বরিশালের আওয়ামী লীগ রাজনীতি: সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই, হাসানাত আবদুল্লাহই শেষ কথা
বরিশালে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। এখানে জেলা কিংবা মহানগর—কোথাও দলটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জেলা কমিটির সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর কথাই শেষ কথা। জাতীয় দিবসভিত্তিক কিছু কর্মসূচি দায়সারাভাবে পালন করা ছাড়া সাংগঠনিক আর কোনো কার্যক্রম নেই।
২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর সর্বশেষ বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনে সাংসদ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সভাপতি ও সাংসদ তালুকদার মো. ইউনুস সাধারণ সম্পাদক হন। তখন বলা হয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে। এরপর প্রায় আড়াই বছর পার হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি আর হয়নি।
অবশ্য জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আনিচ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। তিনিই আমাদের কাছে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র, তিনিই সংবিধান। সুতরাং এখানে আওয়ামী লীগের কমিটি আছে কি নাই, তা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নাই।’
বরিশাল শহরের সোহেল চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়। সেখানে নেতা-কর্মীদের খুব একটা পদচারণ নেই। দলীয় সূত্রগুলো জানায়, জেলার সাধারণ সম্পাদক মাঝেমধ্যে দলীয় কার্যালয়ে এলেও সভাপতি খুব একটা আসেন না। তিনি এলাকায় এলে নিজ নির্বাচনী এলাকা আগৈলঝাড়ায় থাকেন। গত ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। অল্পসংখ্যক কর্মীর উপস্থিতিতে কেক কাটা ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে ওই কর্মসূচি সীমাবদ্ধ ছিল।
জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সাবেক সদস্য কাশিনাথ দত্ত বলেন, দীর্ঘদিনেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব ও অনুসারী তৈরি হচ্ছে না। কিছু লোক দলে নতুন নাম লিখিয়ে লুটপাটে যুক্ত হয়েছে।
দলের আরেক নেতা তরুণ চন্দ বলেন, কিছু দিবসভিত্তিক কর্মসূচি পালন করা ছাড়া বরিশাল জেলা ও মহানগরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কোনো কর্মকাণ্ড নেই। অনেক কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস প্রথম আলোকে বলেন, নানা কারণে দীর্ঘদিন দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে বরিশালের অভিভাবক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর নির্দেশনা ও পরামর্শে দলের কর্মকাণ্ড চলছে।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র শওকত হোসেন (হিরণ) মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পর বরিশাল শহরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একটা গতিশীলতা তৈরি হয়েছিল। একই সঙ্গে দলের ওপর আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। কিন্তু তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে মহানগর আওয়ামী লীগ স্থবিরতার মুখে পড়ে। একই সঙ্গে এক নেতার কমিটিতে পরিণত হয় মহানগর কমিটি।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০০৩ সালে শওকত হোসেনকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয় বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম আহ্বায়ক কমিটি। এর নয় বছর পর ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর মহানগর কমিটির সম্মেলন হয়। এতে শওকত হোসেন সভাপতি ও আফজালুল করিম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তখন বলা হয়েছিল, এ কমিটি পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এর মধ্যে গত বছরের ৯ এপ্রিল শওকত হোসেন মারা যান। এরপর এক বছর পেরিয়ে গেলেও মহানগর আওয়ামী লীগে শওকত হোসেনের শূন্যতা পূরণ হয়নি।
জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুল করিম বলেন, তাঁরা একটা পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাব তৈরি করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠিয়েছেন। তা এখন দলীয় সভানেত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জেলা কমিটির সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর কথাই শেষ কথা। জাতীয় দিবসভিত্তিক কিছু কর্মসূচি দায়সারাভাবে পালন করা ছাড়া সাংগঠনিক আর কোনো কার্যক্রম নেই।
২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর সর্বশেষ বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনে সাংসদ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সভাপতি ও সাংসদ তালুকদার মো. ইউনুস সাধারণ সম্পাদক হন। তখন বলা হয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে। এরপর প্রায় আড়াই বছর পার হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি আর হয়নি।
অবশ্য জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আনিচ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ। তিনিই আমাদের কাছে আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র, তিনিই সংবিধান। সুতরাং এখানে আওয়ামী লীগের কমিটি আছে কি নাই, তা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নাই।’
বরিশাল শহরের সোহেল চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়। সেখানে নেতা-কর্মীদের খুব একটা পদচারণ নেই। দলীয় সূত্রগুলো জানায়, জেলার সাধারণ সম্পাদক মাঝেমধ্যে দলীয় কার্যালয়ে এলেও সভাপতি খুব একটা আসেন না। তিনি এলাকায় এলে নিজ নির্বাচনী এলাকা আগৈলঝাড়ায় থাকেন। গত ২৩ জুন দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। অল্পসংখ্যক কর্মীর উপস্থিতিতে কেক কাটা ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে ওই কর্মসূচি সীমাবদ্ধ ছিল।
জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সাবেক সদস্য কাশিনাথ দত্ত বলেন, দীর্ঘদিনেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব ও অনুসারী তৈরি হচ্ছে না। কিছু লোক দলে নতুন নাম লিখিয়ে লুটপাটে যুক্ত হয়েছে।
দলের আরেক নেতা তরুণ চন্দ বলেন, কিছু দিবসভিত্তিক কর্মসূচি পালন করা ছাড়া বরিশাল জেলা ও মহানগরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কোনো কর্মকাণ্ড নেই। অনেক কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস প্রথম আলোকে বলেন, নানা কারণে দীর্ঘদিন দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে বরিশালের অভিভাবক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর নির্দেশনা ও পরামর্শে দলের কর্মকাণ্ড চলছে।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র শওকত হোসেন (হিরণ) মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পর বরিশাল শহরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একটা গতিশীলতা তৈরি হয়েছিল। একই সঙ্গে দলের ওপর আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল। কিন্তু তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে মহানগর আওয়ামী লীগ স্থবিরতার মুখে পড়ে। একই সঙ্গে এক নেতার কমিটিতে পরিণত হয় মহানগর কমিটি।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০০৩ সালে শওকত হোসেনকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয় বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম আহ্বায়ক কমিটি। এর নয় বছর পর ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর মহানগর কমিটির সম্মেলন হয়। এতে শওকত হোসেন সভাপতি ও আফজালুল করিম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তখন বলা হয়েছিল, এ কমিটি পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এর মধ্যে গত বছরের ৯ এপ্রিল শওকত হোসেন মারা যান। এরপর এক বছর পেরিয়ে গেলেও মহানগর আওয়ামী লীগে শওকত হোসেনের শূন্যতা পূরণ হয়নি।
জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুল করিম বলেন, তাঁরা একটা পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাব তৈরি করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠিয়েছেন। তা এখন দলীয় সভানেত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
No comments