ভারী বর্ষণ চলবে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত -বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন
বাংলাদেশের শহরগুলোতে বৃষ্টিপাত হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির ঘটনা একটি নিয়মিত চিত্র। তবে দেশে গত কয়েক দিনের ধারাবাহিক অঝোর বর্ষণে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, এ বছর কি বেশি বৃষ্টির বছর? সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তো এমনটি দেখা যায়নি?
আবহাওয়া বিভাগ বলছে, এ বছর স্বাভাবিকের তুলনায় শতকরা ২০ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর আগে এই বিভাগ জানিয়েছিল, এ বছর বর্ষণ হবে স্বাভাবিক মাত্রায়। এখন তারা জানাচ্ছে, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত চলবে আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে এর প্রাধান্য থাকবে বেশি। খবর বিবিসি বাংলার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, ‘মৌসুমি লঘুচাপ যখন হয়, তখন বৃষ্টিপাত বেড়ে যায়। এ বছর তিনটি লঘুচাপ হয়েছে এখন পর্যন্ত।’ কর্মকর্তারা বলছেন, এই মৌসুমি লঘুচাপই অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জন্য দায়ী।
এবারের বর্ষা মৌসুমের চরিত্রটা এমন যে আকাশে সূর্য দেখা গেলেও কোনোভাবে বলা যাচ্ছে না যে দিনটি রৌদ্রকরোজ্জ্বল থাকবে। যেকোনো মুহূর্তে শুরু হয়ে যেতে পারে মুষলধারে বর্ষণ। আর কে না জানে, ঢাকায় বৃষ্টি হলে শুরু হয়ে যায় তুঘলকি কাণ্ড। রাস্তাঘাট ডুবে যায়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
ভারী বৃষ্টিপাতের দরুন কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এ আশঙ্কায় বান্দরবানে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ঝোড়ো হাওয়ার কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোতে জারি করা হয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত।
শাহ আলম বলেন, ‘বৃষ্টিপাত আজ থেকে (গতকাল রোববার) কিছুটা কমে যাবে, তবে একেবারে চলে যাবে না।’ তবে এ মাসের শেষ দিন থেকে আবার অঝোর বর্ষণ শুরু হওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ, যা চলতে পারে পরবর্তী কয়েক দিন পর্যন্ত।
এদিকে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলের চাষাবাদ। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আবদুল কাদের বলেন, এই টানা বৃষ্টিপাতের প্রভাবে এখন মাঠে যেসব ফসল রয়েছে, বিশেষ করে সবজিজাতীয় ফসল, তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর ক্ষতিকর প্রভাব দেখা যেতে পারে বাজারেও। এ ছাড়া, আমন ধান উৎপাদনেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামাঞ্চলের কাঁচা ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। রাজধানীসহ অন্যান্য শহরের নিম্নাঞ্চল ও রাস্তাঘাটেও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। খিলগাঁও, রামপুরাসহ নিচু এলাকায় অনেক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর গবেষণা কেন্দ্রের অনারারি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকাতেই এই বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতা এমন দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে।
আবহাওয়া বিভাগ বলছে, এ বছর স্বাভাবিকের তুলনায় শতকরা ২০ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর আগে এই বিভাগ জানিয়েছিল, এ বছর বর্ষণ হবে স্বাভাবিক মাত্রায়। এখন তারা জানাচ্ছে, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত চলবে আগামী আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে এর প্রাধান্য থাকবে বেশি। খবর বিবিসি বাংলার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, ‘মৌসুমি লঘুচাপ যখন হয়, তখন বৃষ্টিপাত বেড়ে যায়। এ বছর তিনটি লঘুচাপ হয়েছে এখন পর্যন্ত।’ কর্মকর্তারা বলছেন, এই মৌসুমি লঘুচাপই অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জন্য দায়ী।
এবারের বর্ষা মৌসুমের চরিত্রটা এমন যে আকাশে সূর্য দেখা গেলেও কোনোভাবে বলা যাচ্ছে না যে দিনটি রৌদ্রকরোজ্জ্বল থাকবে। যেকোনো মুহূর্তে শুরু হয়ে যেতে পারে মুষলধারে বর্ষণ। আর কে না জানে, ঢাকায় বৃষ্টি হলে শুরু হয়ে যায় তুঘলকি কাণ্ড। রাস্তাঘাট ডুবে যায়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
ভারী বৃষ্টিপাতের দরুন কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এ আশঙ্কায় বান্দরবানে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
ঝোড়ো হাওয়ার কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোতে জারি করা হয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত।
শাহ আলম বলেন, ‘বৃষ্টিপাত আজ থেকে (গতকাল রোববার) কিছুটা কমে যাবে, তবে একেবারে চলে যাবে না।’ তবে এ মাসের শেষ দিন থেকে আবার অঝোর বর্ষণ শুরু হওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ, যা চলতে পারে পরবর্তী কয়েক দিন পর্যন্ত।
এদিকে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চলে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলের চাষাবাদ। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আবদুল কাদের বলেন, এই টানা বৃষ্টিপাতের প্রভাবে এখন মাঠে যেসব ফসল রয়েছে, বিশেষ করে সবজিজাতীয় ফসল, তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর ক্ষতিকর প্রভাব দেখা যেতে পারে বাজারেও। এ ছাড়া, আমন ধান উৎপাদনেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামাঞ্চলের কাঁচা ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। রাজধানীসহ অন্যান্য শহরের নিম্নাঞ্চল ও রাস্তাঘাটেও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। খিলগাঁও, রামপুরাসহ নিচু এলাকায় অনেক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর গবেষণা কেন্দ্রের অনারারি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা না থাকাতেই এই বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতা এমন দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে।
No comments