পতনের মূলে গ্রেসি by নাজমুস সাদাত পারভেজ
ক’দিন
আগেও জিম্বাবুয়েতে দেশটির প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের সঙ্গে টক্কর দিতে
চায়, এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ছিল। প্রায় চার দশক ধরে দেশটিতে একচ্ছত্র
ক্ষমতার ছড়ি ঘুরিয়ে আসছেন রবার্ট মুগাবে। এ সময়ে তিনি নস্যাৎ করে দিয়েছেন
তাকে ঘিরে চলতে থাকা বিপুল পরিমাণের ষড়যন্ত্র। জিম্বাবুয়ের এই একনায়কের
সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি কেউ-ই। হঠাৎ করে জিম্বাবুয়ের রাজনৈতিক
অঙ্গনে যে পালাবদলের সুর উঠেছে, তাতে অবশ্য গত প্রায় চার দশকের মধ্যে প্রথম
প্রশ্নের মুখে পড়েছে রবার্ট মুগাবের কর্তৃত্ব। পরিস্থিতি এমন গুরুতর রূপ
নিয়েছে যে, পদত্যাগ করতে বাধ্য হতে পারেন তিনি।
যদিও রোববার রাতে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তাদের পাশে নিয়ে বক্তব্য দেবার সময় পুরো জিম্বাবুয়ে এবং বিশ্ববাসীকে অনেকটা হতবাক করে দিয়ে পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মুগাবে। তবে বাস্তবতা হলো, তার দল জানু-পিএফ তাকে বহিষ্কার করেছে। দেশজুড়ে তার পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন হচ্ছে। মঙ্গলবার তাকে সরিয়ে দিতে পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাবে ভোট হচ্ছে। সেনাপ্রধান চিয়েঙ্গা বলছেন, পদত্যাগ সংক্রান্ত পরিকল্পনা ও শর্তাবলিতে সম্মত হয়েছেন রবার্ট মুগাবে। হয়তো শেষ পর্যন্ত মুগাবে পদত্যাগে বাধ্য হবেন কিংবা তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হবে। বাতাসে ভাসছে এমন সম্ভাবনাই। এই আকস্মিক সিংহাসনচ্যুতির সম্ভাবনায় সবচেয়ে অবাক হয়েছেন সম্ভবত রবার্ট মুগাবে নিজেই। তিনি কি ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পেরেছিলেন যে, চার দশক ধরে একনায়কতন্ত্রের যে শক্ত জালে তিনি জিম্বাবুয়েকে আটকে রেখেছেন, হঠাৎ করে তা আলগা হয়ে যাবে? খর্ব হবে তার সর্বময় ক্ষমতা! অবস্থাদৃষ্টে এমন অভাবিত ঘটনাই ঘটতে চলেছে। আর এর মূলে আছেন রবার্ট মুগাবের স্ত্রী গ্রেসি মুগাবে। মূলত গ্রেসি মুগাবেকে কেন্দ্র করেই সিংহাসনচ্যুতি হচ্ছে রবার্ট মুগাবের।
ঘটনার সূত্রপাত
অধিকাংশ রাজনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মুগাবের পতনের শুরু আসলে হয় ২০১৪ সালের মধ্যভাগে। যখন তিনি তার ৫২ বছর বয়সী স্ত্রী গ্রেসিকে রাজনীতিতে প্রবেশ করান। প্রেসিডেন্ট মুগাবের দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রেসি। তিনি এক সময় মুগাবের নির্বাচনী মুদ্রাক্ষরিক ছিলেন। এক সময় রবার্ট মুগাবের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে গ্রেসির। তারা পরসপরে প্রেমের সমপর্কে জড়ান। সে সময় প্রেসিডেন্ট মুগাবের প্রথম স্ত্রী ক্যান্সারে ভুগছিলেন। নিজের প্রথম স্ত্রীর অসুস্থতার সময় অফিস সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি জিম্বাবুয়ের জনগণ। যে কারণে, গ্রেসি জনপ্রিয়তায় রবার্ট মুগাবের প্রথম স্ত্রীর ধারে-কাছেও আসতে পারেননি। ১৯৯৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রবার্ট মুগাবে ও গ্রেসি। এরপর থেকেই শুরু হয় গ্রেসির বিলাশবহুল জীবনযাপন। বিশ্বের নামিদামি ডিজাইনার ব্রান্ডের কাপড়চোপড়, জুতা, অলঙ্কারের নেশা চেপে ধরে তাকে। প্যারিস, রোম, লন্ডনের মতো সব বিখ্যাত ফ্যাশন হাউজগুলোতে তার যাতায়াত একটি সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়। আড়ম্বরপূর্ণ, বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় তিনি অকাতরে লাখ লাখ ডলার অপচয় করতে থাকেন। এ জন্যে জিম্বাবুয়ের গণমাধ্যম তাকে নিন্দা করে গুচি গ্রেসি (গুচি বিশ্বের একটি অন্যতম ব্যয়বহুল ফ্যাশন হাউজ) বলে আখ্যায়িত করে। তবে, শুধু বিলাসবহুল জীবনযাপনে সন্তুষ্ট হতে পারেননি গ্রেসি। এক পর্যায়ে তিনি রাজনীতিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। অনেকেই সন্দেহ করেন এর পেছনে হাত আছে জিম্বাবুয়ের রাজনীতিবিদ মোয়র। মোয়র জিম্বাবুয়ের রাজনৈতিক অঙ্গনে পদচারণ বর্ণময়। ২০০৪ সালে একবার তাকে সদ্য বরখাস্ত হওয়া ভাইস প্রেসিডেন্ট মনাঙ্গয়ার সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর অভিযোগে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে মোয় মনাঙ্গয়ার প্রতি প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠেন। তবে একসময় মোয় আবারো প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের আস্থাভাজন হতে সক্ষম হন। নিজের অবস্থান সুসংহত করতে মোয় সে সময় দ্বারস্থ হন ফার্স্ট লেডি গ্রেসির। তিনি গ্রেসিকে বোঝান যে, তার স্বামী মুগাবে এখন জীবন সায়াহ্নে অবস্থান করছেন। যে কোনো সময় তিনি মৃত্যুবরণ করতে পারেন। তখন গ্রেসির অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে। ভবিষ্যৎ সুসংহত করতে তিনি গ্রেসিকে রাজনীতিতে সংযুক্ত হয়ে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণে আসার জন্য ফুসলে দেন। এ প্রসঙ্গে জিম্বাবুয়েতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক দেইয়া মাভিঙ্গা বলেন, ফার্স্ট লেডি গ্রেসির মনে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা ও ভীতি তৈরি তাকে রাজনীতির মাঠে আসতে উদ্বুদ্ধ করেন মোয়। রাজনীতিতে আসার পর ধীরে ধীরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মনাঙ্গয়াকে দল থেকে বিতাড়ন করার নানা উদ্যোগ নিতে থাকেন গ্রেসি। কারণ মনাঙ্গয়াকে প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের উত্তরসূরি ভাবা হয়। তাকে সরিয়ে দিতে পারলে গ্রেসির ক্ষমতায় আসার পথ সুগম হতো। এছাড়াও, অন্যান্য কিছু প্রবীণ রাজনীতিবিদের কোণঠাসা করতেও নানা উদ্যোগ নেন গ্রেসি ও তার অনুসারীরা। এসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রেসির নিজের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসার আকাঙ্ক্ষা। অপরদিকে, অসুস্থতায় কাবু হয়ে পড়া প্রেসিডেন্ট মুগাবে চিকিৎসার জন্য ঘনঘন সিঙ্গাপুর যাতায়াত করতে থাকলেও, তার উত্তরসূরি কে হবেন- সে ব্যাপারে পরিষ্কার কিছুই বলেন না। এ অবস্থায় মুগাবেকে মনাঙ্গগয়ার প্রতি বিমুখ করে তুলতে মোয়কে নিয়ে নানান পরিকল্পনা আটতে থাকেন গ্রেসি। এক পর্যায়ে তারা মনাঙ্গগয়ার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ তোলেন। এতে দারুণ চটে যান মুগাবে। তিনি মনাঙ্গগয়াকে বরখাস্ত করেন। এতে মুগাবে পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রের মুখ্য হবার দুয়ার উন্মুক্ত হয়ে যায় গ্রেসির সামনে। তবে এ সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেনি জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনী। তারা এই ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে মুগাবের অবৈধ হস্তক্ষেপ আখ্যা দিয়ে দেশের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। গৃহবন্দি করা হয় মুগাবেকে। এর পর