এবার আসাদের পতন চায় যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ইস্যুতে আগের দেয়া বক্তব্য থেকে ইউটার্ন নিল মার্কিন প্রশাসন। এখন আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরানোই ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে মার্কিন দূত নিকি হ্যালি। রোববার সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট আসাদ ক্ষমতায় থাকলে আমরা কোনো শান্তিপূর্ণ সিরিয়া সম্ভব বলে মনে করি না।’ এর আগে নিকি হ্যালি এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয়ই আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার নয় বলে মন্তব্য করেছিলেন। খবর গার্ডিয়ানের। শুক্রবার সিরীয় ভূখণ্ডে মার্কিন বিমান হামলা প্রসঙ্গে নতুন মন্তব্য করেন মার্কিন দূত নিকি হ্যালি। তিনি বলেন, ‘আসাদ ক্ষমতার শীর্ষে থাকলে কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। আপনি তার কর্মকাণ্ডের দিকে তাকান, সেখানকার পরিস্থিতির দিকে তাকান, আসাদকে দিয়ে কোনো শান্তিপূর্ণ এবং স্থিতিশীল সরকারের সুযোগ আর নেই।’ সিরিয়ায় ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন হ্যালি। সিরিয়ার বিমান ঘাঁটিতে হামলা ইস্যুতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানান, এ নিয়ে আসাদের পক্ষে রাশিয়ার দাঁড়ানোর কোনো কারণ তিনি দেখছেন না।
তবে সিরিয়ায় আইএসকে দমনই ওয়াশিংটনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। টিলারসন আরও বলেন, ‘একবার আইএসকে দমন সম্ভব হলে আমি মনে করি, আমাদের মনোযোগ দিতে হবে একটি স্থিতিশীল সিরিয়া তৈরির দিকে। সিরিয়াকে স্থিতিশীল করতে একবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা গেলে আমাদের প্রত্যাশা, শান্তিপূর্ণ একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরুর পরিবেশ তৈরি হবে।’ এর আগে গত ৬ এপ্রিল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অগ্রাধিকার নয় বলে মন্তব্য করেন নিকি হ্যালি। তিনি বলেন, আসাদ শান্তির জন্য বাধা। কিন্তু আগের মতো তাকে সরানোটা যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার নয় এখন। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে নতুন কৌশল গ্রহণ করতে চায় তার দেশ। একই সময় তুরস্ক সফররত টিলারসন বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট আসাদ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকবেন কিনা, তা নির্ধারণ করবে সিরিয়ার জনগণ।’ তাদের এসব মন্তব্যে তখন ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।
No comments