সামনের দিনগুলো যে কেমনে যাবে, শঙ্কায় রাব্বী
বাংলাদেশ
ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীর এখনো আতঙ্ক ও হতাশা কাটেনি। কেমন আছেন
জানতে চাইলে বলেন, ‘আল্লাহ রাখছে ভালোই। কিন্তু ঘুমাইতে পারি না। সামনের
দিনগুলো যে কেমনে যাবে?’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এভাবেই বলছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের এই কর্মকর্তা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। রাতে ঘুম হয়নি। সকাল থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদকর্মীদের ভিড় লেগে ছিল। এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে দফায় দফায় জেরার কারণে চরম বিরক্ত এই কর্মকর্তা।
গোলাম রাব্বী বলেন, ‘জীবনে কখনো ভাবিনি পুলিশের কাছে স্টেটমেন্ট দিতে হবে। পুলিশ এসে বারবার ঘটনার সময়ের হিসাব চায়। আমি তো স্ক্রিপ্ট লিখতে বসিনি। এটা তো সিনেমা-নাটক না। পুলিশ আমার কাছ থেকে সময়ের গরমিল বের করে বলতে চায়, ঘটনা তো এটা না। আমার গায়ে ক্ষত নেই, আবার ক্ষত আছেও। তারা তা পরিমাপ করতে চায়।’
গত শনিবার রাত ১১টার দিকে গোলাম রাব্বী মোহাম্মদপুরে তাঁর খালার বাসা থেকে কল্যাণপুরে নিজের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে হঠাৎ পেছন থেকে পুলিশের এক সদস্য তাঁর শার্টের কলার ধরে বলেন, ‘তোর কাছে ইয়াবা আছে।’ তিনি অস্বীকার করলে, তাঁকে ধরে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শিকদারের কাছে নিয়ে যান পুলিশের ওই সদস্য। এসআই মাসুদও তাঁকে বলেন, তাঁর (রাব্বী) কাছে ইয়াবা আছে। তিনি আবারও অস্বীকার করলে এসআই মাসুদসহ পুলিশের সদস্যরা তাঁকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁকে জোর করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। তারপর চালানো হয় নানা নির্যাতন।
পুলিশের হাত থেকে ‘প্রাণ’ নিয়ে ফিরে আসাটাকে রাব্বীর ভাষায় ‘পুনর্জন্ম’। তবে তাঁর মতো আর কাউকে যেন পুলিশের হাতে হেনস্তা হতে না হয়, সে কথা বলতে থাকেন বারবার।
রাব্বী বলেন, ‘কোনোমতেই ঘুম আসে না। শুধু ওই কথা মনে হয়। রাতে ঘটনা ঘটেছে, তাই রাতের বেলায় মাথার যন্ত্রণাটা বাড়ে কি না, কে জানে। শুধু ভাবি, আমার যে সম্মানহানি হলো, স্বাভাবিক জীবন কেড়ে নিল, গত সাত থেকে আট দিনের, সেকেন্ডের হিসাবে যে কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হলো তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে? হাসপাতাল থেকে বের হয়ে বাইরে যাব চিন্তা করলেই ভয় লাগে। আবার মনে হয়, বাইরে বের হলেই কি স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাব?’
