নেপালের শেষ রাজার বিদ্যুৎ বিল বাকি
নেপালের শেষ রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ |
নেপালের
শেষ রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ ক্ষমতা ছাড়ার পর থেকে বিল দেননি। এ জন্য বারবার
ধরনা দিয়েও কূল করতে পারছে না বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন
নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি গতকাল বুধবার এ তথ্য জানায়।
২০০৮ সালে নেপালে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। এ সময় সাবেক রাজপরিবারের সব সম্পত্তি সরকারীকরণ করা হয়। এ সময় রাজপ্রাসাদ নারায়ণহিতি রয়্যাল প্যালেস ছেড়ে জ্ঞানেন্দ্র নাগরজুনা প্যালেসে ওঠেন। আজ বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের (এনইএ) সহকারী পরিচালক মুকুন্দ মান চিত্রকর গণমাধ্যমকে বলেন, নগরজুনা প্যালেসে বারবার এনইএর পক্ষ থেকে বকেয়া বিল-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানকার কর্মীরা চিঠি গ্রহণ করেননি। তাঁদের কথা, যেহেতু সাবেক রাজপরিবারের সব সম্পত্তি এখন সরকারের, তাই এই বিল দেওয়া সরকারের দায়িত্ব।
এনইএ জানায়, ১০ বছর ধরে এনইএন ৭০ লাখ রুপির বেশি লোকসানে রয়েছে।
নগরজুনা প্যালেসের কর্মীরা চিঠি গ্রহণ না করায় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ নির্মল নিবাস নামের আরেকটি প্যালেসের দ্বারস্থ হয়। ২০০১ সালে রাজা বীরেন্দ্র রহস্যজনকভাবে সপরিবারে নিহত হওয়ার আগে সহোদর জ্ঞানেন্দ্র এই প্যালেসে থাকতেন।
জ্ঞানেন্দ্রর ব্যক্তিগত সচিব সাগর রাজ তিমিলসিনা বলেন, এই বিল পরিশোধের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের, নগরজুনা প্যালেসের নয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাজপরিবারের সদস্যরা যেসব প্যালেসে ছিলেন সেগুলোর সব ধরনের বিল ও শুল্ক দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়ার নিয়ম।
বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী কোনো গ্রাহক যদি দুই মাস বিল বকেয়া রাখেন, তাহলে তাঁর বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। এরপরও যদি কোনো গ্রাহক একনাগারে ছয় মাস ধরে বিল দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তি (যেমন জমি, বাড়ি) বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। তাঁর পরের তিন প্রজন্মও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।
জ্ঞানেন্দ্রর ক্ষেত্রে কেন আইন প্রযোজ্য হয়নি, জানতে চাইলে চিত্রকর বলেন, জ্ঞানেন্দ্র একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি এবং সাবেক রাজা। তাই বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। চিত্রকর বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার চেয়ে আমরা বরং সম্ভব হলে বকেয়া বিল আদায়ের চেষ্টা করব।’
২০০১ সালে রাজা বীরেন্দ্র রহস্যজনকভাবে সপরিবারে নিহত হলে তাঁর সহোদর জ্ঞানেন্দ্র সিংহাসনে বসেন। এর আগেই, অর্থাৎ ১৯৯৬ সালেই নেপালের কমিউনিস্ট পার্টিতে ভাঙন ধরেছিল এবং পুষ্পকমল দহলের নেতৃত্বে একদল তরুণ রাজতন্ত্রের পুরোপুরি উচ্ছেদসহ নানা দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করেছিলেন। দহল ‘প্রচণ্ড’ নামেই পরিচিত।
২০০৬ সালের ৭ নভেম্বর প্রচণ্ডর নেতৃত্বাধীন মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি এবং অন্য সাতটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ছয় দফা সমঝোতা হয়। গণ-আন্দোলনে রাজা জ্ঞানেন্দ্র পিছু হটতে বাধ্য হন। মাওবাদীরা ১০ বছরের সশস্ত্র লড়াই থেকে সরে আসে। ২০০৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথম গণপরিষদের অভ্যুদয় ঘটে। গণপরিষদ প্রথমেই রাজতন্ত্রের অবসান ঘটায়। রাজপ্রাসাদকে জাদুঘর বানিয়ে দেয় এবং ক্ষমতাচ্যুত রাজাকে আয়কর দিতে বাধ্য করে।
