দু’দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ
বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেছেন প্রতিবেশী দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। সফরের তৃতীয় দিন রোববার ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন শেখ হাসিনা, যার সরকারি বাড়িতে এবার আতিথ্য নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার অনেক আগে থেকে প্রণব মুখার্জির সঙ্গে প্রগাঢ় সম্পর্ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার। তাকে দাদা সম্বোধন করে থাকেন তিনি। আগস্ট ট্র্যাজেডির পর শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থানের স্মৃতি তাদের রোববারের বৈঠকেও উঠে আসে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতা হিসেবে প্রণব মুখার্জির অবদানও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের জন্য প্রণব মুখার্জিকে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’য় ভূষিত করা হয়। বিয়ের সূত্রে প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশের সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। কয়েক বছর আগে তার স্ত্রীর শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান ভারতীয় রাষ্ট্রপতি। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্ককে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে শেখ হাসিনার উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন প্রণব মুখার্জি। শনিবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের যেসব বিষয়ে মতৈক্য ও চুক্তি-সমঝোতা হয়েছে, সেসব নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানান প্রেস সচিব। এই বৈঠকে শেখ হাসিনার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মসিউর রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনার সম্মানে নৈশভোজ দেন প্রণব মুখার্জি, তাতে ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারী ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও যোগ দেন। শেখ হাসিনার এবারের দ্বিপক্ষীয় সফরকে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে গুরুত্ব দেয়ার বিষয়টি স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে। সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি থাকছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে, যা বিরল ঘটনা।
No comments