‘দ্য পলিটিক্স অ্যান্ড ল’ অব ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশন’ গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন
‘দ্য
পলিটিক্স অ্যান্ড ল’ অব ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশন: কেয়ারটেকার গভর্মেন্ট ইন
বাংলাদেশ’- গ্রন্থটির পাঠ উন্মোচন হয়েছে। ড. সোনিয়া জামান খান রচিত এই
বইটির পাঠ উন্মোচনে অংশ নেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনসহ আইনজগতের
অনেকেই। শুক্রবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে
গ্রন্থটির পাঠ উন্মোচন হয়। বৃটিশ প্রকাশনা সংস্থা রাটলেজ ‘দ্য পলিটিক্স
অ্যান্ড ল’ অব ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশন: কেয়ারটেকার গভর্মেন্ট ইন বাংলাদেশ’-
গ্রন্থটি প্রকাশ করে। ভারতের নিউ দিল্লি ও বাংলাদেশের ঢাকার পরে পাঠ
উন্মোচন হবে লন্ডনে। সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৯টা
পর্যন্ত চলে। গ্রন্থটিতে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইতিহাস, রাজনৈতিক
ও আইনি প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে। এই বইয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মূল
কার্যক্রম, অস্থায়ীভাবে সরকার পরিচালনা ও প্রস্থানসহ এর বিভিন্ন কার্যক্রম
প্রাসঙ্গিকভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সাংবিধানিক এই
পদ্ধতি কি আসলেই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জন্য
গুরুত্বপূর্ণ কিনা। আলোচনাপর্বে গ্রন্থটি নিয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল
হোসেন, বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল (অব.) এম. সাখাওয়াত হোসেন, দৈনিক এশিয়ান এজ-এর সম্পাদক সৈয়দ বদরুল
আহসান কথা বলেন। এই বইটি একটি গ্রহণযোগ্য ও রেফারেন্স গ্রন্থ হিসেবে কাজে
লাগবে বলে আলোচকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। স্বাগত বক্তব্যে ড. সোনিয়া জামান
খান তার বই সম্পর্কে বলেন. অপেক্ষাকৃত নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে
অবিশ্বাস, দুর্বল শাসনব্যবস্থা, নির্বাচনী ম্যানিপুলেশন এবং একটি অদ্ভুত
সামাজিক-রাজনৈতিক ইতিহাসের বিদ্যমান সংস্কৃতির কারণে বাংলাদেশ গুরুতর
সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। ফলে ক্ষমতার পালাবদলের জন্য নিরপেক্ষ ও অনির্বাচিত
বিশেষ ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের’ উদ্ভব ঘটেছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের
আইনজীবী সোনিয়া জামান বলেন, এই বইটিতে সরকারের তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ব্যবস্থার একটি প্রাসঙ্গিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেশের সবগুলো
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সৃষ্টি ও এর সাংবিধানিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোকপাত করা
হয়েছে। অনুষ্ঠানে আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, সাবেক আইজিপি নূরুল হুদা, সাবেক
রাষ্ট্রদূত শামসুজ্জামান, প্রফেসর শাহনাজ হুদাসহ সূধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
No comments