চট্টগ্রামে হেফাজতে ইসলামীর দু’পক্ষে তুমুল উত্তেজনা
বিশ্ব
তাবলিগ জামাতের আমীর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা এনে ৮
সদস্যের শুরা কমিটি গঠন নিয়ে কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামীর
দুপক্ষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা চলছে। এ নিয়ে গতকাল পুলিশি পাহাড়ার
মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম লাভলেইন এলাকার মাদানী মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেছে
মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এ মসজিদ ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নেয় পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, লাভলেইন মাদানি মসজিদ তাবলিগ মারকাযে দুপক্ষের উত্তেজনায় শান্তিভঙ্গের আশঙ্কায় মসজিদের বর্তমান শুরা কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও আবদুল হালিম আইনি সহায়তা চেয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে আবেদন করেন। ফলে সন্ধ্যা থেকে মসজিদে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। উত্তেজনা না কমায় শুক্রবার জুমার নামাজে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়।
আবুল কালাম আজাদ জানান, হাটহাজারী মাদরাসার মাওলানা আহমেদ শফির আহ্বানে বুধবার (২১শে মার্চ) অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের আমীর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা এনে ৮ সদস্যের শুরা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে লাভলেইন মারকাযের মজলিসে শুরার বর্তমান সদস্যবৃন্দের সঙ্গে সংযুক্ত করতে বলা হয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি থাকার কারণে সবার শ্রদ্ধেয় আল্লামা শফি হুজুর লাভলেইন মাদানী মসজিদ মারকায কেন্দ্রিক একটি শুরা কমিটি করা হয়। একইসঙ্গে সবাইকে মিলেমিশে দাওয়াতি কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
কিন্তু এ কমিটি নিয়ে অপর একটি পক্ষ বিরোধিতা করে তা প্রতিহত করার কথা বললে উত্তেজনা ছড়ায়। ফলে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন করেন আবুল কালাম আজাদ ও আবদুল হালিম।
তারা বলেন, পুলিশের তড়িৎ পদক্ষেপে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জুমার নামাজের সময় পুলিশের শক্ত অবস্থান ছিল। উনারাও বয়ানে হাজির ছিলেন। বিরোধী পক্ষের মাওালানা নাদের শাহ আল মাদানী বলেন, মাওলানা সাদের যে বক্তব্যের কারণে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সে ব্যাপারে ইতিপূর্বে তিনি লিখিত ও মৌখিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যে আস্থাশীল হয়ে ইতিমধ্যে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) আবুল কাসেম নোমানী মাওলানা সাদকে চিঠি দিয়েছেন। এরপরও একটি পক্ষ দেওবন্দ মাদরাসার দোহাই দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, যত দিন পর্যন্ত দারুল উলুম দেওবন্দ মাওলানা সাদ সাহেবের ব্যাপারে লিখিত আস্থা প্রকাশ করবে না, ততদিন নিজামুদ্দীন মারকাযের ব্যাপারে কোনো আলোচনা করা যাবে না এবং নিজামুদ্দীনে কাউকে পাঠানোও যাবে না।
উল্লেখ্য, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে তাবলিগ জামাতে বিভক্তির ঢেউ চট্টগ্রাম মহানগরীর লাভলেইন তাবলিগ মসজিদেও এসে পড়ে। এ মসজিদের আগের শুরা সদস্যরা মাওলানা সাদ কান্ধলভী সমর্থিত নিজামুদ্দীন মারকাযের।
আর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা এনে ৮ সদস্যের শূরা কমিটি গঠন করে কওমি মাদরাসাভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠক হেফাজতে ইসলামের আমীর মাওলানা আহমেদ শফির অনুসারীরা। যাদের লাভলেইন মাদানী মসজিদে প্রবেশের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায় বৃহস্পতিবার বিকালে।
ওইদিন বাদ আছর থেকে মারকাযের উলামা-মাশায়েখ এবং তাবলিগী সাথীদের জোড় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়ে তাতে সবাইকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ সম্বলিত রেজুলেশন বুধবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
এ অবস্থায় লাভলেইন মারকাযের মজলিসে শুরা সদস্য ও তাদের অনুসারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তারা পুলিশ কমিশনারের সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে লাভলেইন মাদানি মসজিদের সামনে ও আশপাশে পুলিশ এসে অবস্থান নেয়।
জানা যায়, ভারতের দিল্লির মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভী (রহ.) ১৯২০-এর দশকে তাবলিগ জামাতের সূচনা করেন। এর উদ্দেশ্য ইসলামের মৌলিক মূল্যবোধের প্রচার। বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে তাবলিগে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয় না। এর মূল মারকাজ দিল্লিতে। মাওলানা ইলিয়াস (রহ.)-এর মৃত্যুর পর তার ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ নেতৃত্বে আসেন। তার মৃত্যুর পর ইউসুফের ছেলে মাওলানা সাদ কান্ধলভী আমির হন।
মাওলানা সাদ ১৯৮৯ সাল থেকে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় আসা শুরু করেন। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি ইজতেমায় বয়ান করে আসছেন। গত দুই বছর তিনি আমবয়ানের পাশাপাশি আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।
হজরত মুসা (আ.) এবং কোরআন শিক্ষার বিনিময় নেয়া নিয়ে মাওলানা সাদ-এর দুটি বক্তব্যের অভিযোগে এবার তার নেতৃত্ব নিয়ে তাবলিগ জামাতকেন্দ্রিক আলেম সমাজ বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই বিভক্তির প্রকাশ ঘটে এবার বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে তার ঢাকায় আসার পর। বিভক্ত গ্রুপ বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদের অংশগ্রহণ ঠেকানোর ঘোষণা দেন। একপর্যায়ে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ গ্রহণ না করে ঢাকা থেকেই দিল্লিতে ফিরে যেতে বাধ্য হন মাওলানা সাদ।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, লাভলেইন মাদানি মসজিদ তাবলিগ মারকাযে দুপক্ষের উত্তেজনায় শান্তিভঙ্গের আশঙ্কায় মসজিদের বর্তমান শুরা কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও আবদুল হালিম আইনি সহায়তা চেয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে আবেদন করেন। ফলে সন্ধ্যা থেকে মসজিদে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। উত্তেজনা না কমায় শুক্রবার জুমার নামাজে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়।
আবুল কালাম আজাদ জানান, হাটহাজারী মাদরাসার মাওলানা আহমেদ শফির আহ্বানে বুধবার (২১শে মার্চ) অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের আমীর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা এনে ৮ সদস্যের শুরা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে লাভলেইন মারকাযের মজলিসে শুরার বর্তমান সদস্যবৃন্দের সঙ্গে সংযুক্ত করতে বলা হয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি থাকার কারণে সবার শ্রদ্ধেয় আল্লামা শফি হুজুর লাভলেইন মাদানী মসজিদ মারকায কেন্দ্রিক একটি শুরা কমিটি করা হয়। একইসঙ্গে সবাইকে মিলেমিশে দাওয়াতি কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
কিন্তু এ কমিটি নিয়ে অপর একটি পক্ষ বিরোধিতা করে তা প্রতিহত করার কথা বললে উত্তেজনা ছড়ায়। ফলে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন করেন আবুল কালাম আজাদ ও আবদুল হালিম।
তারা বলেন, পুলিশের তড়িৎ পদক্ষেপে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জুমার নামাজের সময় পুলিশের শক্ত অবস্থান ছিল। উনারাও বয়ানে হাজির ছিলেন। বিরোধী পক্ষের মাওালানা নাদের শাহ আল মাদানী বলেন, মাওলানা সাদের যে বক্তব্যের কারণে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, সে ব্যাপারে ইতিপূর্বে তিনি লিখিত ও মৌখিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যে আস্থাশীল হয়ে ইতিমধ্যে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) আবুল কাসেম নোমানী মাওলানা সাদকে চিঠি দিয়েছেন। এরপরও একটি পক্ষ দেওবন্দ মাদরাসার দোহাই দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, যত দিন পর্যন্ত দারুল উলুম দেওবন্দ মাওলানা সাদ সাহেবের ব্যাপারে লিখিত আস্থা প্রকাশ করবে না, ততদিন নিজামুদ্দীন মারকাযের ব্যাপারে কোনো আলোচনা করা যাবে না এবং নিজামুদ্দীনে কাউকে পাঠানোও যাবে না।
উল্লেখ্য, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে তাবলিগ জামাতে বিভক্তির ঢেউ চট্টগ্রাম মহানগরীর লাভলেইন তাবলিগ মসজিদেও এসে পড়ে। এ মসজিদের আগের শুরা সদস্যরা মাওলানা সাদ কান্ধলভী সমর্থিত নিজামুদ্দীন মারকাযের।
আর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা এনে ৮ সদস্যের শূরা কমিটি গঠন করে কওমি মাদরাসাভিত্তিক অরাজনৈতিক সংগঠক হেফাজতে ইসলামের আমীর মাওলানা আহমেদ শফির অনুসারীরা। যাদের লাভলেইন মাদানী মসজিদে প্রবেশের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায় বৃহস্পতিবার বিকালে।
ওইদিন বাদ আছর থেকে মারকাযের উলামা-মাশায়েখ এবং তাবলিগী সাথীদের জোড় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়ে তাতে সবাইকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ সম্বলিত রেজুলেশন বুধবার থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
এ অবস্থায় লাভলেইন মারকাযের মজলিসে শুরা সদস্য ও তাদের অনুসারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তারা পুলিশ কমিশনারের সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে লাভলেইন মাদানি মসজিদের সামনে ও আশপাশে পুলিশ এসে অবস্থান নেয়।
জানা যায়, ভারতের দিল্লির মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভী (রহ.) ১৯২০-এর দশকে তাবলিগ জামাতের সূচনা করেন। এর উদ্দেশ্য ইসলামের মৌলিক মূল্যবোধের প্রচার। বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে তাবলিগে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয় না। এর মূল মারকাজ দিল্লিতে। মাওলানা ইলিয়াস (রহ.)-এর মৃত্যুর পর তার ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসুফ নেতৃত্বে আসেন। তার মৃত্যুর পর ইউসুফের ছেলে মাওলানা সাদ কান্ধলভী আমির হন।
মাওলানা সাদ ১৯৮৯ সাল থেকে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় আসা শুরু করেন। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি ইজতেমায় বয়ান করে আসছেন। গত দুই বছর তিনি আমবয়ানের পাশাপাশি আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।
হজরত মুসা (আ.) এবং কোরআন শিক্ষার বিনিময় নেয়া নিয়ে মাওলানা সাদ-এর দুটি বক্তব্যের অভিযোগে এবার তার নেতৃত্ব নিয়ে তাবলিগ জামাতকেন্দ্রিক আলেম সমাজ বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই বিভক্তির প্রকাশ ঘটে এবার বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে তার ঢাকায় আসার পর। বিভক্ত গ্রুপ বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদের অংশগ্রহণ ঠেকানোর ঘোষণা দেন। একপর্যায়ে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ গ্রহণ না করে ঢাকা থেকেই দিল্লিতে ফিরে যেতে বাধ্য হন মাওলানা সাদ।
No comments