লক্ষ্মীছড়িতে পাহাড় ধসে ২ জনের মৃত্যু : আহত ১০
খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার দুর্গম বর্মাছড়ি ইউনিয়নে পাহাড় ধসে এক নারীসহ দুইজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার টানা বর্ষণে বর্মাছড়ি এলাকায় পাহাড় ধসে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ খবর নিশ্চত করেছেন। সাবেক লক্ষ্মীছড়ি ইউনয়ন পরিষদ রাজেন্দ্র চাকমা এ প্রতিনিধিকে বলেন, বর্মাছড়ি ইউনিয়নের ফুত্যাছড়া পাড়ার প্রাণকৃত্য চাকমার ছেলে পরিমল চাকমা (৩০) পাহাড় ধসে মাটি চাপায় মৃত্যু হয়। একই পরিবারের শিশু ও নারীসহ আরো সাতজন মারাত্মক আহত হয়। ঘটনাটি গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ঘটলেও ছড়া ও খালে পানি ভরাট হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়নি। বুধবার সকালে আহতদের লক্ষ্মীছড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসে। লক্ষ্মীছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন, মধ্যম বর্মাছড়ি পাড়ার সজিব চাকমার স্ত্রীন রজমালা চাকমা (২৪), তার ৯ বছরের কন্যা পার্কি চাকমা ও ৬ বছরের শিশু তুষি চাকমা।
সড়ক যোগাযোগ না থাকায় মারাত্মক আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন একই গ্রামের ধনঞ্জয় চাকমা (৬৫), তার স্ত্রী তিতুর বালা চাকমা (৫৫), মেয়ে সাবেত্রী চাকমা(৪০) ও সাবেত্রী চাকমার ছেলে এপিন চাকমা। দুর্গম এলাকা এবং সড়ক যোগাযোগ না থাকায় তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরিবারের একমাত্র সুস্থ্য আছেন সজিব চাকমা বলেন, আমি এখন নিরুপায়। বাড়ির সবাই পাহাড়ের মাটি চাপা পড়ে আহত হয়েছে।’ বাকি আরো ২জন আহতদের নাম জানা যায়নি। এদিকে বর্মাছড়ি-কাইখালী সীমান্তে হলুদ্যা পাড়া বড়ইতলী এলাকার পতুল্যা চাকমার স্ত্রী কালেন্দ্রী চাকমার (৪৫) মাটিচাপায় মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পতুল্যা চাকমা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ ইকবাল পাহাড় ধসের ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুর খবর শুনেছেন। ঘটনাস্থ্যল উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কি.মি. দূরে। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান। তবে এ ঘটনা কাউখালী উপজেলায় ঘটেছে বলে অপর একটি সূত্রে জানা গেছে। লক্ষ্মীছড়ি থানার অফিসার্স ইনচার্জ আরিফ ইকবাল পাহাড় ধসের ঘটনায় মৃত্যুর খবর শুনেছেন। তবে কেউ এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
No comments