এসিডে ঝলসে দিলো গৃহবধূকে
পাওনা
টাকার জের ধরে শিরীন আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মুখমণ্ডল এসিড দিয়ে ঝলসে
দেয়া হয়েছে। শনিবার সকালে পটুয়াখালী ডিসি স্কয়ার মঞ্চ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা
ঘটে। আহত শিরীন বর্তমানে পটুয়াখালী মহিলা সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন
রয়েছেন। বরগুনা জেলার গাবতলী গ্রামের বাসিন্দা আবু তালেব মিয়ার স্ত্রী এই
শিরীন। শিরীন আক্তারের ছেলে রাহাত জানান, তার মা দীর্ঘ চার মাস ফরিদপুর
আটরশি পীরের মাজারে কাজ করে আসছিলেন। কিছুদিন আগে রাহাতের বড় চাচা আবদুল
লতিফ তার মাকে ফোনে বলে-আমি তোমার পাওনা টাকা দিয়ে দেবো। পটুয়াখালী
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোমার দায়ের করা মামলাটি উঠিয়ে নেবে। শিরীন এতে রাজি
হয়। এই বলে শিরীনকে মাজার শরীফ থেকে তার ভাসুর আবদুল লতিফ ও তার ছেলে ইমরান
এবং দুঃসম্পর্কের চাচাতো ভাই নজরুল একই বাসে ফরিদপুর থেকে পটুয়াখালীতে
শনিবার সকালে নিয়ে আসে। পরে তাকে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের
পূর্ব পাশে ডিসি স্কয়ার মাঠে নিয়ে এসিড জাতীয় দ্রব্য মুখে নিক্ষেপ করে
পালিয়ে যায়। পরে এসিড নিক্ষেপকারীরা শিরীনের ছেলে রাহাতকে ফোন করে তার
মায়ের অবস্থার কথা জানায় এবং সতর্ক হতে হুমকি দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে রাহাত
তার মাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের মহিলা বিভাগের শিফট ইনচার্জ তানিয়া আক্তার জানান, রোগী বর্তমানে আশংকা মুক্ত, তবে তার দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দরকার। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তির ছেলে ইমরানের সঙ্গে ০১৭৩০৪৭৫১২৯ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এর কিছুই জানি না।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি তদন্ত আবুল বাশার জানান, খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাসপাতালের মহিলা বিভাগের শিফট ইনচার্জ তানিয়া আক্তার জানান, রোগী বর্তমানে আশংকা মুক্ত, তবে তার দ্রুত উন্নত চিকিৎসা দরকার। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তির ছেলে ইমরানের সঙ্গে ০১৭৩০৪৭৫১২৯ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা এর কিছুই জানি না।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি তদন্ত আবুল বাশার জানান, খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments