সৌদি বিমান বন্দরগুলোর নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব দেয়া হল মুসলমানদের শত্রু ইসরাইলকে
সৌদি
রাজার নতুন এক ফরমান অনুযায়ী সেদেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা রক্ষার
দায়িত্ব দেয়া হয়েছে দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাতে। ইসরাইলের জিফোরএস
কোম্পানির হাতে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছে।
সৌদি আরব পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে অত্যন্ত দুঃসময় পার করছে। রাজ পরিবারের অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে এ কঠিন সময় মোকাবেলা করতে হচ্ছে। দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সৌদি পররাষ্ট্র নীতিতে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। তবে তার মধ্যে পাশ্চাত্য যেভাবে ইরানভীতি ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে রিয়াদের এ পদক্ষেপ তার অন্যতম ফল।
বৃহৎ শক্তিগুলো বিশেষ করে আমেরিকা দখলদার ইসরাইলের সহযোগিতায় ইরানভীতি ছড়ানোর যে চেষ্টা করছে তার পেছনে দু'টি উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত, সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে মার্কিন অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখা এবং দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এরই আলোকে পাশ্চাত্য এবং রাজতন্ত্র শাসিত কয়েকটি আরব দেশ ইসরাইল ও সৌদি আরবের স্বার্থকে এক ও অভিন্ন বলে তুলে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আমেরিকা ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আরব দেশগুলোকে উৎসাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। মার্কিন সাংবাদিক টমাস ফ্রেডম্যান বলেছেন, "যুবরাজ সালমানের নেতৃত্বাধীন টিম অনেক ছোট এবং তিনি কাণ্ডজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। যেমন ইয়েমেন, লেবানন ও কাতারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে তিনি চরম নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছেন। তাই আমেরিকার উচিত অত্যন্ত সতর্কভাবে সৌদি আরবের সঙ্গে কথাবার্তা বলা।"
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক উন্নয়নের পেছনে আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে, রিয়াদ লক্ষ্য করেছে গত দুই দশকে মধ্যপ্রাচ্যে গঠনমূলক ভূমিকার কারণে ইরানের জনপ্রিয়তা ব্যাপক বেড়েছে এবং এ অঞ্চলের শক্তির ভারসাম্য ইরানের পক্ষে চলে গেছে। এ কারণে সৌদি শাসকদের ধারণা ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু ইসরাইলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হয়তো এ অঞ্চলে ইরানের শক্তি ও প্রভাব ঠেকানো যাবে।
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পেছনে আরেকটি কারণ হচ্ছে, সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ সংকট ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান পরবর্তী রাজা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যাও কম নয়। যুবরাজের ধারনা পাশ্চাত্য বিশেষ করে আমেরিকার সমর্থন নিয়ে তিনি সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্বে পরিণত হতে পারবেন। ওয়াশিংটনে ইহুদিবাদী লবিং গ্রুপের প্রভাবের বিষয়টিও সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান অবহিত আছেন। তাই তার ধারণা বায়তুল মোকাদ্দাস দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একদিকে যেমন আমেরিকার সমর্থন পাওয়া যাবে অন্যদিকে পরবর্তী রাজা হওয়ার স্বপ্নও পূরণ হবে।
এরই আলোকে সৌদি আরবের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব ইসরাইলের হাতে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি মূল্যায়ন করতে হবে। কাতারের দৈনিক আশ্ শারকুল আওসাত এ ব্যাপারে লিখেছে, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত অন্য যুবরাজরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য সৌদি রাজা এ পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারেন।
যাইহোক, প্রকৃতপক্ষে সৌদি আরবে ক্ষমতার যে দ্বন্দ্ব চলছে তার কারণে সৌদি রাজা ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এমনকি সৌদি ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা গোপনে সাক্ষাতে মিলিত হচ্ছেন। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে কোনো আরব সরকারের নিরাপত্তা বাড়েনি বরং ওই সরকারের পতন ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের উদাহরণ হয়ে আছে।
সৌদি আরব পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে অত্যন্ত দুঃসময় পার করছে। রাজ পরিবারের অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে এ কঠিন সময় মোকাবেলা করতে হচ্ছে। দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার বিষয়টি সৌদি পররাষ্ট্র নীতিতে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। তবে তার মধ্যে পাশ্চাত্য যেভাবে ইরানভীতি ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে রিয়াদের এ পদক্ষেপ তার অন্যতম ফল।
বৃহৎ শক্তিগুলো বিশেষ করে আমেরিকা দখলদার ইসরাইলের সহযোগিতায় ইরানভীতি ছড়ানোর যে চেষ্টা করছে তার পেছনে দু'টি উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত, সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে মার্কিন অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখা এবং দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এরই আলোকে পাশ্চাত্য এবং রাজতন্ত্র শাসিত কয়েকটি আরব দেশ ইসরাইল ও সৌদি আরবের স্বার্থকে এক ও অভিন্ন বলে তুলে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আমেরিকা ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আরব দেশগুলোকে উৎসাহিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। মার্কিন সাংবাদিক টমাস ফ্রেডম্যান বলেছেন, "যুবরাজ সালমানের নেতৃত্বাধীন টিম অনেক ছোট এবং তিনি কাণ্ডজ্ঞানহীন ও বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। যেমন ইয়েমেন, লেবানন ও কাতারের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে তিনি চরম নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছেন। তাই আমেরিকার উচিত অত্যন্ত সতর্কভাবে সৌদি আরবের সঙ্গে কথাবার্তা বলা।"
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক উন্নয়নের পেছনে আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে, রিয়াদ লক্ষ্য করেছে গত দুই দশকে মধ্যপ্রাচ্যে গঠনমূলক ভূমিকার কারণে ইরানের জনপ্রিয়তা ব্যাপক বেড়েছে এবং এ অঞ্চলের শক্তির ভারসাম্য ইরানের পক্ষে চলে গেছে। এ কারণে সৌদি শাসকদের ধারণা ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রু ইসরাইলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হয়তো এ অঞ্চলে ইরানের শক্তি ও প্রভাব ঠেকানো যাবে।
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পেছনে আরেকটি কারণ হচ্ছে, সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ সংকট ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান পরবর্তী রাজা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যাও কম নয়। যুবরাজের ধারনা পাশ্চাত্য বিশেষ করে আমেরিকার সমর্থন নিয়ে তিনি সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্বে পরিণত হতে পারবেন। ওয়াশিংটনে ইহুদিবাদী লবিং গ্রুপের প্রভাবের বিষয়টিও সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান অবহিত আছেন। তাই তার ধারণা বায়তুল মোকাদ্দাস দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একদিকে যেমন আমেরিকার সমর্থন পাওয়া যাবে অন্যদিকে পরবর্তী রাজা হওয়ার স্বপ্নও পূরণ হবে।
এরই আলোকে সৌদি আরবের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব ইসরাইলের হাতে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি মূল্যায়ন করতে হবে। কাতারের দৈনিক আশ্ শারকুল আওসাত এ ব্যাপারে লিখেছে, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত অন্য যুবরাজরা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য সৌদি রাজা এ পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারেন।
যাইহোক, প্রকৃতপক্ষে সৌদি আরবে ক্ষমতার যে দ্বন্দ্ব চলছে তার কারণে সৌদি রাজা ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এমনকি সৌদি ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা গোপনে সাক্ষাতে মিলিত হচ্ছেন। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে কোনো আরব সরকারের নিরাপত্তা বাড়েনি বরং ওই সরকারের পতন ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের উদাহরণ হয়ে আছে।
No comments