সন্ত্রাস ও মাদক বিস্তারে ন্যাটো: কেন আফিম-ক্ষেত তেলখনির চেয়েও বেশি প্রিয় ওদের কাছে?
মার্কিন মদদে আফগানিস্তানে বাড়ছে আফিম চাষ |
আফগানিস্তানে
মার্কিন সামরিক উপস্থিতির ফলে দেশটিতে যে কেবল সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী
গোষ্ঠীগুলোর সংখ্যাই বেড়েছে তা নয়, একইসঙ্গে মাদকদ্রব্য উৎপাদনও বেড়েছে
বিপুল মাত্রায়।
বলা হচ্ছে আফগানিস্তানে আফিমের ক্ষেতগুলো আমেরিকার কাছে জ্বালানী তেলের কুপগুলোর চেয়েও বেশি আকর্ষণীয়।
নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, মার্কিন সরকার এখন পরাজিত তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশের (আইএস) সন্ত্রাসীদের মোতায়েন ও পুনর্বাসন করার জন্য নতুন নতুন অঞ্চল প্রস্তুত করছে যাতে এ অঞ্চলে সন্ত্রাস আরও বেশি ছড়িয়ে দেয়া যায়।
১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর আফগানিস্তানে সন্ত্রাস দমন ও মাদক নির্মূলের অজুহাত দেখিয়ে মার্কিন সরকার দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু দেখা গেছে মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনারাই সেখানে আফিম চাষ বিস্তারের সবচেয়ে বড় হোতায় পরিণত হয়েছে। অবৈধ আফিম চাষ থেকে যে বিপুল মুনাফা আসে তার লোভ সামলাতে না পেরে পশ্চিমা সরকারগুলো আফগানিস্তানকে পরিণত করেছে অবৈধ মাদক ব্যবসার সবচেয়ে বড় কেন্দ্রে। এভাবে মানুষের মৃত্যুর পণ্য তৈরি করে অবৈধ ব্যবসা করছে মানবাধিকারের কথিত দাবিদার পশ্চিমা শক্তিগুলো।
আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোতে চোরাই পথে পাঠানো হয় আফিম থেকে তৈরি মাদকদ্রব্য হেরোইন। প্রতি এক কেজি খাঁটি বা শতভাগ বিশুদ্ধ হেরোইন বিক্রি করা হয় তিন হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার মূল্যে। আর ইউরোপে যেসব হেরোইন পাচার করা হয় তার মাত্র ত্রিশ শতাংশ খাঁটি। সেখানে এই হেরোইনের মূল্য গ্রাম-প্রতি ৭০ মার্কিন ডলার।
ব্রিটেনের দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট এক প্রতিবেদনে লিখেছে: আফগানিস্তানের মাদক ব্যবসা থেকে যে অর্থ আসে তা মাদক চোরাকারবারে জড়িত আশপাশের কয়েকটি দেশের জন্যও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘের তথ্যে দেখা যায় ২০০৮ সালে আফগানিস্তানে আফিম উৎপন্ন হয়েছিল ২০০টন। কিন্তু বর্তমানে দেশটিতে আফিম উৎপাদনের পরিমাণ নয় হাজার টন।
মাদক ও অপরাধ মোকাবেলা বিষয়ক জাতিসংঘ দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে মাদক উৎপাদন আগের বছরের চেয়ে ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। দেশটিতে মাদক উৎপাদন বৃদ্ধি সারা বিশ্বের জন্য বিপদ-ঘণ্টা বলে তিনি মন্তব্য করেন। ইরানকেও মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মাদক চোরাচালান দমন অভিযান চালাতে গিয়ে ইরানে নিহত হয়েছেন প্রায় চার হাজার নিরাপত্তা কর্মী এবং আহত হয়েছেন ১২ হাজার।
মাদক বিষয়ে গত ডিসেম্বরে মস্কোয় বিশ্বের সাংসদদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ইরানের সংসদ স্পিকার আলী লারিজানি জানান, আফগানিস্তানে হেরোইন উৎপাদনে জড়িত রয়েছে ৪০০টি ল্যাবরেটরি। তিনি প্রশ্ন করেন: ন্যাটো জোট কি এইসব চিহ্নিত ও সুনির্দিষ্ট ঠিকানার ল্যাবরেটরিতে বোমা ফেলতে পারে না? অথচ এই জোট কিভাবে বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে বোমা বর্ষণ করে?
