ট্যানারি স্থানান্তর ২৫ মালিককে শোকজ by এমএম মাসুদ
রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি না
সরানোর কারণে ২৫টি ট্যানারির মালিকের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছে
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে
ট্যানারি সরাতে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর আলটিমেটামের শেষ দিনে এ নোটিশ
পাঠানো হয়। সূত্র জানায়, মূলত চাপ দেয়া ও কাজে গতি আনতেই এ আলটিমেটাম।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এখনও অনেক কাজ বাকি। মন্ত্রীর বেঁধে দেয়া সময়সীমার
মধ্যে তো হবেই না। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেও পুরোপুরি সম্পন্ন করা সম্ভব
নয়। এ ছাড়া মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) একই
রকম মনে করে। এর আগে ট্যানারি স্থানান্তরে গত বছরের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত
সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শিল্পমন্ত্রী। এদিকে শিল্পমন্ত্রী বুধবার এক অনুষ্ঠানে
বলেছেন, যারা একেবারেই কাজ শুরু করেনি তাদের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ যাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চামড়াশিল্প নগরীতে ১৫৫টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে ৪র্থ তলার ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে ১টি, ২য় তলার ৫টি ও প্রথম তলার ৩৪টি। পাইলিং শেষ করে গ্রেটবিম ও কলাম ঢালাই হয়েছে ২৮টির। আরও ১৪টির পাইলিং শেষ হয়েছে, চলমান রয়েছে ৭টি। পাইল কাস্টিং শেষে পাইল ড্রাইভ করেছে ৭টি; পাইল কাস্টিং করেছে ৩টি; বেস ঢালাই শেষ করে গ্রেটবিম ও কলাম ঢালাই করেছে ২৪টি, বেস ঢালাইয়ের জন্য মাটি খনন ও নির্মাণ উপাদান এনেছে ৬টি, বাউন্ডারি ওয়াল ও গার্ড শেড করেছে ৫টি, শুধু বাউন্ডারি ওয়াল করেছে ১টি ট্যানারি। এ ছাড়া মামলাজনিত কারণে বরাদ্দপত্র জারি হয়নি ১টি ট্যানারির। এদিকে শিল্পনগরীর অবকাঠমো নির্মাণের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এখন কাজ চলছে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণের। এর অংশ হিসেবে ৪টি মডিউল নির্মাণের কথা রয়েছে। কিন্তু এটির কাজেও ধীরগতি লক্ষণীয়। ট্যানারি মালিকদের বারবার আলটিমেটাম দিয়েও তা থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে পিছু হটতে হয়েছে এই সিইটিপি নির্মাণ দেরি হওয়ায়।
বিসিক সূত্র জানায়, ৪টি মডিউলের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে দু’টি চালু হবে চলতি মাসের শেষের দিকে। এটি চালু হওয়ার পর যাতে বসে থাকতে না হয়, এজন্যই ট্যানারি মালিকদের নতুন এ আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। কারণ, সিইটিপি চালু হওয়ার পরে তা বসিয়ে রাখলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
চামড়াশিল্প নগরী প্রকল্পের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু বাকের সিদ্দিকী বলেন, ঘোষণা মোতাবেক ২৫টি ট্যানারি মালিকের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অবশ্য কোন কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি তিনি। তিনি বরেন, সিইটিপি’র দু’টি মডিউল চলতি মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এই মুহূর্তে ২০টি কারখানা সাভারে শিল্প নগরীতে উৎপাদন শুরু করতে পারবে। এই প্রকল্পে একটি চীনা কোম্পানি কাজ করছে। যাদের সামর্থ্য আছে তারা ইচ্ছা করলে এখনই কারখানা স্থানানন্তর করে যেতে পারবে বলে জানান তিনি।
ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস ফুটওয়্যার অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেন, যারা ২০ শতাংশ সরকারি ক্ষতিপূরণ নিয়েও কাজ শুরু করেনি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে সংগঠন হিসেবে আমরা বাধা দেবো না, কেননা তারা যোগ্যতা হারিয়েছে।
বিটিএ সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, সাভারের চামড়াশিল্প নগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণকাজ চলছে, যা শেষ হতে এ মাস লেগে যাবে। ফলে সেখানে স্থানান্তর হওয়ার পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। তবে আগামী এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে ৩০ শতাংশ ট্যানারি স্থানান্তর করা সম্ভব হতে পারে।
