তালেবানদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল গঠন করতে চান গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার
পর্যবেক্ষকরা
বলছেন, এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিমান হামলা, ধরপাকড় ও গ্রেফতার এড়াতে
তালেবানদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল গঠনে গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের প্রচেষ্টা থেকে
বোঝা যায়, তিনি প্রাদেশিক, জাতীয় পরিষদ এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার
লক্ষ্যে পশতুন জনগোষ্ঠীর সমর্থন লাভের জন্য এ ঘোষণা দিয়েছেন বলে মনে করা
হচ্ছে। তালেবানদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল গঠনের ব্যাপারে গুলবুদ্দিনের বক্তব্য
আফগানিস্তানে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
আফগান প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আশরাফ গণি ভেবেছিলেন, গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সইয়ের পর পাশতুনদের মধ্যে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে পারবেন যাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের জেতার সম্ভাবনা তৈরি হয়। প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি আরো আশা করেছিলেন, হেকমতিয়ারের সঙ্গে শান্তি স্থাপন অন্যান্য মিলিশিয়া গ্রুপ বিশেষ করে তালেবানের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। কিন্তু হেকমতিয়ার কাবুলে প্রবেশের প্রথম থেকেই আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ ও প্রতিবেশীদের ব্যাপারে নানা বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। আফগানিস্তানের কয়েকটি প্রদেশে পাশতুন জনগোষ্ঠীর বসবাস এবং এসব অঞ্চলে তালেবানদের বেশ প্রভাব রয়েছে।
আফগানিস্তানের হেজবে ইসলামি দলের প্রধান গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার নিজেকে দলমত নির্বিশেষে সব কিছু ঊর্ধ্বে বলে দেখানোর চেষ্টা করছেন যাতে শান্তি প্রক্রিয়ায় তিনি ভূমিকা রাখতে পারেন। রাজনৈতিক বিষয়ক বিশ্লেষক লিয়াকত আলী আমিনি বলেছেন, আফগান সরকারের শান্তি প্রক্রিয়ায় হেকমতিয়ার শামিল হওয়ার পর আশা করা হচ্ছিল তিনি তালেবানদেরকেও সরকারের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শামিল করতে এবং দেশটির নিরাপত্তা রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবেন। কিন্তু সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বরং নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ তিনি ভাষা, দলীয় ও গোত্রীয় বিভেদকে আরো বাড়িয়ে তুলেছেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, হেকমতিয়ার আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানালেও তার দলের বর্তমান কর্মকাণ্ড ও নীতিমালা সন্দেহজনক। কারণ হেজবে ইসলামি দলের পক্ষ থেকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে দেশটির বিচারমন্ত্রণালয়ে দলটির নেতা আব্দুল হাদি আরগান্দিওয়ালের নাম রেকর্ড করা আছে। সুতরাং গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে হলে মন্ত্রণালয়ে তার নাম রেকর্ড করতে হবে। যদিও তিনি এ ধরণের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন কিন্তু আফগান রাজনৈতিক মহল মনে করেন, বিচারমন্ত্রণালয়ের উচিত রাজনৈতিক অঙ্গনে হেকমতিয়ারের কর্মকাণ্ড ও অবস্থানের বিষয়টি স্পষ্ট করা।
যাইহোক, আফগান সরকারের শান্তি প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালনকারী হেকমতিয়ার তালেবানকে আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তি প্রক্রিয়ায় শামিল করার জন্য সর্বোচ্চ শান্তি পরিষদকে উৎসাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু তার এ প্রস্তাব পরিস্থিতিকে আরো জটিল করেছে। কারণ তালেবানরা এখন হেকমতিয়ারকেও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মানতে রাজি হচ্ছে না।
আফগান প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আশরাফ গণি ভেবেছিলেন, গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সইয়ের পর পাশতুনদের মধ্যে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে পারবেন যাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের জেতার সম্ভাবনা তৈরি হয়। প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণি আরো আশা করেছিলেন, হেকমতিয়ারের সঙ্গে শান্তি স্থাপন অন্যান্য মিলিশিয়া গ্রুপ বিশেষ করে তালেবানের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। কিন্তু হেকমতিয়ার কাবুলে প্রবেশের প্রথম থেকেই আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ ও প্রতিবেশীদের ব্যাপারে নানা বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। আফগানিস্তানের কয়েকটি প্রদেশে পাশতুন জনগোষ্ঠীর বসবাস এবং এসব অঞ্চলে তালেবানদের বেশ প্রভাব রয়েছে।
আফগানিস্তানের হেজবে ইসলামি দলের প্রধান গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার নিজেকে দলমত নির্বিশেষে সব কিছু ঊর্ধ্বে বলে দেখানোর চেষ্টা করছেন যাতে শান্তি প্রক্রিয়ায় তিনি ভূমিকা রাখতে পারেন। রাজনৈতিক বিষয়ক বিশ্লেষক লিয়াকত আলী আমিনি বলেছেন, আফগান সরকারের শান্তি প্রক্রিয়ায় হেকমতিয়ার শামিল হওয়ার পর আশা করা হচ্ছিল তিনি তালেবানদেরকেও সরকারের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শামিল করতে এবং দেশটির নিরাপত্তা রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবেন। কিন্তু সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি বরং নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ তিনি ভাষা, দলীয় ও গোত্রীয় বিভেদকে আরো বাড়িয়ে তুলেছেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, হেকমতিয়ার আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানালেও তার দলের বর্তমান কর্মকাণ্ড ও নীতিমালা সন্দেহজনক। কারণ হেজবে ইসলামি দলের পক্ষ থেকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে দেশটির বিচারমন্ত্রণালয়ে দলটির নেতা আব্দুল হাদি আরগান্দিওয়ালের নাম রেকর্ড করা আছে। সুতরাং গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে হলে মন্ত্রণালয়ে তার নাম রেকর্ড করতে হবে। যদিও তিনি এ ধরণের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন কিন্তু আফগান রাজনৈতিক মহল মনে করেন, বিচারমন্ত্রণালয়ের উচিত রাজনৈতিক অঙ্গনে হেকমতিয়ারের কর্মকাণ্ড ও অবস্থানের বিষয়টি স্পষ্ট করা।
যাইহোক, আফগান সরকারের শান্তি প্রক্রিয়ায় ভূমিকা পালনকারী হেকমতিয়ার তালেবানকে আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তি প্রক্রিয়ায় শামিল করার জন্য সর্বোচ্চ শান্তি পরিষদকে উৎসাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু তার এ প্রস্তাব পরিস্থিতিকে আরো জটিল করেছে। কারণ তালেবানরা এখন হেকমতিয়ারকেও মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মানতে রাজি হচ্ছে না।
No comments