'দায়ী অভিভাবকদের আইনের আ্ওতায় আনা উচিত'
বক্তব্য দিচ্ছেন মেহের আফরোজ চুমকি। ফাইল ছবি |
বাবা-মায়েদের
উদাসীনতার জন্যই শিশুরা নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। বিশেষ করে উচ্চবিত্ত ও
নিম্নবিত্ত পরিবারে এই ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে দায়ী
অভিভাবকদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
আজ রোববার রাজধানীর শিশু একাডেমিতে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি বক্তব্য রাখেন। ‘শিশুদের প্রতি নির্যাতন বন্ধে করণীয়’ নিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে দেশে প্রচলিত শিশু বিষয়ক আইনগুলো সমন্বয়ের ওপর জোর দেন বক্তারা।
মেহের আফরোজ বলেন, ‘উচ্চবিত্ত পরিবারের শিশুরা ফার্মের মুরগির মতো বড় হচ্ছে। কম্পিউটার-মোবাইল নিয়ে বসে থাকছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে কখনো কখনো তারা বিপদে পড়ছে। দরিদ্র পরিবারে বাবা-মা কখনো কখনো সন্তান জন্ম দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছে। শিশুকে তাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পাঠাচ্ছেন। আর তাতে শিশুরাও অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’
যেসব বাবা-মায়ের অসচেতনতার কারণে শিশুদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ৬৪ শতাংশ শিশু। তাদের সুরক্ষায় ৫০টির মতো আইন আছে। তবে সবাই জানে না। তিনি শিশু নির্যাতন বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার কথা বলেন। সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘সেখানে কি এমন একজনও ছিলেন না যাঁর মধ্যে মানবতাবোধ ছিল? কেউ একটা ফোন করতে পারলেন না?’
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শেখ রাসেলও। সেই প্রসঙ্গ টেনে মেহের আফরোজ বলেন, ‘শিশু রাসেলকে গুলি করে খুলি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেকে টক শো তে কথা বলেন, কিন্তু এ প্রসঙ্গটি নিয়ে কিছু বলেন না। শিশু হত্যাকারীরা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের বলে বিচারহীন থেকেছেন। সে কথা কাউকে বলতে শুনি না।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাসিমা বেগম বলেন, ‘শিশু রাজনের হত্যাকারীদের বিচার হবে। এই বিচারের মাধ্যমে আমরা উদাহরণ স্থাপন করতে চাই।’ তিনি শিশু বিষয়ক আইনগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ওপর জোর দেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাসরিন বেগম বলেন, আন্তর্জাতিক সনদের সঙ্গে শিশু সুরক্ষায় বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের মধ্যে ফারাকগুলো কি খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে শুধু খুঁজে বের করলেই হবে না। সমন্বয় করতে হবে।
কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, শিশুদের বাল্যবিবাহ, যৌন হয়রানি, ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম, পাচার ও শারীরিক নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশ শিশু নির্যাতন বন্ধে দক্ষিণ এশীয় মোর্চা সাইভেকের সদস্য উল্লেখ করে তিনি জানান, এই মোর্চায় অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। তবে অর্থাভাবে বাংলাদেশ চাইলেও অনেক কিছু করতে পারছে না।
আজ রোববার রাজধানীর শিশু একাডেমিতে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি বক্তব্য রাখেন। ‘শিশুদের প্রতি নির্যাতন বন্ধে করণীয়’ নিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে দেশে প্রচলিত শিশু বিষয়ক আইনগুলো সমন্বয়ের ওপর জোর দেন বক্তারা।
মেহের আফরোজ বলেন, ‘উচ্চবিত্ত পরিবারের শিশুরা ফার্মের মুরগির মতো বড় হচ্ছে। কম্পিউটার-মোবাইল নিয়ে বসে থাকছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে কখনো কখনো তারা বিপদে পড়ছে। দরিদ্র পরিবারে বাবা-মা কখনো কখনো সন্তান জন্ম দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছে। শিশুকে তাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পাঠাচ্ছেন। আর তাতে শিশুরাও অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।’
যেসব বাবা-মায়ের অসচেতনতার কারণে শিশুদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ৬৪ শতাংশ শিশু। তাদের সুরক্ষায় ৫০টির মতো আইন আছে। তবে সবাই জানে না। তিনি শিশু নির্যাতন বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার কথা বলেন। সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘সেখানে কি এমন একজনও ছিলেন না যাঁর মধ্যে মানবতাবোধ ছিল? কেউ একটা ফোন করতে পারলেন না?’
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শেখ রাসেলও। সেই প্রসঙ্গ টেনে মেহের আফরোজ বলেন, ‘শিশু রাসেলকে গুলি করে খুলি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেকে টক শো তে কথা বলেন, কিন্তু এ প্রসঙ্গটি নিয়ে কিছু বলেন না। শিশু হত্যাকারীরা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের বলে বিচারহীন থেকেছেন। সে কথা কাউকে বলতে শুনি না।’
মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাসিমা বেগম বলেন, ‘শিশু রাজনের হত্যাকারীদের বিচার হবে। এই বিচারের মাধ্যমে আমরা উদাহরণ স্থাপন করতে চাই।’ তিনি শিশু বিষয়ক আইনগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের ওপর জোর দেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাসরিন বেগম বলেন, আন্তর্জাতিক সনদের সঙ্গে শিশু সুরক্ষায় বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের মধ্যে ফারাকগুলো কি খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে শুধু খুঁজে বের করলেই হবে না। সমন্বয় করতে হবে।
কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, শিশুদের বাল্যবিবাহ, যৌন হয়রানি, ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম, পাচার ও শারীরিক নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশ শিশু নির্যাতন বন্ধে দক্ষিণ এশীয় মোর্চা সাইভেকের সদস্য উল্লেখ করে তিনি জানান, এই মোর্চায় অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। তবে অর্থাভাবে বাংলাদেশ চাইলেও অনেক কিছু করতে পারছে না।
No comments