শিক্ষক ধর্মঘট ও ‘সামান্য ক্ষতি’ by সোহরাব হাসান
নতুন
বেতনকাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড বহাল ও বেতন গ্রেডের সমস্যা নিরসনের দাবিতে
সোমবার সকাল থেকে দেশের ৩৭টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষকেরা যে কর্মবিরতি পালন করছেন, সেটি এখন নতুন খবর নয়। কেননা ১১
জানুয়ারির বেশ আগেই তাঁরা এই কর্মবিরতি ওরফে ধর্মঘটের কথা জানিয়ে সরকারের
প্রতি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আহ্বান মহামতিরা যে খুব
একটা আমলে নেননি, সেটি আজ সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নীরব ও সুনসান
পরিবেশ দেখেই অনুমান করা যায়। এর আগে শিক্ষকেরা প্রতীকী কর্মবিরতি পালন
করেছেন, কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন, মানববন্ধনে মিলিত হয়ে নিজেদের দাবির কথা
জানিয়েছেন। কিন্তু তাতেও সরকার কর্ণপাত করেনি। তাদের এক কথা—বেতন-ভাতা
দ্বিগুণ করেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু করার নেই।
সত্যিই কি কিছু করার নেই? শিক্ষকেরা জাতির পথনির্দেশক। সেই শিক্ষকদের বঞ্চিত রেখে বা অসন্তুষ্ট করে কোনো জাতি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। শিক্ষকদের দাবিটি যদি অযৌক্তিকও হয়, তাহলে তাঁদের সঙ্গে বসে সে কথাটি বোঝাতে বাধা কোথায়? সরকারের মনোভাবে এমনটি হওয়া উচিত নয় যে যাতে মনে হবে তারা শিক্ষকদের চেয়ে আমলাদেরই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
এই মুহূর্তে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই। তবে যদি ধরে নিই আনুমানিক সেই সংখ্যাটি পাঁচ লাখ। তাহলে এক দিনে পাঁচ লাখ শিক্ষার্থীর একটি শিক্ষা দিবস নষ্ট হলো। দুই দিনে সেটি হবে ১০ লাখ শিক্ষা দিবস। এটি সরকারের কাছে সামান্য ক্ষতি মনে হলেও দেশের জন্য অসামান্য ক্ষতি। অসামান্য ক্ষতি ওই শিক্ষার্থীদের জন্যও। এক দিন আমলাতন্ত্র বন্ধ থাকতে পারে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকতে পারে না।
সামরিক শাসনামলে রাজনৈতিক কিংবা ছাত্র সংঘাতের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে। কিন্তু স্বৈরাচারী এরশাদের বিদায়ের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কোনো দাবিতে একযোগে ধর্মঘট পালন করেছেন, এরকম নজির নেই। যে নতুন বেতনকাঠামো নিয়ে সরকারের বাহবা পাওয়ার কথা, সেই বেতনকাঠামোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে ব্যাংকাররাও আন্দোলনে নেমেছেন। আন্দোলনে নামার কথা বলছেন প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও চিকিৎসক তথা ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তারাও। তাহলে গলদটি কোথায় তা কি সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত নয়?
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, প্রশাসন ক্যাডারদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কারণেই অন্যরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আন্দোলনে নেমেছেন।
এই লেখাটি অনলাইনে দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক কর্মবিরতি চলছিল। শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা, বছরের শুরুর দিকে লাগাতার এই কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবারও সেশনজট শুরু হবে। সাম্প্রতিক সময়ে এই সেশনজট কমে গিয়েছিল।
শিক্ষক নেতারা বলছেন, তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন না। তাহলে কি বছরের শুরুতে আমরা আরেকটি শিক্ষা বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছি?
সত্যিই কি কিছু করার নেই? শিক্ষকেরা জাতির পথনির্দেশক। সেই শিক্ষকদের বঞ্চিত রেখে বা অসন্তুষ্ট করে কোনো জাতি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। শিক্ষকদের দাবিটি যদি অযৌক্তিকও হয়, তাহলে তাঁদের সঙ্গে বসে সে কথাটি বোঝাতে বাধা কোথায়? সরকারের মনোভাবে এমনটি হওয়া উচিত নয় যে যাতে মনে হবে তারা শিক্ষকদের চেয়ে আমলাদেরই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
এই মুহূর্তে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই। তবে যদি ধরে নিই আনুমানিক সেই সংখ্যাটি পাঁচ লাখ। তাহলে এক দিনে পাঁচ লাখ শিক্ষার্থীর একটি শিক্ষা দিবস নষ্ট হলো। দুই দিনে সেটি হবে ১০ লাখ শিক্ষা দিবস। এটি সরকারের কাছে সামান্য ক্ষতি মনে হলেও দেশের জন্য অসামান্য ক্ষতি। অসামান্য ক্ষতি ওই শিক্ষার্থীদের জন্যও। এক দিন আমলাতন্ত্র বন্ধ থাকতে পারে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকতে পারে না।
সামরিক শাসনামলে রাজনৈতিক কিংবা ছাত্র সংঘাতের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার ভূরি ভূরি উদাহরণ আছে। কিন্তু স্বৈরাচারী এরশাদের বিদায়ের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা কোনো দাবিতে একযোগে ধর্মঘট পালন করেছেন, এরকম নজির নেই। যে নতুন বেতনকাঠামো নিয়ে সরকারের বাহবা পাওয়ার কথা, সেই বেতনকাঠামোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে ব্যাংকাররাও আন্দোলনে নেমেছেন। আন্দোলনে নামার কথা বলছেন প্রকৌশলী, কৃষিবিদ ও চিকিৎসক তথা ২৬ ক্যাডারের কর্মকর্তারাও। তাহলে গলদটি কোথায় তা কি সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত নয়?
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, প্রশাসন ক্যাডারদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কারণেই অন্যরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আন্দোলনে নেমেছেন।
এই লেখাটি অনলাইনে দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক কর্মবিরতি চলছিল। শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা, বছরের শুরুর দিকে লাগাতার এই কর্মবিরতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবারও সেশনজট শুরু হবে। সাম্প্রতিক সময়ে এই সেশনজট কমে গিয়েছিল।
শিক্ষক নেতারা বলছেন, তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবেন না। তাহলে কি বছরের শুরুতে আমরা আরেকটি শিক্ষা বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছি?
No comments