অবশেষে জামিন পেল শিশুটি
রাজনৈতিক মামলায় দুই বছর ধরে বন্দী শিশুটি অবশেষে জামিন পেল। গতকাল বুধবার একটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষে আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার শিশু আদালতের বিচারক জেসমিন আরা বেগম শিশুটির জামিন মঞ্জুর করেন।
২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা হরতাল চলাকালে বিমানবন্দর এলাকায় পটকা ফোটানোর মামলায় শিশুটি টঙ্গীর কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রে বন্দী ছিল। এই মামলার অন্য সব আসামি জামিন পেলেও শিশুটি পায়নি। তার পক্ষে কোনো আইনজীবীও ছিলেন না। এ নিয়ে গতকাল প্রথম আলোয় ‘রাজনৈতিক মামলায় দুই বছর কারাগারে শিশুটি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এরপর মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্টের পক্ষে আইনজীবী এ এম জামিউল হক আদালতে শিশুটির জামিনের আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, মামলার এজাহারে শিশুটির বয়স দেখানো হয়েছে ১৪ বছর। অথচ মেডিকেল পরীক্ষা করাননি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। কেবল এই ঘটনা নয়, এমন অনেক শিশুর বয়স পুলিশ ইচ্ছেমতো লিখে দিচ্ছে। এতে ওই শিশুরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার আবেদন জানান।
শুনানি শেষে আদালত শিশুটির জামিন মঞ্জুর করেন। এ সময় বিচারক জেসমিন আরা বেগম আইনজীবী জামিউলের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা মানবাধিকার সংগঠনের লোকজন এত দিন কোথায় ছিলেন? কেন এই শিশুটি এত দিন আইনগত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলো? বিচার করার সময় দেখি, মানবাধিকার সংগঠনের লোকজন আদালতে উপস্থিত থাকেন না। অথচ অনেক শিশু আইনগত সুবিধা পাচ্ছে না।’
শিশুটির জামিনের বিষয়ে ব্লাস্টের আইনজীবী জামিউল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিশুটিকে আইনগত সহায়তা দিতে খোঁজখবর নিচ্ছিলাম। এ নিয়ে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই তার জামিনের আবেদন করা হলে আদালত আমার জিম্মায় শিশুটির জামিন মঞ্জুর করেন।’
প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নথি অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় পটকা ফোটানোর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অন্য শিশুদের সঙ্গে এই শিশুকেও আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। পরে অন্যদের ছেড়ে দিয়ে তাকে ওই ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এজাহারে তাকে ছাড়াও টঙ্গীর চা দোকানদার রোমান, কুদ্দুস, মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী বাবুলসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের উত্তরা থানা শাখার সভাপতি আসলাম হোসাইনকে। আসামিদের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসলাম, কুদ্দুস ও রোমানের সহযোগিতায় ওই শিশু পটকা ফোটায়। তবে তদন্ত শেষে পুলিশ আসলাম ও কুদ্দুসকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার অন্য আসামিরা জামিন পেয়েছেন। টঙ্গীর কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রে বন্দী শিশুটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে।
২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের ডাকা হরতাল চলাকালে বিমানবন্দর এলাকায় পটকা ফোটানোর মামলায় শিশুটি টঙ্গীর কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রে বন্দী ছিল। এই মামলার অন্য সব আসামি জামিন পেলেও শিশুটি পায়নি। তার পক্ষে কোনো আইনজীবীও ছিলেন না। এ নিয়ে গতকাল প্রথম আলোয় ‘রাজনৈতিক মামলায় দুই বছর কারাগারে শিশুটি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এরপর মানবাধিকার সংগঠন ব্লাস্টের পক্ষে আইনজীবী এ এম জামিউল হক আদালতে শিশুটির জামিনের আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, মামলার এজাহারে শিশুটির বয়স দেখানো হয়েছে ১৪ বছর। অথচ মেডিকেল পরীক্ষা করাননি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। কেবল এই ঘটনা নয়, এমন অনেক শিশুর বয়স পুলিশ ইচ্ছেমতো লিখে দিচ্ছে। এতে ওই শিশুরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার আবেদন জানান।
শুনানি শেষে আদালত শিশুটির জামিন মঞ্জুর করেন। এ সময় বিচারক জেসমিন আরা বেগম আইনজীবী জামিউলের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা মানবাধিকার সংগঠনের লোকজন এত দিন কোথায় ছিলেন? কেন এই শিশুটি এত দিন আইনগত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলো? বিচার করার সময় দেখি, মানবাধিকার সংগঠনের লোকজন আদালতে উপস্থিত থাকেন না। অথচ অনেক শিশু আইনগত সুবিধা পাচ্ছে না।’
শিশুটির জামিনের বিষয়ে ব্লাস্টের আইনজীবী জামিউল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিশুটিকে আইনগত সহায়তা দিতে খোঁজখবর নিচ্ছিলাম। এ নিয়ে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই তার জামিনের আবেদন করা হলে আদালত আমার জিম্মায় শিশুটির জামিন মঞ্জুর করেন।’
প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নথি অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় পটকা ফোটানোর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অন্য শিশুদের সঙ্গে এই শিশুকেও আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। পরে অন্যদের ছেড়ে দিয়ে তাকে ওই ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এজাহারে তাকে ছাড়াও টঙ্গীর চা দোকানদার রোমান, কুদ্দুস, মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী বাবুলসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের উত্তরা থানা শাখার সভাপতি আসলাম হোসাইনকে। আসামিদের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসলাম, কুদ্দুস ও রোমানের সহযোগিতায় ওই শিশু পটকা ফোটায়। তবে তদন্ত শেষে পুলিশ আসলাম ও কুদ্দুসকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার অন্য আসামিরা জামিন পেয়েছেন। টঙ্গীর কিশোর উন্নয়নকেন্দ্রে বন্দী শিশুটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ছে।
No comments