সরকারি কর্মচারীদের দায়মুক্তি: মন্ত্রিসভায় পাস হওয়া খসড়া অসাংবিধানিক
পাবলিক সার্ভেন্ট বা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের নিরাপত্তা দিতে সরকার এমন সব আইন করার প্রবণতা দেখাচ্ছে, যা অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অনুপস্থিত। মন্ত্রিসভা সম্প্রতি সরকারি কর্মচারী আইনের যে খসড়া অনুমোদন করেছে, সেখানে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের আগে সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে বিধান রাখা হয়েছে। অপরাধের ধরনের উপযুক্ত ব্যাখ্যা না দিয়ে এ ধরনের পাইকারি রক্ষাকবচ কেবল বৈষম্যমূলক নয়, ন্যায়বিচারেরও পরিপন্থী।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৭ ধারা অনুসারে সরকারি কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। তারপরও সরকারি কর্মচারী আইনে এটা সংযুক্ত করার উদ্দেশ্য কী?
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে এতকাল ধরে যে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে এসেছে, তা কেন হঠাৎ অপ্রতুল হয়ে পড়ল, তার গ্রহণযোগ্য কারণ নেই।
এর আগে সংবিধানের পরিপন্থী বিবেচনায় দুদক আইনে সন্নিবেশ করা অনুরূপ একটি বিধান হাইকোর্ট বাতিল করে দিয়েছিলেন। ওই বিধানেও একইভাবে মামলা দায়েরে সরকারের পূর্বানুমতির ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। এখন এটা মনে করা যুক্তিসংগত যে, ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের ওপর একশ্রেণির আমলার প্রভাব খুবই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতি সুশাসনের ধারণাকে সমর্থন করে না। আমলাতন্ত্র যেন তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, এটা থামানো দরকার।
এটা লক্ষণীয় যে ইউএনডিপির একটি প্রকল্পের অধীনে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রস্তুত করা ওই প্রস্তাবিত আইনের ২০১০ সালের খসড়ায় গ্রেপ্তার থেকে দায়মুক্তির আলোচ্য বিধানটি ছিল না বলে খবর বেরিয়েছে, যা পরে যুক্ত করা হয়।
প্রস্তাবিত বিধান স্পষ্টতই সংবিধানের ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যেখানে বলা হয়েছে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। গণতান্ত্রিক দেশে সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন দেশের সব নাগরিকের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য হতে হবে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৭ ধারা অনুসারে সরকারি কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দপ্তরের অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। তারপরও সরকারি কর্মচারী আইনে এটা সংযুক্ত করার উদ্দেশ্য কী?
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে এতকাল ধরে যে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে এসেছে, তা কেন হঠাৎ অপ্রতুল হয়ে পড়ল, তার গ্রহণযোগ্য কারণ নেই।
এর আগে সংবিধানের পরিপন্থী বিবেচনায় দুদক আইনে সন্নিবেশ করা অনুরূপ একটি বিধান হাইকোর্ট বাতিল করে দিয়েছিলেন। ওই বিধানেও একইভাবে মামলা দায়েরে সরকারের পূর্বানুমতির ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। এখন এটা মনে করা যুক্তিসংগত যে, ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের ওপর একশ্রেণির আমলার প্রভাব খুবই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এই পরিস্থিতি সুশাসনের ধারণাকে সমর্থন করে না। আমলাতন্ত্র যেন তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, এটা থামানো দরকার।
এটা লক্ষণীয় যে ইউএনডিপির একটি প্রকল্পের অধীনে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রস্তুত করা ওই প্রস্তাবিত আইনের ২০১০ সালের খসড়ায় গ্রেপ্তার থেকে দায়মুক্তির আলোচ্য বিধানটি ছিল না বলে খবর বেরিয়েছে, যা পরে যুক্ত করা হয়।
প্রস্তাবিত বিধান স্পষ্টতই সংবিধানের ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যেখানে বলা হয়েছে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। গণতান্ত্রিক দেশে সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন দেশের সব নাগরিকের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য হতে হবে।
No comments