চমকের নাম মুস্তাফিজ
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি ২০ অভিষেকে নিয়েছিলেন দুই উইকেট। এরপর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে পাঁচ উইকেট। প্রতিটি অভিষেকেই যেন একটি করে চমক উপহার দেয়ার পণ করেছেন বাংলাদেশের নতুন পেস-বিস্ময় মুস্তাফিজুর রহমান। টি ২০ ও ওয়ানডের পর এবার টেস্ট অভিষেকেও ঝড় তুললেন মুস্তাফিজ। হ্যাটট্রিক মিস করলেও স্বপ্নের এক ওভারে চার বলে তিন উইকেট নিয়ে ভেঙে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং-মেরুদণ্ড। সবমিলিয়ে প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে চার উইকেট নিয়ে স্মরণীয় করে রাখলেন নিজের টেস্ট অভিষেক। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে ওয়ানডে ও টেস্ট অভিষেকের মধ্যে কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন- এমন প্রশ্নে মুস্তাফিজ বলেন, ‘অবশ্যই টেস্ট অভিষেককে।’ এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ওয়ানডেতে ব্যাটসম্যানদের রান করার তাড়া থাকে। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে উইকেটের পতন ঘটে। কিন্তু টেস্টে ব্যাটসম্যানরা অনেক ধৈর্য ধরে খেলে। টেস্টে উইকেট পাওয়া অনেক কঠিন। প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে চার উইকেট নেয়া দারুণ ব্যাপার।
তাই টেস্ট অভিষেকটি আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা টেস্ট ম্যাচে সহযোগিতা করেছে উল্লেখ করে মুস্তাফিজ বলেন, ‘প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। এছাড়া শহীদ ভাইয়ের সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি কাজ দিয়েছে।’ প্রোটিয়া অধিনায়ক হাশিম আমলাকে দিয়ে টেস্ট উইকেট শিকার শুরু করেন ১৯ বছর বয়সী এ তরুণ। নিজের ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ফেরান আমলাকে। পরের বলেই জেপি ডুমিনিকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মুস্তাফিজুর। তৃতীয় বলটিতে ছিল হ্যাটট্রিকর সুযোগ। ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক কোনোমতে হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দিলেও পরের বলেই তার অফ-স্টাম্প উপড়ে দেন মুস্তাফিজ। স্টাম্প উড়িয়ে দিলে কেমন লাগে- এমন প্রশ্নে মুস্তাফিজ বলেন, ‘সব বোলারই চায় তাদের বলে যেন স্টাম্প উড়ে যায়। আমিও ব্যতিক্রম নই। ডি ককের স্টাম্প উড়িয়ে দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’ ওয়ানডেতে সাদা বল আর টেস্টে লাল বল। তবে মুস্তাফিজের কাছে সবই এক, ‘বল তো বলই। সাদা বা লাল কোনো বিষয় না। তবে টেস্টে বল করা কঠিন। কারণ ব্যাটসমম্যানরা খুব সতর্কতার সঙ্গে খেলে।’
No comments