সুদখোর মহাজনের খপ্পরে ভাকুর্তার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
ঢাকার সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ৫০ ভরিতে মাসে পাঁচ ভরি সুদে রুপা ধার দেন এক মহাজন। সুদসমেত ধার শোধ না করলে ওই মহাজন মিথ্যা মামলা দিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাভারের হিন্দু ভাকুর্তাসহ পাশের খাগুরিয়া, ডোমরাকান্দা ও কাইসারচর গ্রামের কয়েক শ পরিবার রুপার অলংকার তৈরির পেশায় নিয়োজিত। যাদের অধিকাংশই দরিদ্র। এসব পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিরা বেশি সুদে রুপা ধার করে অলংকার তৈরি করেন। এরপর সাভার ও রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতানে বিক্রি করেন। পাশের চাইড়া গ্রামের দারোগালী নামে এক ব্যক্তি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে হিন্দু ভাকুর্তা এলাকায় সুদের ব্যবসা করছেন। তাঁর চুক্তি অনুযায়ী সুদের রুপা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে নানাভাবে হয়রানি করেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। আবার কেউ ছয় মাস পর সুদসহ আসল রুপা ফেরত দিতে চাইলে তাঁর কাছে এক বছরের সুদ দাবি করা হয়।
সুদের ব্যবসা করার কথা অস্বীকার করে দারোগালী মুঠোফোনে বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কতিপয় ব্যক্তি তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করেন। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে মামলা করায় ওই সব লোক তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ আল মামুন বলেন, দারোগালী এলাকায় অবৈধভাবে সুদের ব্যবসা করে আসছেন। সুদের টাকা অথবা রুপা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে তিনি ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা করেন। তদন্তে একটি মামলার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
হিন্দু ভাকুর্তা গ্রামের স্বর্ণকার মধু চন্দ্র দাস সুদসহ রুপা ধার করেছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী এক বছরে তাঁর আসলসহ ১১০ ভরি রুপা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে সুদের ১০ ভরি রুপা কম দেন। এ জন্য তাঁকে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।
গ্রাম পুলিশ আবদুল মোতালিব বলেন, বছর দেড়েক আগে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে দারোগালীর কাছ থেকে তিনি ৮০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সুদে-আসলে দুই লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার পরেও তাঁর স্ট্যাম্প ফেরত দেওয়া হয়নি। পরে তাঁর কাছে আরও টাকা দাবি করা হয়। পরে দারোগালী চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা করেন। মামলা দুটিতে তাঁর (মোতালিব) দুই ছেলে এবং তাঁকেসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁর দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলের বয়স ১২ বছর।
খাগুড়িয়া গ্রামের জাহিদুর রহমান ২৫ ভরি রুপা ধার নিয়ে ৫০ ভরি ফেরত দিয়েছিলেন। বাকি ৫ ভরি ফেরত দিতে না পেরে তিনি ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, সুদ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে সন্ত্রাসীদের দিয়ে হুমকি-ধমকি ও মিথ্যা মামলায় ফেলা হয়েছে।
একইভাবে খাগুড়িয়া এলাকার সাইফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, আক্তার হোসেন, হিন্দু ভাকুর্তার রুবেল হোসেন, আজিজ মিয়া, নিরঞ্জন কুমার সেন, হনু চন্দ্র দাস, সাদেক আলী, নলাকরিয়া গ্রামের মোহসিনসহ অনেকে হয়রানির শিকার হয়েছেন।
ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল আজিজ মিয়া বলেন, কেউ চুক্তি অনুযায়ী সুদ দিতে ব্যর্থ হলে দারোগালী সুদ আদায়ের জন্য নানাভাবে হয়রানি করে থাকেন।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাভারের হিন্দু ভাকুর্তাসহ পাশের খাগুরিয়া, ডোমরাকান্দা ও কাইসারচর গ্রামের কয়েক শ পরিবার রুপার অলংকার তৈরির পেশায় নিয়োজিত। যাদের অধিকাংশই দরিদ্র। এসব পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিরা বেশি সুদে রুপা ধার করে অলংকার তৈরি করেন। এরপর সাভার ও রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতানে বিক্রি করেন। পাশের চাইড়া গ্রামের দারোগালী নামে এক ব্যক্তি পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে হিন্দু ভাকুর্তা এলাকায় সুদের ব্যবসা করছেন। তাঁর চুক্তি অনুযায়ী সুদের রুপা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে নানাভাবে হয়রানি করেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। আবার কেউ ছয় মাস পর সুদসহ আসল রুপা ফেরত দিতে চাইলে তাঁর কাছে এক বছরের সুদ দাবি করা হয়।
সুদের ব্যবসা করার কথা অস্বীকার করে দারোগালী মুঠোফোনে বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কতিপয় ব্যক্তি তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করেন। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে মামলা করায় ওই সব লোক তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ আল মামুন বলেন, দারোগালী এলাকায় অবৈধভাবে সুদের ব্যবসা করে আসছেন। সুদের টাকা অথবা রুপা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে তিনি ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা করেন। তদন্তে একটি মামলার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
হিন্দু ভাকুর্তা গ্রামের স্বর্ণকার মধু চন্দ্র দাস সুদসহ রুপা ধার করেছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী এক বছরে তাঁর আসলসহ ১১০ ভরি রুপা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে সুদের ১০ ভরি রুপা কম দেন। এ জন্য তাঁকে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন।
গ্রাম পুলিশ আবদুল মোতালিব বলেন, বছর দেড়েক আগে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে দারোগালীর কাছ থেকে তিনি ৮০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সুদে-আসলে দুই লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার পরেও তাঁর স্ট্যাম্প ফেরত দেওয়া হয়নি। পরে তাঁর কাছে আরও টাকা দাবি করা হয়। পরে দারোগালী চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলা করেন। মামলা দুটিতে তাঁর (মোতালিব) দুই ছেলে এবং তাঁকেসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁর দুই ছেলের মধ্যে এক ছেলের বয়স ১২ বছর।
খাগুড়িয়া গ্রামের জাহিদুর রহমান ২৫ ভরি রুপা ধার নিয়ে ৫০ ভরি ফেরত দিয়েছিলেন। বাকি ৫ ভরি ফেরত দিতে না পেরে তিনি ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে বলেন, সুদ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁকে সন্ত্রাসীদের দিয়ে হুমকি-ধমকি ও মিথ্যা মামলায় ফেলা হয়েছে।
একইভাবে খাগুড়িয়া এলাকার সাইফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, আক্তার হোসেন, হিন্দু ভাকুর্তার রুবেল হোসেন, আজিজ মিয়া, নিরঞ্জন কুমার সেন, হনু চন্দ্র দাস, সাদেক আলী, নলাকরিয়া গ্রামের মোহসিনসহ অনেকে হয়রানির শিকার হয়েছেন।
ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল আজিজ মিয়া বলেন, কেউ চুক্তি অনুযায়ী সুদ দিতে ব্যর্থ হলে দারোগালী সুদ আদায়ের জন্য নানাভাবে হয়রানি করে থাকেন।
No comments