ফরিদপুর রেলস্টেশনে অবৈধ স্থাপনা: পদ্মা সেতুর কাজে আনা পাথর খালাস ব্যাহত
রেলের
জায়গায় অবৈধ স্থাপনা থাকায় পদ্মা সেতুর কাজের জন্য ভারত থেকে আনা প্রায়
দুই হাজার টন পাথরের বেশির ভাগ রেলের বগিতেই পড়ে আছে। এতে আরও পাথর আনার
কথা থাকলেও রাখার জায়গার অভাবে তা আনা যাচ্ছে না।
পাথর সরবরাহে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকার ওভারসিজ কমার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান এসব পাথর ভারত থেকে আমদানি করেছে। এ পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর সীমান্ত দিয়ে ১৫ র্যা ক ‘পাকুর স্টোন’ (খোয়া পাথর) এনে রাখা হয়েছে। এক র্যা কে ৪২টি ওয়াগন (বগি) থাকে। প্রতি বগিতে ৫৭ টন পাথর ধরে। এর মধ্যে ২০ জুলাই ৩০টি বগিতে করে ফরিদপুর রেলস্টেশনে পাথর আনা হয়েছে। কিন্তু জায়গার অভাবে ২২টি ওয়াগনের পাথর খালাস করা যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে শহরের লক্ষ্মীপুরে অবস্থিত রেলস্টেশনে দেখা যায়, রেলের গুদামের পশ্চিম পাশে কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেখানে মেঝেতে চাটাই ও পলিথিন বিছিয়ে পাথর রাখা হচ্ছে। কিন্তু রেল গুদামের পূর্ব ও উত্তর পাশে এখনো কাঠের আসবাব, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়, ওয়ার্কশপ, লেপতোশকের দোকান, চা ও কাঠের দোকানসহ ১৬টি দোকান আছে।
ওভারসিজ কোম্পানির স্থানীয় প্রতিনিধি আক্তার হোসেন বলেন, ট্রেনে আরও পাথর আসার কথা। কিন্তু প্রথম চালানই এখনো খালাস করতে না পারায় বগিগুলো ফিরতে পারছে না। পাথর আনার তিন দিন পর গত বৃহস্পতিবার কিছু অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করায় আটটি বগির পাথর খালাস করা শুরু হয়েছে।
এ পাথর খালাস করে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হবে শিবচরের মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতুর নির্মাণস্থলে। এগুলো দিয়ে পদ্মা সেতুর পাইলিং কাজ করার কথা। কিন্তু পাথর খালাস করতে না পারায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত সেগুলো পাঠানো শুরু করা যায়নি।
রেলগেটসংলগ্ন কাঠের দোকানদার আবদুস সামাদ বলেন, রেলওয়ের গুদামের পশ্চিম পাশ দিয়েই এর আগে ট্রাকে মালামাল আনা-নেওয়া করা হতো। তিনি আরও বলেন, রেলের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ২০ বছর ধরে নিয়ে তিনি এ জায়গা ভোগদখল করছেন। রেল কখনো তাঁকে জায়গা ছেড়ে দিতে বলেনি—দাবি করে তিনি বলেন, তবে গত চার বছর ধরে ইজারা নবায়ন করছে না রেলওয়ে।
রেলগেটসংলগ্ন এলাকার দোকানদার লিটন শেখ বলেন, তাঁর মামা রেলের কাছ থেকে এ জমি ইজারা নিয়েছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) শওকত জামিল বলেন, ‘অবৈধ দখলের কারণে ফরিদপুর রেলস্টেশনে পাথর নামাতে সমস্যা হওয়ার ঘটনাটি আমি জানি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগীয় প্রকৌশলী ও বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী বলেন, পাথর খালাসের জন্য রেল মন্ত্রণালয় থেকে গত বৃহস্পতিবার তিনি একটি বার্তা পেয়েছেন। দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পাথর সরবরাহে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকার ওভারসিজ কমার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান এসব পাথর ভারত থেকে আমদানি করেছে। এ পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর সীমান্ত দিয়ে ১৫ র্যা ক ‘পাকুর স্টোন’ (খোয়া পাথর) এনে রাখা হয়েছে। এক র্যা কে ৪২টি ওয়াগন (বগি) থাকে। প্রতি বগিতে ৫৭ টন পাথর ধরে। এর মধ্যে ২০ জুলাই ৩০টি বগিতে করে ফরিদপুর রেলস্টেশনে পাথর আনা হয়েছে। কিন্তু জায়গার অভাবে ২২টি ওয়াগনের পাথর খালাস করা যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে শহরের লক্ষ্মীপুরে অবস্থিত রেলস্টেশনে দেখা যায়, রেলের গুদামের পশ্চিম পাশে কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেখানে মেঝেতে চাটাই ও পলিথিন বিছিয়ে পাথর রাখা হচ্ছে। কিন্তু রেল গুদামের পূর্ব ও উত্তর পাশে এখনো কাঠের আসবাব, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়, ওয়ার্কশপ, লেপতোশকের দোকান, চা ও কাঠের দোকানসহ ১৬টি দোকান আছে।
ওভারসিজ কোম্পানির স্থানীয় প্রতিনিধি আক্তার হোসেন বলেন, ট্রেনে আরও পাথর আসার কথা। কিন্তু প্রথম চালানই এখনো খালাস করতে না পারায় বগিগুলো ফিরতে পারছে না। পাথর আনার তিন দিন পর গত বৃহস্পতিবার কিছু অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করায় আটটি বগির পাথর খালাস করা শুরু হয়েছে।
এ পাথর খালাস করে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হবে শিবচরের মাওয়া-জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতুর নির্মাণস্থলে। এগুলো দিয়ে পদ্মা সেতুর পাইলিং কাজ করার কথা। কিন্তু পাথর খালাস করতে না পারায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত সেগুলো পাঠানো শুরু করা যায়নি।
রেলগেটসংলগ্ন কাঠের দোকানদার আবদুস সামাদ বলেন, রেলওয়ের গুদামের পশ্চিম পাশ দিয়েই এর আগে ট্রাকে মালামাল আনা-নেওয়া করা হতো। তিনি আরও বলেন, রেলের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ২০ বছর ধরে নিয়ে তিনি এ জায়গা ভোগদখল করছেন। রেল কখনো তাঁকে জায়গা ছেড়ে দিতে বলেনি—দাবি করে তিনি বলেন, তবে গত চার বছর ধরে ইজারা নবায়ন করছে না রেলওয়ে।
রেলগেটসংলগ্ন এলাকার দোকানদার লিটন শেখ বলেন, তাঁর মামা রেলের কাছ থেকে এ জমি ইজারা নিয়েছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) শওকত জামিল বলেন, ‘অবৈধ দখলের কারণে ফরিদপুর রেলস্টেশনে পাথর নামাতে সমস্যা হওয়ার ঘটনাটি আমি জানি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগীয় প্রকৌশলী ও বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী বলেন, পাথর খালাসের জন্য রেল মন্ত্রণালয় থেকে গত বৃহস্পতিবার তিনি একটি বার্তা পেয়েছেন। দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জায়গার অভাবে পদ্মা সেতুর কাজের জন্য ভারত থেকে আনা পাথরের বেশির ভাগ রেলের বগিতে এভাবে পড়ে আছে। ছবিটি গতকাল সকালে ফরিদপুর শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় ফরিদপুর রেলস্টেশন থেকে তোলা l প্রথম আলো |
No comments