সৌদি আরব চরমপন্থা উসকে দিচ্ছে by মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ
ক্রুদ্ধ জনতা হামলা চালায় তেহেরানের সৌদি দূতাবাসে। সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয় |
সৌদি আরবে শিয়াদের ধর্মীয় নেতা শেখ নিমর আল-নিমরের
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর ইরানের রাজধানী তেহরানে বিক্ষুব্ধ জনতা সৌদি
দূতাবাসে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক
ছিন্ন করে। এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। দুই পক্ষ
থেকেই পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। সে বিষয়েই দুটি লেখা প্রকাশিত
হলো।
সারা পৃথিবী শিগগিরই সেই ঐতিহাসিক চুক্তির বাস্তবায়ন উদ্যাপন করতে যাচ্ছে, যে চুক্তির মধ্য দিয়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট বিপজ্জনক ও অপ্রয়োজনীয় সংকটের সমাধান হয়েছে। সবাই আশা করেছিল এবং এখনো বিশ্বাস করে—এই সমাধানের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের চরমপন্থা সমস্যাটির দিকে দৃষ্টি দেওয়া সম্ভব হবে, যা মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা পৃথিবীকেই জেরবার করে দিচ্ছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি বারবার বলেছেন, ইরানের পররাষ্ট্রনীতির চূড়ান্ত অগ্রাধিকার হচ্ছে প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখা। আর চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতাও তার পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম লক্ষ্য। রুহানি ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাগেইনস্ট ভায়োলেন্স অ্যান্ড এক্সট্রিমিজম (ওয়েভ)’ শীর্ষক এক উদ্যোগ নেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এতে অনুমোদন দিয়েছিল।
২০১৩ সালের নভেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন পরমাণু চুক্তি হওয়ার পর সৌদি আরব তা নস্যাৎ করার জন্য নানা চেষ্টা করে। তাদের ভয় ছিল, তারা মানুষের মনে যে ইরান-ভীতি সৃষ্টি করেছে, তা ভেঙে পড়ছে। আজ রিয়াদের অনেকেই সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পথে শুধু বাধা হয়েই দাঁড়ায় না, তারা পুরো অঞ্চলকে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে বদ্ধপরিকর।
সৌদি আরবের ভয় হচ্ছে, তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যে ভীতি সৃষ্টি করেছিল, তা দূর হয়ে গেলে বিশ্বের সামনে আসল সমস্যা উন্মোচিত হবে: সহিংস চরমপন্থায় তার সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতা। বর্বরতাটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। তারা নিজের ঘরে একই দিনে তলোয়ার দিয়ে ৪৭ জন বন্দীর মাথা কেটেছে, যাঁদের মধ্যে শ্রদ্ধাভাজন ধর্মীয় পণ্ডিত শেখ নিমর আল-নিমরও ছিলেন, যিনি জীবনভর অহিংসা ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন। আর বিদেশে মুখোশ পরা মানুষেরা ছুরি দিয়ে লোকজনের মাথা কাটছে।
আমরা যেন এই সত্য ভুলে না যাই: ১১ সেপ্টেম্বরের বীভৎসতা থেকে শুরু করে স্যান বার্নার্দিনোর হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য চরমপন্থী হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি এবং আল-কায়েদা ও নুসরা ফ্রন্টের প্রায় সব সদস্যই হয় সৌদি নাগরিক ছিলেন অথবা পেট্রো ডলারের টাকায় জীবিকা নির্বাহ করে এমন বক্তৃতাবাগীশ মানুষেরা তাঁদের মগজধোলাই করেছিলেন।
সৌদি আরবের কৌশল হচ্ছে পরমাণু চুক্তি নস্যাৎ করা এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা জিইয়ে রাখা, এমনকি তা আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাওয়া। এই কৌশলের তিনটি উপাদান আছে: পশ্চিমকে চাপ দেওয়া, চরমপন্থাকে পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং ইয়েমেনে যুদ্ধ বাধিয়ে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা আরও তীব্র করা; আর ইরানকে সরাসরি উসকানি দেওয়া। রিয়াদ যে ইয়েমেনে যুদ্ধ লাগিয়েছে বা তারা যে চরমপন্থাকে সমর্থন দেয়, এটা সবাই জানে। ইরানের বিরুদ্ধে যে কত রকম উসকানি তারা দিয়েছে, সে কথা সবাই জানে। কিন্তু আমাদের প্রজ্ঞার কারণে সে খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়নি।
