বরিশালের বিএনপির রাজনীতি: সরোয়ার-নির্ভর বরিশাল বিএনপি চলছে না by সাইফুর রহমান
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়া এবং সরকারবিরোধী আন্দোলন ও দলীয় কর্মসূচিতে জ্যেষ্ঠ নেতারা মাঠে না থাকায় সংকটে পড়েছে বরিশাল জেলা বিএনপি। জেলা ও মহানগর বিএনপি—দুই কমিটির শীর্ষ নেতারাই মামলার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একাধিক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, বরিশালে বিএনপি মূলত মহানগর কমিটির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার-নির্ভর। তিনি মাঠে থাকলে কর্মসূচি পালন হয়, না থাকলে হয় না। মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান শাহীন মারা গেছেন।
দলের জেলা কমিটির সভাপতি এবায়দুল হক চান। সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আবুল কালাম শাহীন। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে এই দুজন এবং সহসভাপতিসহ সাতজনের পদ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু গত দেড় বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবুল কালাম শাহীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা আছে। মামলা-হামলার ভয়ে নেতা-কর্মীরাও পলাতক। পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রে জমা দেওয়া হয়েছে।’
নেতা-কর্মীরা জানান, বর্তমানে সরোয়ারের নেতৃত্বেই চলে জেলা ও মহানগর বিএনপি। সব নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতে। এ নিয়ে দলে কোন্দলও আছে। দলের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমও নেই।
তবে মহানগর সভাপতি সরোয়ার এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম অভিযোগ করেন, জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবিব কামাল মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দলীয় রাজনীতি থেকে অনেকটা দূরে সরে গেছেন। সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলনে তাঁকে মাঠে পাওয়া যায়নি। তিনি তাঁর মেয়র পদ ঠিক রাখতে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছেন। দলের কর্মসূচিতে ডাকলেও তিনি আসেন না।
এ অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক ও সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি স্থানীয় বিএনপির কোনো কমিটিতে নেই। তবে বরিশালে এখন বিএনপির কোনো কর্মকাণ্ড নেই। আমি কেন্দ্রীয় বিএনপির একটা দায়িত্বে আছি। তারপরও দলের কর্মকাণ্ডে ডাকলে যাই।’
বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিক মাহমুদ গোলাম ছালেক প্রথম আলোকে বলেন, একক রাজনীতি তো রাজনীতি নয়। সবাই মিলে বিএনপিকে সংগঠিত করতে হবে। দল এলোমেলো হয়ে গেছে। নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠছে না।
এ ব্যাপারে মজিবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘একক নেতৃত্বের কথাটা ঠিক নয়। মামলা-মোকদ্দমায় অনেকেই আত্মগোপনে আছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই বলে ঐক্যবদ্ধ হতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘অনেকে দলে থেকেও দল সংগঠিত করার লক্ষ্যে কোনো কাজ করছেন না। বিশেষ করে সিটি করপোরেশনের মেয়র হওয়ার পর আহসান হাবিব কামাল এবং দলীয় কাউন্সিলররা বিএনপির কোনো কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেননি। ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাঁরা শুধু করপোরেশনে তাঁদের পদ এবং ঠিকাদারি ঠিক রাখার কাজটুকু করছেন। অথচ দলে বড় পদ নিয়েছিলেন বা পাওয়ার জন্য তদবির করেছিলেন তাঁরা। আসলে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা স্থানীয় সরকারে থাকলে রাজনীতি আর থাকে না।’
মজিবর রহমান বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশে অচিরেই দল পুনর্গঠন কাজ শুরু করা হবে। কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি করা হবে। তখন আর এ সমস্যা থাকবে না।
জেলায় বিএনপির রাজনীতি নিয়ে জেলা কমিটির সভাপতি এবায়দুল হক চানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা আছে। তাঁর মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহীন বলেন, পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির জন্য একটি প্রস্তাব কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা এখন সেটা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন। মজিবর রহমানের একক নেতৃত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সরোয়ার ভাই জেলা, মহানগর এবং এই অঞ্চলের নেতা। তাঁর নেতৃত্ব ছাড়া দল চলবে কীভাবে? যাঁরা পদ-পদবি পান না, তাঁরাই কেবল তাঁর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একাধিক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, বরিশালে বিএনপি মূলত মহানগর কমিটির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার-নির্ভর। তিনি মাঠে থাকলে কর্মসূচি পালন হয়, না থাকলে হয় না। মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান শাহীন মারা গেছেন।
