ইউনুস খান যখন ‘ইউনিক খান’
পাকিস্তানের সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতার ইউনুস খানকে পাকিস্তানের সৎ ও নির্ভিক ক্রিকেটার হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। পাকিস্তানের ব্যাটিং স্তম্ভ ইউনুস খানকে ‘ইউনিক খান’ বলে ক্রিকেটবিশ্বে তুলে আনতে চাইছেন শোয়েব। তার মতে, ইউনুস ক্রিকেটবিশ্বের একজন চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন ইউনুস খান। শোয়েব জানান, তার নাম বদলে ‘ইউনিক খান’ রাখা উচিত। তার সাফল্য আর ক্রিকেটের প্রতি সততা থেকেই তাকে এই নামে ডাকা দরকার। তিনি বিশ্বক্রিকেটের একজন চ্যাম্পিয়ন। শোয়েব যোগ করেন, ‘ইউনুস খানের অবসর শেষের শুরু। তার অবসরকে আপনারা শেষ বলে দেখছেন। কিন্তু আমার কাছে এটাই তার শুরু। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। বোর্ড তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সুবিধা নিতে পারবে। পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য তিনি ব্যাট করতে পারবেন। শুধু তার জার্সি নম্বর ৭৫-ই অবসর নেবে।’ টেস্ট ক্রিকেট থেকে মিসবাহ-উল-হকের অবসরের ঘোষণা দেয়ার দু’দিন পর একই ঘোষণা দেন ইউনুস খান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষেই সাদা পোশাকে আর খেলবেন না বলে জানিয়ে দেন এই ডান-হাতি মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ (২১ এপ্রিল শুরু) শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন ৪২ বছর বয়সী মিসবাহ ও ৩৯ বছর বয়সী ইউনুস। পাকিস্তানের হয়ে ১১৫টি টেস্ট খেলেছেন ইউনুস। ৫৩.০৬ গড়ে রান ৯৯৭৭। ৩২টি অর্ধশতকের পাশাপাশি রয়েছে ৩৪টি সেঞ্চুরি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ২৬৫ ওয়ানডেতে ৩১.২৪ গড়ে ৭২৪৯ ও ২৫টি টি ২০তে ২২.১০ গড়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪২ রান। ওয়ানডেতে সাতটি শতকের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ৪৮টি অর্ধশতক। টি ২০তে রয়েছে দুটি ফিফটি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ইউনুসের নামের পাশে রয়েছে প্রায় ১৭ হাজার রান। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটেও করেছেন প্রায় ১০ হাজার রান। সম্প্রতি ইউনুস খানের নাম ওঠে উইজডেনের বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের তালিকায়। ১৭ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়া ইউনুস খানের। টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ২০০০ সালে, শ্রীলংকার বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে। একই বছর ওয়ানডেতে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ওয়ানডেতেও তার অভিষেক হয়। জাতীয় দলের হয়ে ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত টি ২০ খেলেছিলেন। টেস্ট চালিয়ে গেলেও ২০১৫ সালের নভেম্বরের পর থেকে ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে নামেননি তিনি। ওয়েবসাইট।
No comments