থেকে গ্রেসিকেও আর জনসম্মুখে আসতে দেখা যায়নি। অবস্থাদৃষ্টে, ভাইস প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে গ্রেসির নিজের পথ সুগম করার চাল বুমেরাং হয়ে গেছে। সমপ্রতি তাকে জানু-পিএফ পার্টির মহিলা দলের প্রধানের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে দলের রাজনীতি থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যদিও রোববার রাতে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্তাদের পাশে নিয়ে বক্তব্য দেবার সময় পুরো জিম্বাবুয়ে এবং বিশ্ববাসীকে অনেকটা হতবাক করে দিয়ে পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন মুগাবে। তবে বাস্তবতা হলো, তার দল জানু-পিএফ তাকে বহিষ্কার করেছে। দেশজুড়ে তার পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন হচ্ছে। মঙ্গলবার তাকে সরিয়ে দিতে পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাবে ভোট হচ্ছে। সেনাপ্রধান চিয়েঙ্গা বলছেন, পদত্যাগ সংক্রান্ত পরিকল্পনা ও শর্তাবলিতে সম্মত হয়েছেন রবার্ট মুগাবে। হয়তো শেষ পর্যন্ত মুগাবে পদত্যাগে বাধ্য হবেন কিংবা তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হবে। বাতাসে ভাসছে এমন সম্ভাবনাই। এই আকস্মিক সিংহাসনচ্যুতির সম্ভাবনায় সবচেয়ে অবাক হয়েছেন সম্ভবত রবার্ট মুগাবে নিজেই। তিনি কি ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পেরেছিলেন যে, চার দশক ধরে একনায়কতন্ত্রের যে শক্ত জালে তিনি জিম্বাবুয়েকে আটকে রেখেছেন, হঠাৎ করে তা আলগা হয়ে যাবে? খর্ব হবে তার সর্বময় ক্ষমতা! অবস্থাদৃষ্টে এমন অভাবিত ঘটনাই ঘটতে চলেছে। আর এর মূলে আছেন রবার্ট মুগাবের স্ত্রী গ্রেসি মুগাবে। মূলত গ্রেসি মুগাবেকে কেন্দ্র করেই সিংহাসনচ্যুতি হচ্ছে রবার্ট মুগাবের।
ঘটনার সূত্রপাত
অধিকাংশ রাজনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মুগাবের পতনের শুরু আসলে হয় ২০১৪ সালের মধ্যভাগে। যখন তিনি তার ৫২ বছর বয়সী স্ত্রী গ্রেসিকে রাজনীতিতে প্রবেশ করান। প্রেসিডেন্ট মুগাবের দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রেসি। তিনি এক সময় মুগাবের নির্বাচনী মুদ্রাক্ষরিক ছিলেন। এক সময় রবার্ট মুগাবের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে গ্রেসির। তারা পরসপরে প্রেমের সমপর্কে জড়ান। সে সময় প্রেসিডেন্ট মুগাবের প্রথম স্ত্রী ক্যান্সারে ভুগছিলেন। নিজের প্রথম স্ত্রীর অসুস্থতার সময় অফিস সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমে জড়ানোর বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি জিম্বাবুয়ের জনগণ। যে কারণে, গ্রেসি জনপ্রিয়তায় রবার্ট মুগাবের প্রথম স্ত্রীর ধারে-কাছেও আসতে পারেননি। ১৯৯৬ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রবার্ট মুগাবে ও গ্রেসি। এরপর থেকেই শুরু হয় গ্রেসির বিলাশবহুল জীবনযাপন। বিশ্বের নামিদামি ডিজাইনার ব্রান্ডের কাপড়চোপড়, জুতা, অলঙ্কারের নেশা চেপে ধরে তাকে। প্যারিস, রোম, লন্ডনের মতো সব বিখ্যাত ফ্যাশন হাউজগুলোতে তার যাতায়াত একটি সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়। আড়ম্বরপূর্ণ, বিলাসবহুল জীবনযাত্রায় তিনি অকাতরে লাখ লাখ ডলার অপচয় করতে থাকেন। এ জন্যে জিম্বাবুয়ের গণমাধ্যম তাকে নিন্দা করে গুচি গ্রেসি (গুচি বিশ্বের একটি অন্যতম ব্যয়বহুল ফ্যাশন হাউজ) বলে আখ্যায়িত করে। তবে, শুধু বিলাসবহুল জীবনযাপনে সন্তুষ্ট হতে পারেননি গ্রেসি। এক