হাসপাতালে থাকা রাব্বীর বন্ধু ওসমান গণি বলেন, ‘রাব্বী ঘুমিয়ে যায়, তবে একটু পরই লাফিয়ে ওঠে। মারল, ধরল, মা ওরা আমাকে মেরে ফেলল—এভাবে চিৎকার করতে থাকে। আর হাউমাউ করে কান্না। তখন কয়েকজন মিলেও ওকে সামলানো যায় না।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মানসিক বিভাগের রেজিস্ট্রার চিকিৎসক রশিদুল হক ‘প্রথম আলো’কে বলেন, ‘আমি দীর্ঘক্ষণ রাব্বীর সঙ্গে কথা বলেছি। বড় কোনো ধরনের ঘটনা ঘটার পর যে সমস্যা হয়, রাব্বীরও তাই হয়েছে। ও সারাক্ষণ ভাবছে, ওকে কেউ মেরে ফেলবে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ভবিষ্যতে কী হবে, সে চিন্তা মাথা থেকে তাড়াতে পারছেন না। ওষুধের পাশাপাশি মানসিক অবস্থার উন্নয়নে কাউন্সেলিং চলছে।’
আজও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা হাসপাতালে রাব্বীকে দেখতে যান।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এভাবেই বলছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের এই কর্মকর্তা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। রাতে ঘুম হয়নি। সকাল থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদকর্মীদের ভিড় লেগে ছিল। এ ছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে দফায় দফায় জেরার কারণে চরম বিরক্ত এই কর্মকর্তা।
গোলাম রাব্বী বলেন, ‘জীবনে কখনো ভাবিনি পুলিশের কাছে স্টেটমেন্ট দিতে হবে। পুলিশ এসে বারবার ঘটনার সময়ের হিসাব চায়। আমি তো স্ক্রিপ্ট লিখতে বসিনি। এটা তো সিনেমা-নাটক না। পুলিশ আমার কাছ থেকে সময়ের গরমিল বের করে বলতে চায়, ঘটনা তো এটা না। আমার গায়ে ক্ষত নেই, আবার ক্ষত আছেও। তারা তা পরিমাপ করতে চায়।’
গত শনিবার রাত ১১টার দিকে গোলাম রাব্বী মোহাম্মদপুরে তাঁর খালার বাসা থেকে কল্যাণপুরে নিজের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে হঠাৎ পেছন থেকে পুলিশের এক সদস্য তাঁর শার্টের কলার ধরে বলেন, ‘তোর কাছে ইয়াবা আছে।’ তিনি অস্বীকার করলে, তাঁকে ধরে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শিকদারের কাছে নিয়ে যান পুলিশের ওই সদস্য। এসআই মাসুদও তাঁকে বলেন, তাঁর (রাব্বী) কাছে ইয়াবা আছে। তিনি আবারও অস্বীকার করলে এসআই মাসুদসহ পুলিশের সদস্যরা তাঁকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁকে জোর করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। তারপর চালানো হয় নানা নির্যাতন।
পুলিশের হাত থেকে ‘প্রাণ’ নিয়ে ফিরে আসাটাকে রাব্বীর ভাষায় ‘পুনর্জন্ম’। তবে তাঁর মতো আর কাউকে যেন পুলিশের হাতে হেনস্তা হতে না হয়, সে কথা বলতে থাকেন বারবার।
রাব্বী বলেন, ‘কোনোমতেই ঘুম আসে না। শুধু ওই কথা মনে হয়। রাতে ঘটনা ঘটেছে, তাই রাতের বেলায় মাথার যন্ত্রণাটা বাড়ে কি না, কে জানে। শুধু ভাবি, আমার যে সম্মানহানি হলো, স্বাভাবিক জীবন কেড়ে নিল, গত সাত থেকে আট দিনের, সেকেন্ডের হিসাবে যে কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হলো তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে? হাসপাতাল থেকে বের হয়ে বাইরে যাব চিন্তা করলেই ভয় লাগে। আবার মনে হয়, বাইরে বের হলেই কি স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাব?’
হাসপাতালে থাকা রাব্বীর বন্ধু ওসমান গণি বলেন, ‘রাব্বী ঘুমিয়ে যায়, তবে একটু পরই লাফিয়ে ওঠে। মারল, ধরল, মা ওরা আমাকে মেরে ফেলল—এভাবে চিৎকার করতে থাকে। আর হাউমাউ করে কান্না। তখন কয়েকজন মিলেও ওকে সামলানো যায় না।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মানসিক বিভাগের রেজিস্ট্রার চিকিৎসক রশিদুল হক ‘প্রথম আলো’কে বলেন, ‘আমি দীর্ঘক্ষণ রাব্বীর সঙ্গে কথা বলেছি। বড় কোনো ধরনের ঘটনা ঘটার পর যে সমস্যা হয়, রাব্বীরও তাই হয়েছে। ও সারাক্ষণ ভাবছে, ওকে কেউ মেরে ফেলবে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ভবিষ্যতে কী হবে, সে চিন্তা মাথা থেকে তাড়াতে পারছেন না। ওষুধের পাশাপাশি মানসিক অবস্থার উন্নয়নে কাউন্সেলিং চলছে।’
আজও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা হাসপাতালে রাব্বীকে দেখতে যান।
No comments