২ জানুয়ারি তেহরানের সৌদি দূতাবাস ও কনস্যুলেট ভবনে যে হামলা হলো, ইরান সরকার দ্ব্যর্থহীনভাবে তার সমালোচনা করেছে, তারা সৌদি কূটনীতিকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করেছে। ইরান সরকার সৌদি দূতাবাসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়, এমনকি সরকার হামলাকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারেও নিজেদের সংকল্প ব্যক্ত করে। দায়িত্বরত অবস্থায় যারা দূতাবাসকে হামলার হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি, সরকার তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ইরান সরকার অভ্যন্তরীণ তদন্তও শুরু করেছে।
এর বিপরীতে সৌদি সরকার তিন বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ইয়েমেন, লেবানন ও পাকিস্তানের ইরান দূতাবাসে সরাসরি হামলা চালিয়েছে, এতে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি ইরানি কূটনীতিকেরাও প্রাণ হারিয়েছেন। তা ছাড়া গতবারের হজে যে পদদলন ঘটল, তা সৌদি কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই ঘটেছে, সেখানে ৪৬৪ জন ইরানি হাজি মারা গেছেন। এরপর তারা বেশ কয়েক দিন ধরে শোকাহত পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি; এমনকি নিহত হাজিদের স্বজনেরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের আবদেন করলেও সৌদি আরব তা নাকচ করেছে। হাজিদের মরদেহ ইরানে ফেরত পাঠাতেও রিয়াদ বিলম্ব করেছে।
ইরান এবং সব শিয়া মুসলমানের বিরুদ্ধে সৌদি সরকার ও তাদের মদদপুষ্টদের ঘৃণা ছড়ানোর কথা আর নাই-বা বললাম। শেখ নিমরের শিরশ্ছেদের আগে সৌদি আরবের একজন ইমাম শিয়াদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়েছেন, যিনি গতবার বলেছিলেন, ‘শিয়াদের সঙ্গে আমাদের মতানৈক্য কোনো দিনই দূর হবে না, ফলে তাদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে আমাদের আত্মহননও শেষ হবে না।’
এত কিছু সত্ত্বেও ইরান সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা তো দূরের কথা, সম্পর্ক খারাপ পর্যন্ত করতে চায়নি। এত দিন ইরান বেশ নিয়ন্ত্রিত আচরণ করেছে, কিন্তু এই ‘নিয়ন্ত্রণ’ একতরফা চলতে পারে না।
সৌদি নেতাদের এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে: তাঁদের হয় চরমপন্থা উসকে দিয়ে গোষ্ঠীবাদী ঘৃণার আগুনে ঘি ঢালতে হবে, না হয় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জনে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা আশা করি, যুক্তির জয় হবে।
নিউইয়র্ক টাইমস থেকে নেওয়া, অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ: ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সারা পৃথিবী শিগগিরই সেই ঐতিহাসিক চুক্তির বাস্তবায়ন উদ্যাপন করতে যাচ্ছে, যে চুক্তির মধ্য দিয়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট বিপজ্জনক ও অপ্রয়োজনীয় সংকটের সমাধান হয়েছে। সবাই আশা করেছিল এবং এখনো বিশ্বাস করে—এই সমাধানের মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের চরমপন্থা সমস্যাটির দিকে দৃষ্টি দেওয়া সম্ভব হবে, যা মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা পৃথিবীকেই জেরবার করে দিচ্ছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি বারবার বলেছেন, ইরানের পররাষ্ট্রনীতির চূড়ান্ত অগ্রাধিকার হচ্ছে প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখা। আর চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বৈশ্বিক সহযোগিতাও তার পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম লক্ষ্য। রুহানি ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাগেইনস্ট ভায়োলেন্স অ্যান্ড এক্সট্রিমিজম (ওয়েভ)’ শীর্ষক এক উদ্যোগ নেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এতে অনুমোদন দিয়েছিল।
২০১৩ সালের নভেম্বরে অন্তর্বর্তীকালীন পরমাণু চুক্তি হওয়ার পর সৌদি আরব তা নস্যাৎ করার জন্য নানা চেষ্টা করে। তাদের ভয় ছিল, তারা মানুষের মনে যে ইরান-ভীতি সৃষ্টি করেছে, তা ভেঙে পড়ছে। আজ রিয়াদের অনেকেই সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের পথে শুধু বাধা হয়েই দাঁড়ায় না, তারা পুরো অঞ্চলকে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে বদ্ধপরিকর।