দলের জেলা কমিটির সভাপতি এবায়দুল হক চান। সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আবুল কালাম শাহীন। ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে এই দুজন এবং সহসভাপতিসহ সাতজনের পদ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু গত দেড় বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবুল কালাম শাহীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা আছে। মামলা-হামলার ভয়ে নেতা-কর্মীরাও পলাতক। পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রে জমা দেওয়া হয়েছে।’
নেতা-কর্মীরা জানান, বর্তমানে সরোয়ারের নেতৃত্বেই চলে জেলা ও মহানগর বিএনপি। সব নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতে। এ নিয়ে দলে কোন্দলও আছে। দলের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রমও নেই।
তবে মহানগর সভাপতি সরোয়ার এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম অভিযোগ করেন, জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবিব কামাল মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দলীয় রাজনীতি থেকে অনেকটা দূরে সরে গেছেন। সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলনে তাঁকে মাঠে পাওয়া যায়নি। তিনি তাঁর মেয়র পদ ঠিক রাখতে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছেন। দলের কর্মসূচিতে ডাকলেও তিনি আসেন না।
এ অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যবিষয়ক সম্পাদক ও সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি স্থানীয় বিএনপির কোনো কমিটিতে নেই। তবে বরিশালে এখন বিএনপির কোনো কর্মকাণ্ড নেই। আমি কেন্দ্রীয় বিএনপির একটা দায়িত্বে আছি। তারপরও দলের কর্মকাণ্ডে ডাকলে যাই।’
বরিশাল মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিক মাহমুদ গোলাম ছালেক প্রথম আলোকে বলেন, একক রাজনীতি তো রাজনীতি নয়। সবাই মিলে বিএনপিকে সংগঠিত করতে হবে। দল এলোমেলো হয়ে গেছে। নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠছে না।
এ ব্যাপারে মজিবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘একক নেতৃত্বের কথাটা ঠিক নয়। মামলা-মোকদ্দমায় অনেকেই আত্মগোপনে আছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই বলে ঐক্যবদ্ধ হতে পারছি না।’ তিনি বলেন, ‘অনেকে দলে থেকেও দল সংগঠিত করার লক্ষ্যে কোনো কাজ করছেন না। বিশেষ করে সিটি করপোরেশনের মেয়র হওয়ার পর আহসান হাবিব কামাল এবং দলীয় কাউন্সিলররা বিএনপির কোনো কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেননি। ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাঁরা শুধু করপোরেশনে তাঁদের পদ এবং ঠিকাদারি ঠিক রাখার কাজটুকু করছেন। অথচ দলে বড় পদ নিয়েছিলেন বা পাওয়ার জন্য তদবির করেছিলেন তাঁরা। আসলে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা স্থানীয় সরকারে থাকলে রাজনীতি আর থাকে না।’
মজিবর রহমান বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশে অচিরেই দল পুনর্গঠন কাজ শুরু করা হবে। কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি করা হবে। তখন আর এ সমস্যা থাকবে না।
জেলায় বিএনপির রাজনীতি নিয়ে জেলা কমিটির সভাপতি এবায়দুল হক চানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা আছে। তাঁর মুঠোফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহীন বলেন, পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটির জন্য একটি প্রস্তাব কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা এখন সেটা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন। মজিবর রহমানের একক নেতৃত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সরোয়ার ভাই জেলা, মহানগর এবং এই অঞ্চলের নেতা। তাঁর নেতৃত্ব ছাড়া দল চলবে কীভাবে? যাঁরা পদ-পদবি পান না, তাঁরাই কেবল তাঁর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।’
No comments