বলা হচ্ছে আফগানিস্তানে আফিমের ক্ষেতগুলো আমেরিকার কাছে জ্বালানী তেলের কুপগুলোর চেয়েও বেশি আকর্ষণীয়।
নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে, মার্কিন সরকার এখন পরাজিত তাকফিরি-ওয়াহাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশের (আইএস) সন্ত্রাসীদের মোতায়েন ও পুনর্বাসন করার জন্য নতুন নতুন অঞ্চল প্রস্তুত করছে যাতে এ অঞ্চলে সন্ত্রাস আরও বেশি ছড়িয়ে দেয়া যায়।
১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পর আফগানিস্তানে সন্ত্রাস দমন ও মাদক নির্মূলের অজুহাত দেখিয়ে মার্কিন সরকার দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু দেখা গেছে মার্কিন ও ব্রিটিশ সেনারাই সেখানে আফিম চাষ বিস্তারের সবচেয়ে বড় হোতায় পরিণত হয়েছে। অবৈধ আফিম চাষ থেকে যে বিপুল মুনাফা আসে তার লোভ সামলাতে না পেরে পশ্চিমা সরকারগুলো আফগানিস্তানকে পরিণত করেছে অবৈধ মাদক ব্যবসার সবচেয়ে বড় কেন্দ্রে। এভাবে মানুষের মৃত্যুর পণ্য তৈরি করে অবৈধ ব্যবসা করছে মানবাধিকারের কথিত দাবিদার পশ্চিমা শক্তিগুলো।
আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলোতে চোরাই পথে পাঠানো হয় আফিম থেকে তৈরি মাদকদ্রব্য হেরোইন। প্রতি এক কেজি খাঁটি বা শতভাগ বিশুদ্ধ হেরোইন বিক্রি করা হয় তিন হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার মূল্যে। আর ইউরোপে যেসব হেরোইন পাচার করা হয় তার মাত্র ত্রিশ শতাংশ খাঁটি। সেখানে এই হেরোইনের মূল্য গ্রাম-প্রতি ৭০ মার্কিন ডলার।
ব্রিটেনের দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট এক প্রতিবেদনে লিখেছে: আফগানিস্তানের মাদক ব্যবসা থেকে যে অর্থ আসে তা মাদক চোরাকারবারে জড়িত আশপাশের কয়েকটি দেশের জন্যও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘের তথ্যে দেখা যায় ২০০৮ সালে আফগানিস্তানে আফিম উৎপন্ন হয়েছিল ২০০টন। কিন্তু বর্তমানে দেশটিতে আফিম উৎপাদনের পরিমাণ নয় হাজার টন।
মাদক ও অপরাধ মোকাবেলা বিষয়ক জাতিসংঘ দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে মাদক উৎপাদন আগের বছরের চেয়ে ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। দেশটিতে মাদক উৎপাদন বৃদ্ধি সারা বিশ্বের জন্য বিপদ-ঘণ্টা বলে তিনি মন্তব্য করেন। ইরানকেও মাদক পাচারের অন্যতম প্রধান রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মাদক চোরাচালান দমন অভিযান চালাতে গিয়ে ইরানে নিহত হয়েছেন প্রায় চার হাজার নিরাপত্তা কর্মী এবং আহত হয়েছেন ১২ হাজার।
মাদক বিষয়ে গত ডিসেম্বরে মস্কোয় বিশ্বের সাংসদদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ইরানের সংসদ স্পিকার আলী লারিজানি জানান, আফগানিস্তানে হেরোইন উৎপাদনে জড়িত রয়েছে ৪০০টি ল্যাবরেটরি। তিনি প্রশ্ন করেন: ন্যাটো জোট কি এইসব চিহ্নিত ও সুনির্দিষ্ট ঠিকানার ল্যাবরেটরিতে বোমা ফেলতে পারে না? অথচ এই জোট কিভাবে বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে বোমা বর্ষণ করে?
আফগানিস্তানে ইঙ্গ-মার্কিন ও ন্যাটো জোটের মদদে সন্ত্রাসের পাশাপাশি আফিম চাষেরও বিস্তার! |
No comments