সৌদি আরবের ভয় হচ্ছে, তারা ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যে ভীতি সৃষ্টি করেছিল, তা দূর হয়ে গেলে বিশ্বের সামনে আসল সমস্যা উন্মোচিত হবে: সহিংস চরমপন্থায় তার সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতা। বর্বরতাটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। তারা নিজের ঘরে একই দিনে তলোয়ার দিয়ে ৪৭ জন বন্দীর মাথা কেটেছে, যাঁদের মধ্যে শ্রদ্ধাভাজন ধর্মীয় পণ্ডিত শেখ নিমর আল-নিমরও ছিলেন, যিনি জীবনভর অহিংসা ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন। আর বিদেশে মুখোশ পরা মানুষেরা ছুরি দিয়ে লোকজনের মাথা কাটছে।
আমরা যেন এই সত্য ভুলে না যাই: ১১ সেপ্টেম্বরের বীভৎসতা থেকে শুরু করে স্যান বার্নার্দিনোর হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য চরমপন্থী হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি এবং আল-কায়েদা ও নুসরা ফ্রন্টের প্রায় সব সদস্যই হয় সৌদি নাগরিক ছিলেন অথবা পেট্রো ডলারের টাকায় জীবিকা নির্বাহ করে এমন বক্তৃতাবাগীশ মানুষেরা তাঁদের মগজধোলাই করেছিলেন।
সৌদি আরবের কৌশল হচ্ছে পরমাণু চুক্তি নস্যাৎ করা এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা জিইয়ে রাখা, এমনকি তা আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাওয়া। এই কৌশলের তিনটি উপাদান আছে: পশ্চিমকে চাপ দেওয়া, চরমপন্থাকে পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং ইয়েমেনে যুদ্ধ বাধিয়ে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা আরও তীব্র করা; আর ইরানকে সরাসরি উসকানি দেওয়া। রিয়াদ যে ইয়েমেনে যুদ্ধ লাগিয়েছে বা তারা যে চরমপন্থাকে সমর্থন দেয়, এটা সবাই জানে। ইরানের বিরুদ্ধে যে কত রকম উসকানি তারা দিয়েছে, সে কথা সবাই জানে। কিন্তু আমাদের প্রজ্ঞার কারণে সে খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়নি।
২ জানুয়ারি তেহরানের সৌদি দূতাবাস ও কনস্যুলেট ভবনে যে হামলা হলো, ইরান সরকার দ্ব্যর্থহীনভাবে তার সমালোচনা করেছে, তারা সৌদি কূটনীতিকদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করেছে। ইরান সরকার সৌদি দূতাবাসের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়, এমনকি সরকার হামলাকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার ব্যাপারেও নিজেদের সংকল্প ব্যক্ত করে। দায়িত্বরত অবস্থায় যারা দূতাবাসকে হামলার হাত থেকে রক্ষা করতে পারেনি, সরকার তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। আর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ইরান সরকার অভ্যন্তরীণ তদন্তও শুরু করেছে।
এর বিপরীতে সৌদি সরকার তিন বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ইয়েমেন, লেবানন ও পাকিস্তানের ইরান দূতাবাসে সরাসরি হামলা চালিয়েছে, এতে স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি ইরানি কূটনীতিকেরাও প্রাণ হারিয়েছেন। তা ছাড়া গতবারের হজে যে পদদলন ঘটল, তা সৌদি কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই ঘটেছে, সেখানে ৪৬৪ জন ইরানি হাজি মারা গেছেন। এরপর তারা বেশ কয়েক দিন ধরে শোকাহত পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি; এমনকি নিহত হাজিদের স্বজনেরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগের আবদেন করলেও সৌদি আরব তা নাকচ করেছে। হাজিদের মরদেহ ইরানে ফেরত পাঠাতেও রিয়াদ বিলম্ব করেছে।
ইরান এবং সব শিয়া মুসলমানের বিরুদ্ধে সৌদি সরকার ও তাদের মদদপুষ্টদের ঘৃণা ছড়ানোর কথা আর নাই-বা বললাম। শেখ নিমরের শিরশ্ছেদের আগে সৌদি আরবের একজন ইমাম শিয়াদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়েছেন, যিনি গতবার বলেছিলেন, ‘শিয়াদের সঙ্গে আমাদের মতানৈক্য কোনো দিনই দূর হবে না, ফলে তাদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে আমাদের আত্মহননও শেষ হবে না।’
এত কিছু সত্ত্বেও ইরান সৌদি আরবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা তো দূরের কথা, সম্পর্ক খারাপ পর্যন্ত করতে চায়নি। এত দিন ইরান বেশ নিয়ন্ত্রিত আচরণ করেছে, কিন্তু এই ‘নিয়ন্ত্রণ’ একতরফা চলতে পারে না।
সৌদি নেতাদের এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে: তাঁদের হয় চরমপন্থা উসকে দিয়ে গোষ্ঠীবাদী ঘৃণার আগুনে ঘি ঢালতে হবে, না হয় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জনে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা আশা করি, যুক্তির জয় হবে।
নিউইয়র্ক টাইমস থেকে নেওয়া, অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ: ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
No comments