নগর ছেড়ে গ্রামের ভোটে কামরান
নগর
ছেড়ে গ্রামে সক্রিয় সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। অসুস্থ
শরীর নিয়েও ভোটের মাঠে তিনি নৌকার পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর পক্ষে ভোটারের কাছে করছেন ভোট প্রার্থনা। গত দুই
দিন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের পাঁচটি ইউনিয়নে ভোটের মাঠ চষে বেড়িয়েছেন তিনি।
দীর্ঘদিন পর ফেঞ্চুগঞ্জের গ্রামে ভোট উৎসব হচ্ছে। নানা জটিলতায় ওই পাঁচটি
ইউনিয়নে ভোট হয়নি। এবার আইনি জটিলতা কাটিয়ে ওঠার পর নির্বাচন কমিশন ভোট
উৎসবের আয়োজন করেছে। ২৯শে মার্চ অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। এ নির্বাচনে
নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন কামরান। গত বৃহস্পতিবারই তিনি পাঁচ
ইউনিয়নের অন্তত ১০ স্থানে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সভা করেছেন। সভায় দেশের
উন্নয়ন স্বাভাবিক রাখতে তিনি নৌকার পক্ষে ভোট চান। চলতি মাসে কামরানের
হার্টে তিনটি রিং প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। এখন
তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাও। এ কারণে নৌকার পক্ষে তাকে ভোট
প্রার্থনা করতে ছুটে যেতে হচ্ছে গ্রামে গ্রামে। কামরান বলেন- আইনি জটিলতা
থাকায় দীর্ঘ ১৫ বছর এই উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত ছিল। আইনি
জটিলতা শেষ হওয়ায় আগামী ২৯শে মার্চ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে।
তাই বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল
ভোটে জয়যুক্ত করে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে তিনি গ্রামে ছুটে
যাচ্ছেন। কামরান গতকাল ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ১নং ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী
লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাশার আহমদ শাহ’র সমর্থনে, ২নং মাইজগাঁও
ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জুবেদ আহমদ চৌধুরী শিপু’র
সমর্থনে ও ৩নং ঘিলাছড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
হাজি লেইছ চৌধুরীর সমর্থনে আয়োজিত পৃথক পৃথক আটটি নির্বাচনী জনসভায় প্রধান
অতিথির বক্তব্য রাখেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলীর সভাপতিত্বে ও
আওয়ামী লীগ নেতা মাহফুজুর রহমান জাহাঙ্গীরের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে
উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রুহেল,
মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তপন মিত্র, জেলা আওয়ামী লীগ
নেতা এআর সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত টুটুল,
যুগ্ম সম্পাদক মহিব উদ্দিন বাদল, আওয়ামী লীগ নেতা গৌছ সুলতান, জেলা
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফছার আজিজ, সহ-সভাপতি ডিএম ফয়সল, মহানগর
যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদ ইকবাল সুনাম,
মুজিবুর রহমান জকন, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মিসবাহ আহমদ চৌধুরী, শহিদুর
রহমান রুমান, মঈন উদ্দিন, আব্দুল মালিক শাইস্তা, এনাম আহমদ, রাজু আহমদ
রাজা, মামুন আহমদ নেওয়াজ, রিকেশ চন্দ্র দে, মির শাখাওয়াত হোসেন তরু, লোকমান
আহমদ লসমান, মনহর আলী, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আতাউর রহমান রুনু,
কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি আবু মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি
বিজন কুমার দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল কয়েছ, কামরানুল ইসলাম,
যুবলীগ নেতা ইশতিয়াক আহমদ জর্দান, তৌয়িবুর রহমান, সাইদুর রহমান, মিনহাজ
আহমদ, মাহবুবুল ইসলাম চৌধুরী মিসলু, পারভেজ আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
জুনেদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ফারহান সাদিক প্রমুখ।
১নং ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ, মাইজগাঁও বাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ ডাকবাংলো প্রাঙ্গণ, মাইজগাঁও ইউনিয়নে পালবাড়ী, ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানা প্রাঙ্গণ, বিয়ালীবাজার, ঘিলাছড়া ইউনিয়নে মণিপুর চা-বাগান, ঘাটেরবাজার ও নয়াবাজারে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভাগুলোতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাশার আহমদ শাহ, জুবেদ আহমদ চৌধুরী শিপু ও হাজি লেইছ চৌধুরী নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে বক্তব্য রাখেন।
১নং ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ, মাইজগাঁও বাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ ডাকবাংলো প্রাঙ্গণ, মাইজগাঁও ইউনিয়নে পালবাড়ী, ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানা প্রাঙ্গণ, বিয়ালীবাজার, ঘিলাছড়া ইউনিয়নে মণিপুর চা-বাগান, ঘাটেরবাজার ও নয়াবাজারে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভাগুলোতে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাশার আহমদ শাহ, জুবেদ আহমদ চৌধুরী শিপু ও হাজি লেইছ চৌধুরী নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে বক্তব্য রাখেন।
No comments