স্বৈরতান্ত্রিক দেশের তালিকায় বাংলাদেশ -জার্মানভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্কের গবেষণা
বাংলাদেশসহ
পাঁচটি দেশে এখন আর গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদণ্ড মানা হচ্ছে না। ২০১৫’র
ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৭’র জানুয়ারি পর্যন্ত করা এক গবেষণায় এমন পর্যবেক্ষণ
উঠে এসেছে। এতে বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে, ‘নির্বাচনের মানে অবনতি
ঘটায়, এক সময়ের পঞ্চম বৃহৎ গণতন্ত্রের এ দেশটি ফের স্বৈরতন্ত্র হিসেবে
চিহ্নিত হয়েছে।’
জার্মান থিঙ্কট্যাংক বারটেলসম্যান স্টিফটাং’র গবেষণায় এসব কথা বলা হয়েছে। এতে, নতুন স্বৈরতন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত অপর দেশগুলো হলো লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া ও উগান্ডা। ‘এই পাঁচটি দেশ ওই সীমা অতিক্রম করেছে যার দিকে এগুচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের ছয়টি দেশ- হন্ডুরাস, হাঙ্গেরি, মলডোভা, নাইজার, ফিলিপাইন ও তুরস্ক। অবশ্য এ ছয়টি দেশের নিম্নগামী হওয়ার মাত্রায় তারতম্য রয়েছে।’
গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও সুশাসনের মান এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন। এমন অবনতির সিংহভাগ হচ্ছে উন্মুক্ত সমাজগুলোতে যেখানে সরকারগুলো ক্রমশই স্বেচ্ছাচারী শাসন চালাচ্ছে।
বারটেলসম্যান স্টিফটাং বলছেন, ২০১৬ সালে তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনের পর গণতন্ত্রকরণে সব থেকে বেশি পশ্চাদধাবন করেছে তুরস্ক। ২০১৬ সালে দেশটিতে ব্যর্থ গণঅভ্যুত্থান চেষ্টার পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের দমনমূলক পদক্ষেপের মধ্যে ছিল ‘মত প্রকাশ, গণমাধ্যম ও সভা-সমাবেশ করার স্বাধীনতায় মারাত্মক কড়াকড়ি।’
গবেষণায় উঠে এসেছে, বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ৩৩০ কোটি মানুষ স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার অধীনে বাস করছে। ২০০৬ সালে জার্মান ভিত্তিক এই গবেষণা গ্রুপ তাদের জরিপ শুরু করার পর থেকে এ সংখ্যা এবারই সবচেয়ে বেশি। পক্ষান্তরে গণতন্ত্র উপভোগ করছে আনুমানিক ৪২০ কোটি মানুষ।
১২৯টি দেশের ওপর বিশ্লেষণ চালিয়ে বারটেলসম্যানের প্রতিবেদনে ৭১টি দেশকে গণতান্ত্রিক ও ৫৮টি দেশকে স্বৈরতান্ত্রিক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য পরিণত গণতন্ত্রের দেশগুলোকে এ গবেষণায় বাদ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়, ‘স্বৈরতান্ত্রিক দেশের সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি হওয়াটা অত বেশি উদ্বেগজনক নয়। বড় সমস্যাটা হলো নাগরিক অধিকার সঙ্কুচিত হচ্ছে, ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও আইনের শাসন খর্ব হচ্ছে। একসময়ের গণতন্ত্রের বাতিঘরগুলোও সবচেয়ে অবনতি হওয়া দেশের তালিকায় যেমন- ব্রাজিল, পোল্যান্ড ও তুরস্ক’। পোল্যান্ডকে নিয়ে বলা হয়, ‘এখনো অনেক দূরে থাকলেও, ধীরে ধীরে তারা নিচের দিকে যাচ্ছে।’
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব এখন ‘ক্রমাগত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আপন করে নেয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত অবনতি’ প্রত্যক্ষ করছে।
‘ক্রমেই আরো বেশি সংখ্যক দেশে, সরকারি নেতারা ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষমতার ভারসাম্য (চেকস অ্যান্ড ব্যালান্স) খর্ব করছে, যার কাজ হলো নির্বাহীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। এর মাধ্যমে ওই নেতারা নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখে তা-ই নয়; তারা পৃষ্ঠপোষকতার ব্যবস্থা এবং ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করেন।’
রিপোর্টে আরো বলা হয়, ‘রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের ওপর ক্রমবর্ধমান সীমাবদ্ধতার দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা অব্যাহতভাবে তীব্র। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমনটা হওয়ার পেছনে কঠোর স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোতে অত্যধিক দমনপীড়ন প্রাথমিক কারণ হলেও, এই গবেষণায় সার্বিকভাবে অপেক্ষাকৃত উন্নত রূপান্তরমুখী দেশ রয়েছে যেখানের সরকারগুলো কর্তৃত্বপরায়ণতার দিকে ঝুঁকছে।’
রিপোর্টে কিছু সফলতার গল্পও রয়েছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে আর্জেন্টিনা, মরিশাস ও উরুগুয়ে।
বারটেলসম্যান স্টিফটাং’র গবেষণায় অনুমান করা হয়েছে, প্রতি পাঁচ দেশের মধ্যে একটি গণতন্ত্রের মূলভিত্তিগুলো এবং বাজার অর্থনীতি বজায় রাখতে বা আরো শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে বতসোয়ানা, চিলি, এসতোনিয়া ও তাইওয়ানের কথা।
