হোয়াইট হাউসে গৃহদাহ
ডোনাল্ড
ট্রাম্পের ক্ষমতার তিন মাস পার না হতেই হোয়াইট হাউসে গৃহদাহ শুরু হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের প্রধান উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননের সঙ্গে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে
জড়িয়ে পড়েছেন ট্রাম্পের জামাতা ও প্রভাবশালী উপদেষ্টা জেয়ার্ড কুশনার। তবে
সামান্য বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে এ বিবাদ মিটিয়ে ফেলতে বললেন ট্রাম্প।
শুক্রবার এক টেবিলে মুখোমুখি হন কুশনার ও ব্যানন। মনোমালিন্য মিটিয়ে ফেলার
জন্য উভয়ই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানান হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ এক
কর্মকর্তা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। ওই কর্মকর্তা বলেন, হোয়াইট হাউসের চিফ অব
স্টাফ রেইন্স প্রিবাসের অনুরোধে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রধান কৌশলবিদ (চিফ
স্ট্রাটেজিস্ট) ব্যানন ও জামাতা কুশনার শুক্রবার বৈঠকে বসেন। প্রিবাসের
মতে, যদি তাদের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্তে দ্বন্দ্ব থাকে তবে তা
আভ্যন্তরীণভাবে সমাধান করা উচিত। ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো অবকাশ কেন্দ্র ও
হোয়াইট হাউসে গেল সপ্তাহ খুব মসৃণভাবে কাটান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ সময়ের
মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ বৈঠক এবং
সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও বাস্তবায়ন
করেছেন তিনি।
সিরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন এ সিদ্ধান্তে বেশ প্রশংসাও
কুড়িয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, প্রিবাস কুশনার ও
ব্যাননকে ঝগড়া মিটিয়ে প্রেসিডেন্টের কর্মসূচি বাস্তবায়নের দিকে নজর দেয়ার
বার্তা দিয়েছেন। চলতি সপ্তাহে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) কমিটি থেকে
ব্যাননকে সরানো হয়েছে। গুজব ছড়িয়েছে, জামাতা কুশনারের অনুরোধে ব্যাননকে
এনএসসি থেকে সরাতে বাধ্য হন ট্রাম্প। পরে অবশ্য তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের
বিষয় বুঝতে পেরে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে
নাও। ব্যানন ও কুশনারের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী প্রিবাস বৈঠক শেষে
প্রেসিডেন্টকে জানান, তাদের মধ্যে আলোচনা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তবে শুক্রবার
বৈঠকের পর তাদের মধ্যে বৈরিতার অবসান হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত নন হোয়াইট
হাউসের ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সময়ই তা বলে দেবে। সম্প্রতি অসমর্থিত এক
খবরে প্রকাশ পেয়েছে, ব্রেইবার্ট নিউজ নেটওয়ার্কের সাবেক নির্বাহী ব্যাননকে
প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে সরানোর বিষয়টি বিবেচনা করছেন ট্রাম্প। এ খবরের
জেরে ব্রেইবার্টের সাবেক কর্মকর্তা কার্ট বারডেল্লা হুশিয়ারি দিয়েছেন,
কুশনার যদি ব্যাননকে পদ থেকে সরাতে জোর করে তবে তা হবে প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের ‘সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া’র শামিল।
No comments