গণধর্ষণের পর গুলি করে কুয়ায় ফেলে দেয়া এক কিশোরীর বেঁচে থাকার অবিশ্বাস্য গল্প
ধর্ষণের
ক্ষান্ত হয়নি ধর্ষকরা। আলামত শেষ করে দেয়ার পরিকল্পনায় গুলি করে মেয়েটিকে।
এরপর ফেলে দেয় গ্রামের শস্যক্ষেতের মাঝে অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত কুয়ায়।
কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় বেঁচে যায় সেই সাহসী মেয়েটি। এমনকি বুকে
লাগা একটি গুলিও নিজে নিজে বের করে ফেলে সে। ১৩ বছর বয়সী এই অসীম সাহসী
মেয়েটি রাতের প্রায় ১০ ঘণ্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে সকালে উদ্ধার হয়
স্থানীয় কৃষকের দ্বারা।
ঘটনা ভারতের রাজধানীর কাছাকাছি উত্তর প্রদেশের নয়দার। গত ২২ নভেম্বর কিশোরীটি দোকানে গিয়েছিল কিছু কিনতে। ফেরার পথে তাকে অপহরণ করে তিনজন। এরপর একটি বাগান বাড়িতে পনের দিন ধরে চলতে থাকে গণধর্ষণ। এরপর উদ্যোগ নেয় আলামত ধ্বংসের।
ঘটনা ভারতের রাজধানীর কাছাকাছি উত্তর প্রদেশের নয়দার। গত ২২ নভেম্বর কিশোরীটি দোকানে গিয়েছিল কিছু কিনতে। ফেরার পথে তাকে অপহরণ করে তিনজন। এরপর একটি বাগান বাড়িতে পনের দিন ধরে চলতে থাকে গণধর্ষণ। এরপর উদ্যোগ নেয় আলামত ধ্বংসের।
এই সেই কুয়া |
ডিসেম্বরের
৫ তারিখে রাতে মেয়েটিকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে কয়েকটি গুলি করে
ধর্ষণকারীরা। এরপর ফসলের মাঠের মাঝে অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত কুয়ায় ফেলে দেয়
তাকে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যাকে বাঁচিয়ে রাখবেন তিনি কি আর গুলিতে মারা
যাবেন? শুরু হয় তার বেঁচে থাকার সংগ্রাম।
১০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে সকালে সূর্যের আলো ফুটে। চলতে থাকে তার বেঁচে থাকার আকুতি। মাঠে এসেছিল একটি বালক। সে কিছু একটা শব্দ শুনে বাড়িতে ফিরে তার চাচাকে জানায়। চাচা বাবল এসে অনেক খোঁজাখুঁজির পর আবিষ্কার করেন শব্দ আসছে কুয়া থেকে। এরপর তারা দেখতে পান নগ্ন, রক্তাক্ত মেয়েটিকে। খবর দেয়া হয় পুলিশে।
১০ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে সকালে সূর্যের আলো ফুটে। চলতে থাকে তার বেঁচে থাকার আকুতি। মাঠে এসেছিল একটি বালক। সে কিছু একটা শব্দ শুনে বাড়িতে ফিরে তার চাচাকে জানায়। চাচা বাবল এসে অনেক খোঁজাখুঁজির পর আবিষ্কার করেন শব্দ আসছে কুয়া থেকে। এরপর তারা দেখতে পান নগ্ন, রক্তাক্ত মেয়েটিকে। খবর দেয়া হয় পুলিশে।
উদ্ধারের
উপায় হিসেবে দড়ি ফেলেন কুয়ায়। মেয়েটি তার সর্বশক্তি দিয়ে দড়িটি আগলে ধরে
রাখে। উদ্ধারের পর মোটরসাইকেলের সাহায্যে যখন হাসপাতালে পৌঁছানো হয়, তখন
ডাক্তাররা বিষয়টিতে এতোই হতবাক হয়েছিলেন যে, শুধু ‘অবিশ্বাস্য’ ছাড়া আর
কোনো মন্তব্য করতে পারেননি।
৪২ বছর বয়সী বাবল জানায়, মেয়েটি বলছিল, ‘আমি খুবই ব্যাথা পাচ্ছি, কিন্তু আমি বাঁচতে চাই’। তার বেঁচে থাকাটা মিরাকল হিসেবেই উল্লেখ করেন বাবল।
ডাক্তারদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেরে উঠে মেয়েটি।
৪২ বছর বয়সী বাবল জানায়, মেয়েটি বলছিল, ‘আমি খুবই ব্যাথা পাচ্ছি, কিন্তু আমি বাঁচতে চাই’। তার বেঁচে থাকাটা মিরাকল হিসেবেই উল্লেখ করেন বাবল।
ডাক্তারদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেরে উঠে মেয়েটি।
No comments