স্বৈরতন্ত্রের তকমা দেশের জন্য লজ্জার
জার্মানের
একটি সংস্থার বিচারে বাংলাদেশকে স্বৈরতান্ত্রিক দেশ হিসেবে চিহ্নিত করাকে
দেশের জন্য লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর। তিনি বলেছেন, এ জন্য জাতি হিসেবে আমি লজ্জিতবোধ করছি। যুদ্ধ করে
যারা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন, গণতন্ত্রের জন্য যারা লড়াই করেছেন, তারা
অত্যন্ত লজ্জাবোধ করছেন। দলের যৌথসভা শেষে গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিশ্বের ১২৯টি দেশের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে জার্মান সংস্থা
‘বেরটেলসম্যান স্টিফটং’র স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় বাংলাদেশের যুক্ত
হওয়ার খবরটি শুক্রবার প্রকাশ করে বিবিসি বাংলা। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে,
বাংলাদেশসহ ওই পাঁচটি দেশ গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ড পূরণ করছে না।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মৌলবাদীদের হামলা
সংঘটিত হতে দেখা গেছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে কথাগুলো আমরা বলে আসছিলাম,
তা আজকে বিশ্বস্বীকৃৃত হয়েছে এবং এটার প্রতিফলন ঘটেছে জার্মান সংস্থাটির ওই
প্রতিবেদনে। সরকার স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে আজকে এই অবস্থায় নিয়ে গেছে। আওয়ামী
লীগের শাসনামলে বাংলাদেশ গণতন্ত্রহীন হয়ে পড়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন,
জার্মান প্রতিষ্ঠানটির গবেষণার ভিত্তিতে বিবিসি অনলাইন একটি নিউজ প্রকাশ
করেছে, যেটা আজ সব পত্রিকায় এসেছে। পৃথিবীর রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ
নিম্নের দিকের পাঁচটি দেশের অন্যতম একটি। যেখানে গণতন্ত্র বিদায় নিয়েছে এবং
স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২৪শে মার্চ গণতন্ত্র
হত্যা দিবস। এদিনে এরশাদ একটি নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল
করেছিল। সেই ব্যক্তির দলকে একই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার সুযোগ
দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে যারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিল, সেই
বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি দেয়া হয়নি। মির্জা আলমগীর
বলেন, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ২৯শে মার্চ সভার অনুমতি চেয়ে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি নিয়ে যাবেন বিএনপির একটি উচ্চ পর্যায়ের
প্রতিনিধিদল। এ বিষয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিরোধী
দলকে কর্মসূচি পালন করতে দেয়ার অনুরোধ করা হবে। সেই প্রতিনিধি দলে থাকবেন-
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.)
হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন
চৌধুরী। মির্জা আলমগীর বলেন, কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির
আন্দোলনসহ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামত শুনতে
সিনিয়র নেতাদের নিয়ে ৩৭টি দল গঠন করেছে বিএনপি। তারা আগামী ২০শে এপ্রিলের
মধ্যে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলা সফর করবেন। এ রাজনৈতিক সফরসূচির উদ্দেশ্য শুধু
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, রাজনৈতিক পরিস্থিতি, খালেদা জিয়ার মুক্তি
আন্দোলন ও আগামী দিনের করণীয় নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। এসব টিম সাংগঠনিক
জেলাগুলোতে সভা-সমাবেশ ও কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। তবে, সভা-সমাবেশ
জেলাগুলোর রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। এ ছাড়া যৌথসভায় বিএনপি
নেতারা চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে তার জামিন
স্থগিতের নিন্দা জানান। সেই সঙ্গে সভা থেকে দলের চেয়ারপারসনসহ সব
নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি স্থায়ী
কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস,
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল
মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৩ দিনের কর্মসূচি বিএনপির
স্বাধীনতা দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা অর্পণ, স্বাধীনতা শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভাসহ তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকালের যৌথসভায় এ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। যৌথসভার শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসকে বরাবরের মতো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, এবারই প্রথম সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দলের চেয়ারপারসন গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকতে পারছেন না। সেই কারণে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ, ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাসহ সিনিয়র নেতারা সমবেতভাবে সকাল ৯টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন। স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দেবেন বিএনপি নেতারা। এ ছাড়া ২৬শে মার্চ ভোরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ জেলা-উপজেলা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে বিএনপি। বিকালে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা- জাসাসের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। পরদিন ২৭শে মার্চ ঢাকায় স্বাধীনতা শোভাযাত্রা এবং ৩১শে মার্চ রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা করবে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতা এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব জেলা কার্যালয় আলোকসজ্জা করা হবে। এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আবদুস সালাম, মনিরুল হক চৌধুরী, কবীর মুরাদ, আবদুল কাইয়ুম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আসাদুল হাবিব দুলু, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, শামা ওবায়েদ, বিলকিস জাহান শিরিন, মাহবুবুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, হারুনুর রশীদ, মোস্তাক মিয়া, আবদুল আউয়াল খান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আকন কুদ্দুসুুর রহমান, সহযোগী সংগঠনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মোরতাজুল করীম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, নুরুল ইসলাম নাসিম, হেলাল খান, শাহ নেসারুল হক ও এবিএম আবদুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৩ দিনের কর্মসূচি বিএনপির
স্বাধীনতা দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা অর্পণ, স্বাধীনতা শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভাসহ তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকালের যৌথসভায় এ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। যৌথসভার শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসকে বরাবরের মতো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, এবারই প্রথম সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দলের চেয়ারপারসন গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকতে পারছেন না। সেই কারণে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ, ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাসহ সিনিয়র নেতারা সমবেতভাবে সকাল ৯টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন। স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দেবেন বিএনপি নেতারা। এ ছাড়া ২৬শে মার্চ ভোরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ জেলা-উপজেলা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে বিএনপি। বিকালে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা- জাসাসের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। পরদিন ২৭শে মার্চ ঢাকায় স্বাধীনতা শোভাযাত্রা এবং ৩১শে মার্চ রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা করবে বিএনপি। দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতা এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব জেলা কার্যালয় আলোকসজ্জা করা হবে। এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে যৌথসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আবদুস সালাম, মনিরুল হক চৌধুরী, কবীর মুরাদ, আবদুল কাইয়ুম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আসাদুল হাবিব দুলু, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, শামা ওবায়েদ, বিলকিস জাহান শিরিন, মাহবুবুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, হারুনুর রশীদ, মোস্তাক মিয়া, আবদুল আউয়াল খান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আকন কুদ্দুসুুর রহমান, সহযোগী সংগঠনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মোরতাজুল করীম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, নুরুল ইসলাম নাসিম, হেলাল খান, শাহ নেসারুল হক ও এবিএম আবদুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
No comments