কোন দেশের খাবার ভালো সৌদি নাকি ইরানি
কাতারের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর কূটনৈতিক বিরোধে এবার ইরান, তুরস্ক ও সৌদি আরবের খাবারের মান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সৌদি আরবের একজন সম্পাদক বলেছেন, তুর্কি ও ইরানি খাবার কাতারিদের পেটে হজম হবে না। এ নিয়ে বিদ্রƒপের মুখে পড়েছেন তিনি। সৌদি সংবাদপত্র ওকাজের সম্পাদক জামিল আল জিয়াবি সৌদি রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত আল আরাবিয়া টিভিতে এক সাক্ষাতকারে বলেন, কাতারিদের পেটে ইরানি ও তুর্কি খাবার হজম হবে কিনা, তা নিয়ে তার উদ্বেগ রয়েছে। গত ৫ জুন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেয়ার অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ওই দিনই দেশগুলো কাতারের ওপর স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে অবরোধ আরোপ করে দেশগুলো। খাদ্য আমদানিতে সৌদি আরব ও প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় তাৎক্ষণিভাবে বিপদে পড়ে কাতার। সৌদি আরব থেকেই এতদিন কাতারের মোট খাদ্যসামগ্রীর ৪০ শতাংশ আমদানি করা হতো। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে কাতার-সৌদির সব সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। তবে অবরোধ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুধ ও পোল্ট্রিসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য নিয়ে কাতারে আসে ইরানি কার্গো বিমান। এরপর দেশটিতে খাদ্যসামগ্রী পাঠায় ইরান। আলজাজিরা জানায়, সম্পাদক জামিলের বক্তব্যকে বিদ্রƒপ করে টুইটারে একটি হ্যাশট্যাগ দেয়া হলে কাতারে তা সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়।
‘ইরান ও তুরস্কের খাবার ভালো’ : কাতারের রাজধানী দোহায় একটি হোটেলে কর্মরত বাংলাদেশি আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, অবরোধ আরোপের পর প্রথম কয়েক দিন খাবারের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও এখন সেটি স্থিতিশীল হয়েছে। ইরান এবং তুরস্ক থেকে কাতারের জন্য খাদ্য পাঠানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আতিকুর বলেন, প্রথম দুই দিন তো কেউ সাপ্লাই দিতে পারেননি। ইরানও দিতে পারেনি, তুরস্কও দিতে পারেনি। ওদের খাবারের গুণগতমানও সৌদি আরব থেকে ভালো। সবাই এখন এটাকে লাইক (পছন্দ) করছে। সৌদি আরবসহ আরও তিনটি উপসাগরীয় দেশ কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করায় ফল এবং সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। তুরস্ক থেকে দুগ্ধজাত পণ্য আসছে কাতারে। এ অবরোধের সুযোগ নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী খাদ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কাতার সরকার হুশিয়ারি দেয় যে, খাদ্য মজুদ করে দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments