বাংলাদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গা নেতা নিখোঁজ- এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের রিপোর্ট
বাংলাদেশে
বসবাসকারী রোহিঙ্গা নেতা কো কো লিন’কে অপহরণ করা হয়েছে। তিনি কোথায় আছেন
তা কেউ বলতে পারছেন না। এ বিষয়ে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন একটি
প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, ১৭ই নভেম্বর সন্ধ্যায় কক্সবাজারে
একটি বাসে ভ্রমণ করার সময় তাকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শী ও
বাসটির চালক বলেছেন, এ ঘটনা ঘটেছে চন্দনাইশে। মহাসড়কে তার বাসটিতে থামায়
কিছু মানুষ।
এরপর তাদের দু’জন কো কো লিনকে বাস থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে নেয়। আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন নামে রোহিঙ্গাদের সংগঠনের নেতা কো কো লিন। এ সংগঠনটি লন্ডনভিত্তিক। এর বাংলাদেশ শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন লিখেছে, ১৭ই নভেম্বর মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে একটি বাসে আরোহণ করেন কো কো লিন। রাত আটটার দিকে বাসটি চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি যে বাসটিতে ভ্রমণ করছিলেন তা ছিল এসি। এর চালক, ও কন্ডাক্টরসহ বিভিন্ন সূত্র বলেছেন, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাসটি চন্দনাইশে পৌঁছে। সেখানে মহাসড়কে বাসটি থামায় কিছু মানুষ। এরপর দু’জন বাসের ভেতর উঠে যায়। কো কো লিনের আসন পর্যন্ত পৌঁছে যায় তারা। তাকে বাস থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে নেয়। বাসের চালক বলেন, ওই দু’ব্যক্তি পুলিশের পোশাক পরা ছিল না। তবে, তারা নিজেদের ডিবি অথবা ডিআইবির সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছে। এদিনই ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন ইউরোপীয়ান রোহিঙ্গা কাউন্সিল নেতা মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি জার্মানিতে অবস্থান করেন এবং কো কো লিন তার বড়ভাই। তিনি ওই পোস্টে দাবি করেন, তার ভাইকে হয়তো সরকারের লোকেরা না হয় অপরাধীরা অপহরণ করেছে। উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কাছে নিয়মিত কথা বলে যাচ্ছিলেন কো কো লিন। অনেকবার তিনি আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে পর্যায়ক্রমিক গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। তারা মিয়ানমারকে রোহিঙ্গামুক্ত করতে চায়। মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্ররা বিভিন্ন সময়ে যে বক্তব্য রেখেছেন তিনি তার পোস্ট ও বক্তব্যের মাধ্যমে তার পাল্টা দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। এখানে উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত কো কো লিন। ওদিকে এ সপ্তাহে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বেশ কিছু নেতা বলেছেন, কয়েকদিনে মিয়ানমারের মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সাতজন রোহিঙ্গাকে হস্তান্তর করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে। এটা ঘটেছে কো কো লিন নিখোঁজ হওয়ার এক বা দু’দিন পরে। মিয়ানমারের মুখপাত্ররা সম্প্রতি বলেছেন, তারা ‘ওয়ান্টেড রোহিঙ্গা’দের একটি তালিকা দিয়েছেন বাংলাদেশের হাতে। এক মুখপাত্র বলেছেন, এক্ষেত্রে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চমৎকারভাবে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সরকার। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন আরো বলেছে, গত দু’ বছরে কক্সবাজার থেকে বেশ কিছু রোহিঙ্গা পুরুষকে তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারী এজেন্সির লোকজন। তাদের বেশির ভাগই নিখোঁজ রয়েছে। এমনটা অভিযোগ করেছেন রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কিছু নেতা। তারা আশঙ্কা করছেন, নিখোঁজ রোহিঙ্গাদেরকে গোপনে তুলে দেয়া হয়েছে মিয়ানমারের হাতে।
এরপর তাদের দু’জন কো কো লিনকে বাস থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে নেয়। আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন নামে রোহিঙ্গাদের সংগঠনের নেতা কো কো লিন। এ সংগঠনটি লন্ডনভিত্তিক। এর বাংলাদেশ শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন লিখেছে, ১৭ই নভেম্বর মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে একটি বাসে আরোহণ করেন কো কো লিন। রাত আটটার দিকে বাসটি চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি যে বাসটিতে ভ্রমণ করছিলেন তা ছিল এসি। এর চালক, ও কন্ডাক্টরসহ বিভিন্ন সূত্র বলেছেন, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাসটি চন্দনাইশে পৌঁছে। সেখানে মহাসড়কে বাসটি থামায় কিছু মানুষ। এরপর দু’জন বাসের ভেতর উঠে যায়। কো কো লিনের আসন পর্যন্ত পৌঁছে যায় তারা। তাকে বাস থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে নেয়। বাসের চালক বলেন, ওই দু’ব্যক্তি পুলিশের পোশাক পরা ছিল না। তবে, তারা নিজেদের ডিবি অথবা ডিআইবির সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছে। এদিনই ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন ইউরোপীয়ান রোহিঙ্গা কাউন্সিল নেতা মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি জার্মানিতে অবস্থান করেন এবং কো কো লিন তার বড়ভাই। তিনি ওই পোস্টে দাবি করেন, তার ভাইকে হয়তো সরকারের লোকেরা না হয় অপরাধীরা অপহরণ করেছে। উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কাছে নিয়মিত কথা বলে যাচ্ছিলেন কো কো লিন। অনেকবার তিনি আন্তর্জাতিক মিডিয়াকে বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে পর্যায়ক্রমিক গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। তারা মিয়ানমারকে রোহিঙ্গামুক্ত করতে চায়। মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্ররা বিভিন্ন সময়ে যে বক্তব্য রেখেছেন তিনি তার পোস্ট ও বক্তব্যের মাধ্যমে তার পাল্টা দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। এখানে উল্লেখ্য, রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত কো কো লিন। ওদিকে এ সপ্তাহে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বেশ কিছু নেতা বলেছেন, কয়েকদিনে মিয়ানমারের মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ সাতজন রোহিঙ্গাকে হস্তান্তর করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে। এটা ঘটেছে কো কো লিন নিখোঁজ হওয়ার এক বা দু’দিন পরে। মিয়ানমারের মুখপাত্ররা সম্প্রতি বলেছেন, তারা ‘ওয়ান্টেড রোহিঙ্গা’দের একটি তালিকা দিয়েছেন বাংলাদেশের হাতে। এক মুখপাত্র বলেছেন, এক্ষেত্রে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চমৎকারভাবে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সরকার। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন আরো বলেছে, গত দু’ বছরে কক্সবাজার থেকে বেশ কিছু রোহিঙ্গা পুরুষকে তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারী এজেন্সির লোকজন। তাদের বেশির ভাগই নিখোঁজ রয়েছে। এমনটা অভিযোগ করেছেন রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কিছু নেতা। তারা আশঙ্কা করছেন, নিখোঁজ রোহিঙ্গাদেরকে গোপনে তুলে দেয়া হয়েছে মিয়ানমারের হাতে।
No comments