জানা গেছে, ২০০৩ সালে তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৭৬ কোটি টাকা। এরপর রাজধানীর অদূরে সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরায় ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ২০০৫ সালের মধ্যে স্থানীয় জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সংযোগের বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়। ১৭ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন সিইটিপি নির্মাণে অনেক বেগ পেতে হয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর চার পর্যায়ে ৬১৪ শতাংশ বাড়িয়ে প্রকল্পের ব্যয় ধার্য করা হয় ১ হাজার ৭৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এরপর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আগের প্রক্রিয়া বাতিল করে নতুন কোন কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। নানা কারণে ওই সরকারের শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া কাজটি করতে পারেননি। এরপর ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আমির হোসেন আমু। তার কর্মপরিকল্পনায় চামড়া শিল্পনগরী অগ্রাধিকার পেলেও নির্ধারিত সময়ে সিইটিপি’র কাজ এখনো শেষ করতে পারেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চামড়াশিল্প নগরীতে ১৫৫টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে ৪র্থ তলার ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে ১টি, ২য় তলার ৫টি ও প্রথম তলার ৩৪টি। পাইলিং শেষ করে গ্রেটবিম ও কলাম ঢালাই হয়েছে ২৮টির। আরও ১৪টির পাইলিং শেষ হয়েছে, চলমান রয়েছে ৭টি। পাইল কাস্টিং শেষে পাইল ড্রাইভ করেছে ৭টি; পাইল কাস্টিং করেছে ৩টি; বেস ঢালাই শেষ করে গ্রেটবিম ও কলাম ঢালাই করেছে ২৪টি, বেস ঢালাইয়ের জন্য মাটি খনন ও নির্মাণ উপাদান এনেছে ৬টি, বাউন্ডারি ওয়াল ও গার্ড শেড করেছে ৫টি, শুধু বাউন্ডারি ওয়াল করেছে ১টি ট্যানারি। এ ছাড়া মামলাজনিত কারণে বরাদ্দপত্র জারি হয়নি ১টি ট্যানারির। এদিকে শিল্পনগরীর অবকাঠমো নির্মাণের কাজ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। এখন কাজ চলছে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণের। এর অংশ হিসেবে ৪টি মডিউল নির্মাণের কথা রয়েছে। কিন্তু এটির কাজেও ধীরগতি লক্ষণীয়। ট্যানারি মালিকদের বারবার আলটিমেটাম দিয়েও তা থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে পিছু হটতে হয়েছে এই সিইটিপি নির্মাণ দেরি হওয়ায়।
বিসিক সূত্র জানায়, ৪টি মডিউলের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে দু’টি চালু হবে চলতি মাসের শেষের দিকে। এটি চালু হওয়ার পর যাতে বসে থাকতে না হয়, এজন্যই ট্যানারি মালিকদের নতুন এ আলটিমেটাম দেয়া হয়েছে। কারণ, সিইটিপি চালু হওয়ার পরে তা বসিয়ে রাখলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
চামড়াশিল্প নগরী প্রকল্পের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু বাকের সিদ্দিকী বলেন, ঘোষণা মোতাবেক ২৫টি ট্যানারি মালিকের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অবশ্য কোন কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি তিনি। তিনি বরেন, সিইটিপি’র দু’টি মডিউল চলতি মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এই মুহূর্তে ২০টি কারখানা সাভারে শিল্প নগরীতে উৎপাদন শুরু করতে পারবে। এই প্রকল্পে একটি চীনা কোম্পানি কাজ করছে। যাদের সামর্থ্য আছে তারা ইচ্ছা করলে এখনই কারখানা স্থানানন্তর করে যেতে পারবে বলে জানান তিনি।
ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস ফুটওয়্যার অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেন, যারা ২০ শতাংশ সরকারি ক্ষতিপূরণ নিয়েও কাজ শুরু করেনি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে সংগঠন হিসেবে আমরা বাধা দেবো না, কেননা তারা যোগ্যতা হারিয়েছে।
বিটিএ সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, সাভারের চামড়াশিল্প নগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণকাজ চলছে, যা শেষ হতে এ মাস লেগে যাবে। ফলে সেখানে স্থানান্তর হওয়ার পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। তবে আগামী এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে ৩০ শতাংশ ট্যানারি স্থানান্তর করা সম্ভব হতে পারে।
জানা গেছে, ২০০৩ সালে তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৭৬ কোটি টাকা। এরপর রাজধানীর অদূরে সাভারের হেমায়েতপুরের হরিণধরায় ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ২০০৫ সালের মধ্যে স্থানীয় জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সংযোগের বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়। ১৭ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন সিইটিপি নির্মাণে অনেক বেগ পেতে হয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর চার পর্যায়ে ৬১৪ শতাংশ বাড়িয়ে প্রকল্পের ব্যয় ধার্য করা হয় ১ হাজার ৭৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। এরপর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আগের প্রক্রিয়া বাতিল করে নতুন কোন কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। নানা কারণে ওই সরকারের শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া কাজটি করতে পারেননি। এরপর ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আমির হোসেন আমু। তার কর্মপরিকল্পনায় চামড়া শিল্পনগরী অগ্রাধিকার পেলেও নির্ধারিত সময়ে সিইটিপি’র কাজ এখনো শেষ করতে পারেননি।
No comments