কবে কখন কোথায় কী

২০১৬ সাল আসার সঙ্গে সঙ্গে দাপ্তরিকভাবে নির্বাচনের বছরে পা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফেব্রুয়ারি থেকেই ভোটাররা দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট দেওয়া শুরু করবেন। নভেম্বরে চূড়ান্ত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দলীয় মনোনয়ন পেতে প্রার্থীদের হাঁটতে হবে অনেক পথ। মার্কিন নির্বাচন নিয়ে যাঁদের আগ্রহ বেশি, গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলো তাঁরা টুকে নিতে পারেন এখনই।
১ফেব্রুয়ারি
আইওয়া অঙ্গরাজ্যে দলীয় ককাসের মাধ্যমে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের আনুষ্ঠানিক দৌড় শুরু হবে। গতানুগতিক কথা হচ্ছে, আইওয়াতে টিকিট আছে মাত্র তিনটি। অর্থাৎ, প্রতিটি দলের ককাসে যে তিনজন সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন, চূড়ান্ত দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ থাকবে কেবল তাঁদেরই। অবশ্য, এবার তা সত্যি না-ও হতে পারে। যদিও ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক দলের মাত্র তিনজন বর্তমানে প্রতিযোগিতার মাঠ সরগরম করছেন, মার্টিন ও’ম্যালের মতো পিছিয়ে পড়া ডেমোক্র্যাটদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিতে পারে আইওয়া। প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান দলে এখনো এক ডজন ব্যক্তি মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন।
৯ফেব্রুয়ারি
প্রতিটি দলের প্রতিযোগিতা কতটা লম্বা হবে, নয় দিনের মাথায় নিউ হ্যাম্পশায়ারে অনুষ্ঠেয় ‘ফার্স্ট-ইন-দি-নেশন’ প্রাইমারিতেই তা পরিষ্কার হতে পারে। এখানে ডেমোক্র্যাট সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স জিতলে প্রচারণা লম্বা হতে পারে। কিন্তু সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন জিতলে ডেমোক্র্যাটদের প্রাইমারি আগেভাগেই শেষ হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে রিপাবলিকানদের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখানে জিতলে তাদের প্রাইমারি প্রলম্বিত ও বিশৃঙ্খলাপূর্ণ হতে পারে।
২০ফেব্রুয়ারি
এদিন দুটি প্রতিযোগিতা রয়েছে। রিপাবলিকানদের ‘ফার্স্ট-ইন-দি-সাউথ’ প্রাইমারি হবে সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ায়। ডেমোক্র্যাটদের ককাস হবে নেভাদায়। ‘কুৎসিত ও পঙ্কিল রাজনীতি’র জন্য কুখ্যাত সাউথ ক্যালিফোর্নিয়া বহু যুদ্ধবীরের আবাসস্থল। সেখানে রিপাবলিকানদের শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী টেড ক্রুজ, মারকো রুবিও ও ট্রাম্পের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই হবে। অন্যদিকে আইওয়া ও নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাইরে নেভাদা হবে বার্নি স্যান্ডার্সের জন্য বড় পরীক্ষা।
১মার্চ
কলেজ ফুটবলে সাউথ-ইস্টার্ন কনফারেন্স নামে পরিচিত দক্ষিণাঞ্চলীয় ছয়টি অঙ্গরাজ্যে প্রাইমারি হবে এদিন, যা ‘সুপার টুয়েস ডে’ নামে পরিচিত। এদিন ম্যাসাচুসেটস, মিনোসেটাসহ আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যেও প্রতিযোগিতা হবে। ক্রুজ ও ট্রাম্পের মতো প্রার্থীরা দীর্ঘদিন দক্ষিণাঞ্চলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেখানে ভালো করলে নিশ্চিতভাবেই ‘ফ্রন্ট-রানার’ হয়ে যাবেন।
১৫মার্চ
রিপাবলিকানদের নিয়মানুযায়ী, প্রথমদিকের প্রাইমারিগুলোতে পাওয়া ভোটের ভিত্তিতে দলের চূড়ান্ত সম্মেলনে প্রার্থীদের পক্ষে প্রতিনিধি পাঠায় অঙ্গরাজ্যগুলো। ১৫ মার্চ থেকে তা বদলে হয়ে যায় ‘উইনার টেকস অল’। অর্থাৎ, একটি অঙ্গরাজ্যে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া ব্যক্তির দখলে চলে যাবে সেখানকার সব প্রতিনিধি। ১৫ মার্চ ফ্লোরিডা ও ওহাইওতে ভোট হবে। জেব বুশ ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর; মারকো রুবি সেখানকার সিনেটর। ওহাইওর গভর্নর জন কাসিচও রয়েছেন প্রতিযোগিতায়। এটা হবে তাঁদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ।
৭জুন
ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ জার্সিসহ পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে ভোটের মধ্য দিয়ে প্রাইমারি শেষ হবে এদিন। সাধারণত এদিনের প্রাইমারির কথা ভুলেই যায় সবাই। তবে রিপাবলিকানদের মনোনয়ন দৌড়ের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে বলা যায়, ওই প্রাইমারিগুলোই হতে পারে দলটির প্রার্থীদের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ণায়ক।
১৮জুলাই
ক্লিভল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে শুরু হবে রিপাবলিকানদের সম্মেলন। কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক প্রতিনিধি অর্জন করতে না পারলে, ১৯৭৬ সালের পর এটাই হবে রিপাবলিকানদের প্রথম প্রতিযোগিতামূলক সম্মেলন।
২৫জুলাই
ফিলাডেলফিয়া অঙ্গরাজ্যে ডেমোক্র্যাটদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এটা রিপাবলিকানদের চেয়ে অত্যন্ত কম বিশৃঙ্খলাপূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২৬সেপ্টেম্বর
দুই দলের মনোনীত দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রথম বিতর্ক হবে; ওহাইওর ডেইটনে রাইট স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। প্রার্থীদের মধ্যে মোট তিনটি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের মধ্যে একটি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
৮নভেম্বর
এদিনই চূড়ান্তভাবে ভোট দিতে ভোট-কেন্দ্রে যাবেন মার্কিন নাগরিকেরা। পরবর্তী চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন তাঁরা। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

No comments

Powered by Blogger.