২০০৮ সালে নেপালে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। এ সময় সাবেক রাজপরিবারের সব সম্পত্তি সরকারীকরণ করা হয়। এ সময় রাজপ্রাসাদ নারায়ণহিতি রয়্যাল প্যালেস ছেড়ে জ্ঞানেন্দ্র নাগরজুনা প্যালেসে ওঠেন। আজ বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের (এনইএ) সহকারী পরিচালক মুকুন্দ মান চিত্রকর গণমাধ্যমকে বলেন, নগরজুনা প্যালেসে বারবার এনইএর পক্ষ থেকে বকেয়া বিল-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানকার কর্মীরা চিঠি গ্রহণ করেননি। তাঁদের কথা, যেহেতু সাবেক রাজপরিবারের সব সম্পত্তি এখন সরকারের, তাই এই বিল দেওয়া সরকারের দায়িত্ব।
এনইএ জানায়, ১০ বছর ধরে এনইএন ৭০ লাখ রুপির বেশি লোকসানে রয়েছে।
নগরজুনা প্যালেসের কর্মীরা চিঠি গ্রহণ না করায় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ নির্মল নিবাস নামের আরেকটি প্যালেসের দ্বারস্থ হয়। ২০০১ সালে রাজা বীরেন্দ্র রহস্যজনকভাবে সপরিবারে নিহত হওয়ার আগে সহোদর জ্ঞানেন্দ্র এই প্যালেসে থাকতেন।
জ্ঞানেন্দ্রর ব্যক্তিগত সচিব সাগর রাজ তিমিলসিনা বলেন, এই বিল পরিশোধের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের, নগরজুনা প্যালেসের নয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাজপরিবারের সদস্যরা যেসব প্যালেসে ছিলেন সেগুলোর সব ধরনের বিল ও শুল্ক দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়ার নিয়ম।
বিদ্যুৎ আইন অনুযায়ী কোনো গ্রাহক যদি দুই মাস বিল বকেয়া রাখেন, তাহলে তাঁর বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। এরপরও যদি কোনো গ্রাহক একনাগারে ছয় মাস ধরে বিল দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তি (যেমন জমি, বাড়ি) বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। তাঁর পরের তিন প্রজন্মও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন।
জ্ঞানেন্দ্রর ক্ষেত্রে কেন আইন প্রযোজ্য হয়নি, জানতে চাইলে চিত্রকর বলেন, জ্ঞানেন্দ্র একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি এবং সাবেক রাজা। তাই বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। চিত্রকর বলেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার চেয়ে আমরা বরং সম্ভব হলে বকেয়া বিল আদায়ের চেষ্টা করব।’
২০০১ সালে রাজা বীরেন্দ্র রহস্যজনকভাবে সপরিবারে নিহত হলে তাঁর সহোদর জ্ঞানেন্দ্র সিংহাসনে বসেন। এর আগেই, অর্থাৎ ১৯৯৬ সালেই নেপালের কমিউনিস্ট পার্টিতে ভাঙন ধরেছিল এবং পুষ্পকমল দহলের নেতৃত্বে একদল তরুণ রাজতন্ত্রের পুরোপুরি উচ্ছেদসহ নানা দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করেছিলেন। দহল ‘প্রচণ্ড’ নামেই পরিচিত।
২০০৬ সালের ৭ নভেম্বর প্রচণ্ডর নেতৃত্বাধীন মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি এবং অন্য সাতটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ছয় দফা সমঝোতা হয়। গণ-আন্দোলনে রাজা জ্ঞানেন্দ্র পিছু হটতে বাধ্য হন। মাওবাদীরা ১০ বছরের সশস্ত্র লড়াই থেকে সরে আসে। ২০০৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথম গণপরিষদের অভ্যুদয় ঘটে। গণপরিষদ প্রথমেই রাজতন্ত্রের অবসান ঘটায়। রাজপ্রাসাদকে জাদুঘর বানিয়ে দেয় এবং ক্ষমতাচ্যুত রাজাকে আয়কর দিতে বাধ্য করে।
No comments