বুরকিনা ফাসো এবং শ্রীলঙ্কা এখন ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের তালিকায়, যারা ২০১৬ সালের রিপোর্টে চিহ্নিত হয়েছিল মাঝারি স্বৈরতন্ত্র (মডারেট অটোক্র্যাসি) হিসেবে।
জার্মান থিঙ্কট্যাংক বারটেলসম্যান স্টিফটাং’র গবেষণায় এসব কথা বলা হয়েছে। এতে, নতুন স্বৈরতন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত অপর দেশগুলো হলো লেবানন, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া ও উগান্ডা। ‘এই পাঁচটি দেশ ওই সীমা অতিক্রম করেছে যার দিকে এগুচ্ছে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের ছয়টি দেশ- হন্ডুরাস, হাঙ্গেরি, মলডোভা, নাইজার, ফিলিপাইন ও তুরস্ক। অবশ্য এ ছয়টি দেশের নিম্নগামী হওয়ার মাত্রায় তারতম্য রয়েছে।’
গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও সুশাসনের মান এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন। এমন অবনতির সিংহভাগ হচ্ছে উন্মুক্ত সমাজগুলোতে যেখানে সরকারগুলো ক্রমশই স্বেচ্ছাচারী শাসন চালাচ্ছে।
বারটেলসম্যান স্টিফটাং বলছেন, ২০১৬ সালে তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনের পর গণতন্ত্রকরণে সব থেকে বেশি পশ্চাদধাবন করেছে তুরস্ক। ২০১৬ সালে দেশটিতে ব্যর্থ গণঅভ্যুত্থান চেষ্টার পর প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের দমনমূলক পদক্ষেপের মধ্যে ছিল ‘মত প্রকাশ, গণমাধ্যম ও সভা-সমাবেশ করার স্বাধীনতায় মারাত্মক কড়াকড়ি।’
গবেষণায় উঠে এসেছে, বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ৩৩০ কোটি মানুষ স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থার অধীনে বাস করছে। ২০০৬ সালে জার্মান ভিত্তিক এই গবেষণা গ্রুপ তাদের জরিপ শুরু করার পর থেকে এ সংখ্যা এবারই সবচেয়ে বেশি। পক্ষান্তরে গণতন্ত্র উপভোগ করছে আনুমানিক ৪২০ কোটি মানুষ।
১২৯টি দেশের ওপর বিশ্লেষণ চালিয়ে বারটেলসম্যানের প্রতিবেদনে ৭১টি দেশকে গণতান্ত্রিক ও ৫৮টি দেশকে স্বৈরতান্ত্রিক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য পরিণত গণতন্ত্রের দেশগুলোকে এ গবেষণায় বাদ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়, ‘স্বৈরতান্ত্রিক দেশের সংখ্যা সামান্য বৃদ্ধি হওয়াটা অত বেশি উদ্বেগজনক নয়। বড় সমস্যাটা হলো নাগরিক অধিকার সঙ্কুচিত হচ্ছে, ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও আইনের শাসন খর্ব হচ্ছে। একসময়ের গণতন্ত্রের বাতিঘরগুলোও সবচেয়ে অবনতি হওয়া দেশের তালিকায় যেমন- ব্রাজিল, পোল্যান্ড ও তুরস্ক’। পোল্যান্ডকে নিয়ে বলা হয়, ‘এখনো অনেক দূরে থাকলেও, ধীরে ধীরে তারা নিচের দিকে যাচ্ছে।’
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব এখন ‘ক্রমাগত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আপন করে নেয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত অবনতি’ প্রত্যক্ষ করছে।
‘ক্রমেই আরো বেশি সংখ্যক দেশে, সরকারি নেতারা ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষমতার ভারসাম্য (চেকস অ্যান্ড ব্যালান্স) খর্ব করছে, যার কাজ হলো নির্বাহীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। এর মাধ্যমে ওই নেতারা নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখে তা-ই নয়; তারা পৃষ্ঠপোষকতার ব্যবস্থা এবং ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করেন।’
রিপোর্টে আরো বলা হয়, ‘রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের ওপর ক্রমবর্ধমান সীমাবদ্ধতার দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা অব্যাহতভাবে তীব্র। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমনটা হওয়ার পেছনে কঠোর স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোতে অত্যধিক দমনপীড়ন প্রাথমিক কারণ হলেও, এই গবেষণায় সার্বিকভাবে অপেক্ষাকৃত উন্নত রূপান্তরমুখী দেশ রয়েছে যেখানের সরকারগুলো কর্তৃত্বপরায়ণতার দিকে ঝুঁকছে।’
রিপোর্টে কিছু সফলতার গল্পও রয়েছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে আর্জেন্টিনা, মরিশাস ও উরুগুয়ে।
বারটেলসম্যান স্টিফটাং’র গবেষণায় অনুমান করা হয়েছে, প্রতি পাঁচ দেশের মধ্যে একটি গণতন্ত্রের মূলভিত্তিগুলো এবং বাজার অর্থনীতি বজায় রাখতে বা আরো শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে বতসোয়ানা, চিলি, এসতোনিয়া ও তাইওয়ানের কথা।
বুরকিনা ফাসো এবং শ্রীলঙ্কা এখন ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের তালিকায়, যারা ২০১৬ সালের রিপোর্টে চিহ্নিত হয়েছিল মাঝারি স্বৈরতন্ত্র (মডারেট অটোক্র্যাসি) হিসেবে।
No comments