পর্যায়ে তিনি রাজনীতিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। অনেকেই সন্দেহ করেন এর পেছনে হাত আছে জিম্বাবুয়ের রাজনীতিবিদ মোয়র। মোয়র জিম্বাবুয়ের রাজনৈতিক অঙ্গনে পদচারণ বর্ণময়। ২০০৪ সালে একবার তাকে সদ্য বরখাস্ত হওয়া ভাইস প্রেসিডেন্ট মনাঙ্গয়ার সঙ্গে বিবাদে জড়ানোর অভিযোগে দল থেকে বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকে মোয় মনাঙ্গয়ার প্রতি প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে ওঠেন। তবে একসময় মোয় আবারো প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের আস্থাভাজন হতে সক্ষম হন। নিজের অবস্থান সুসংহত করতে মোয় সে সময় দ্বারস্থ হন ফার্স্ট লেডি গ্রেসির। তিনি গ্রেসিকে বোঝান যে, তার স্বামী মুগাবে এখন জীবন সায়াহ্নে অবস্থান করছেন। যে কোনো সময় তিনি মৃত্যুবরণ করতে পারেন। তখন গ্রেসির অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে। ভবিষ্যৎ সুসংহত করতে তিনি গ্রেসিকে রাজনীতিতে সংযুক্ত হয়ে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণে আসার জন্য ফুসলে দেন। এ প্রসঙ্গে জিম্বাবুয়েতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক দেইয়া মাভিঙ্গা বলেন, ফার্স্ট লেডি গ্রেসির মনে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা ও ভীতি তৈরি তাকে রাজনীতির মাঠে আসতে উদ্বুদ্ধ করেন মোয়। রাজনীতিতে আসার পর ধীরে ধীরে ভাইস প্রেসিডেন্ট মনাঙ্গয়াকে দল থেকে বিতাড়ন করার নানা উদ্যোগ নিতে থাকেন গ্রেসি। কারণ মনাঙ্গয়াকে প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের উত্তরসূরি ভাবা হয়। তাকে সরিয়ে দিতে পারলে গ্রেসির ক্ষমতায় আসার পথ সুগম হতো। এছাড়াও, অন্যান্য কিছু প্রবীণ রাজনীতিবিদের কোণঠাসা করতেও নানা উদ্যোগ নেন গ্রেসি ও তার অনুসারীরা। এসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রেসির নিজের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসার আকাঙ্ক্ষা। অপরদিকে, অসুস্থতায় কাবু হয়ে পড়া প্রেসিডেন্ট মুগাবে চিকিৎসার জন্য ঘনঘন সিঙ্গাপুর যাতায়াত করতে থাকলেও, তার উত্তরসূরি কে হবেন- সে ব্যাপারে পরিষ্কার কিছুই বলেন না। এ অবস্থায় মুগাবেকে মনাঙ্গগয়ার প্রতি বিমুখ করে তুলতে মোয়কে নিয়ে নানান পরিকল্পনা আটতে থাকেন গ্রেসি। এক পর্যায়ে তারা মনাঙ্গগয়ার বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ তোলেন। এতে দারুণ চটে যান মুগাবে। তিনি মনাঙ্গগয়াকে বরখাস্ত করেন। এতে মুগাবে পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রের মুখ্য হবার দুয়ার উন্মুক্ত হয়ে যায় গ্রেসির সামনে। তবে এ সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেনি জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনী। তারা এই ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে মুগাবের অবৈধ হস্তক্ষেপ আখ্যা দিয়ে দেশের ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। গৃহবন্দি করা হয় মুগাবেকে। এর পর থেকে গ্রেসিকেও আর জনসম্মুখে আসতে দেখা যায়নি। অবস্থাদৃষ্টে, ভাইস প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে গ্রেসির নিজের পথ সুগম করার চাল বুমেরাং হয়ে গেছে। সমপ্রতি তাকে জানু-পিএফ পার্টির মহিলা দলের প্রধানের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাকে দলের রাজনীতি থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে।
No comments