে পারে। নিজের পিতা ও দাদার ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে কিম বলেন, ‘প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কিম ইল সাং ও কিম জং ইলের ইচ্ছা অনুযায়ী আমরা এই উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যদি আমাদের এই প্রচেষ্টার প্রতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখায়, তাহলে কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ সম্ভব।’ এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন কিম।
এর আগে রোববার কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে সস্ত্রীক চীন সফর করেন কিম জং উন। পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রেখে সবুজ রঙের বিলাসবহুল ট্রেনে চড়ে বেইজিং পৌঁছান তিনি। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে বুধবার বিকালে বেইজিং ছেড়ে যান তিনি। উত্তর কোরিয়ার নেতার চারদিনের চীন সফরের বিষয়ে কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেও এই বিষয়ে নীরব থাকে দু’দেশ। কয়েক দিনের লুকোচুরির পর অবশেষে দুই দেশই সফরের বিষয়টি প্রকাশ করে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম কোনো বৈদেশিক সফরে গেলেন কিম জং। ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিতেই অকস্মাৎ চীন সফর করলেন কিম। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে কিমের সফরকে ‘অনির্ধারিত’ উল্লেখ করা হয়েছে। চারদিনের সফরে বেইজিংয়ের গ্রেট হলে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন কিম। কিম ও তার স্ত্রী রি সল জু’কে সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার মুখপাত্র বাইক তায়ে হিউন বলেন, দুই কোরিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেছেন শি জিনপিং ও কিম জং। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, দুই কোরিয়ার সম্মেলন ও ট্রাম্প-কিমের বৈঠককে সামনে রেখে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয়টি কোরিয়া উপদ্বীপের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে।’ তবে উত্তর কোরিয়ার বার্তা সংস্থা কেসিএনএ’র খবরে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের অঙ্গীকারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে, কিম জংয়ের সফরের বিষয়ে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেছে চীন। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে একটি ‘ব্যক্তিগত বার্তা’ পাঠিয়েছেন শি জিনপিং। তবে ওই বার্তার বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু বলেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, কিম জংয়ের পূর্বসূরি পিতা কিম জং ইল ও দাদা কিম ইল সাং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু গোপনে নিজেদের পারমাণবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখে দেশটি। ২০০৬ সালে কিম জং ইলের শাসনামলে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক বন্ধের আহ্বান জানায় দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বিপরীতে দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানায় উত্তর কোরিয়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, পূর্বপুরুষের হাতে কয়েক দশক ধরে গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে কিমের আগ্রহ অবিশ্বাস্য। তাদের ধারণা, আগ্রহ প্রকাশ করলেও প্রকৃতপক্ষে উত্তর কোরিয়া এখনো নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
বৈঠকে কিম জং উন বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের নেয়া উদ্যোগের প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালে বিষয়টির নিষ্পত্তি হতে পারে। নিজের পিতা ও দাদার ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে কিম বলেন, ‘প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কিম ইল সাং ও কিম জং ইলের ইচ্ছা অনুযায়ী আমরা এই উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যদি আমাদের এই প্রচেষ্টার প্রতি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখায়, তাহলে কোরিয়া উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ সম্ভব।’ এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন কিম।
এর আগে রোববার কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে সস্ত্রীক চীন সফর করেন কিম জং উন। পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রেখে সবুজ রঙের বিলাসবহুল ট্রেনে চড়ে বেইজিং পৌঁছান তিনি। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে বুধবার বিকালে বেইজিং ছেড়ে যান তিনি। উত্তর কোরিয়ার নেতার চারদিনের চীন সফরের বিষয়ে কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলেও এই বিষয়ে নীরব থাকে দু’দেশ। কয়েক দিনের লুকোচুরির পর অবশেষে দুই দেশই সফরের বিষয়টি প্রকাশ করে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম কোনো বৈদেশিক সফরে গেলেন কিম জং। ধারণা করা হচ্ছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিতেই অকস্মাৎ চীন সফর করলেন কিম। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে কিমের সফরকে ‘অনির্ধারিত’ উল্লেখ করা হয়েছে। চারদিনের সফরে বেইজিংয়ের গ্রেট হলে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন কিম। কিম ও তার স্ত্রী রি সল জু’কে সেখানে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার মুখপাত্র বাইক তায়ে হিউন বলেন, দুই কোরিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেছেন শি জিনপিং ও কিম জং। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, দুই কোরিয়ার সম্মেলন ও ট্রাম্প-কিমের বৈঠককে সামনে রেখে চীন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয়টি কোরিয়া উপদ্বীপের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে।’ তবে উত্তর কোরিয়ার বার্তা সংস্থা কেসিএনএ’র খবরে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের অঙ্গীকারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে, কিম জংয়ের সফরের বিষয়ে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেছে চীন। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে একটি ‘ব্যক্তিগত বার্তা’ পাঠিয়েছেন শি জিনপিং। তবে ওই বার্তার বিষয়বস্তু নিয়ে কিছু বলেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, কিম জংয়ের পূর্বসূরি পিতা কিম জং ইল ও দাদা কিম ইল সাং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু গোপনে নিজেদের পারমাণবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখে দেশটি। ২০০৬ সালে কিম জং ইলের শাসনামলে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক বন্ধের আহ্বান জানায় দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বিপরীতে দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানায় উত্তর কোরিয়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, পূর্বপুরুষের হাতে কয়েক দশক ধরে গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে কিমের আগ্রহ অবিশ্বাস্য। তাদের ধারণা, আগ্রহ প্রকাশ করলেও প্রকৃতপক্ষে উত্তর কোরিয়া এখনো নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
No comments