পাক-ভারত বৈরিতা নিরসনে হাসিনাকে চান আদভানি
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বৈরিতা দীর্ঘদিনের। এটি নিরসনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যস্থতা চেয়েছেন ভারতের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এল কে আদভানি। সোমবার নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনাকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মধ্যস্থতা চান। ক্ষমতাসীন বিজেপির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান আদভানি বলেন, 'ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কোন্নয়নে শেখ হাসিনা সহায়তা করতে পারেন। এই অঞ্চলের সকলের মধ্যে যেন স্নেহপূর্ণ সম্পর্ক হয়।' শেখ হাসিনার ভারত সফরের শেষ দিন সোমবার সকালে ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন আদভানি। তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের জনগণের জীবনমানের আরও উন্নয়ন ঘটবে।' ভারতের রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা দিল্লির দি ইম্পেরিয়াল হোটেলে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি নেতা আদভানি তার বক্তব্যের এক পর্যায়ে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে বলেন, 'আমাদের এক প্রতিবেশী, যারা স্বাধীনতার আগেও ভারতের অংশ ছিল, আমি চাই, তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে যাক।' তিনি বলেন, 'তারা (পাকিস্তান) ভারতেরই অংশ ছিল।
ওখানে আমার জন্মস্থান। সিন্ধু আমার জন্মস্থান। কিন্তু এখন তারা ভারতের সঙ্গে নেই। এটা আমার দুঃখ।'অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন এবং শাল পরিয়ে দেন। পরে ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী এবং ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক নির্মলা সীতারমণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন ক্রেস্ট। শেখ হাসিনাকে সম্মাননা জানানোর এই অনুষ্ঠানকে একটি ‘শুভ মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করে আদভানি বলেন, 'সব সময় এ রকম মুহূর্ত আসে না।' তিনি বলেন, 'আমার জানা নেই, আমাদের কোনো প্রতিবেশী দেশের নেতা আমাদের সঙ্গে এতো সময় কখনও কাটিয়েছেন কিনা।' ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর ১৯৮১ সালের ১৫ মে পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার পরিবার নিয়ে ভারতে নির্বাসিত জীবন কাটান। আদভানি জানান, সে সময় তার ঠিক পাশের বাসাতেই শেখ হাসিনা থাকতেন। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আরও মজবুত করতে শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। সেজন্য তাকে নিজের দেশেও বিভিন্ন প্রতিকূলতার মুখে পড়তে হচ্ছে।'
No comments