নারায়ণগঞ্জে সাত খুনঃ বাদীর নারাজি নামঞ্জুর আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন মামলা
নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় বাদীর নারাজি আবেদন নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে এই রিভিশন মামলা দায়ের করেন নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম।
বাদী পক্ষের আইনজীবী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেছেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে নিম্ন আদালত থেকে নথি তলব করেছেন।
অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া এবং হাসমত আলী, আমিনুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও ইকবাল হোসেন।
এর আগে ৮ জুলাই নারাজি আবেদন গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বাদী সেলিনা বলেন, এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার বা জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় একটি মামলার বাদী সেলিনার দাখিল করা নারাজি আবেদন ৮ জুলাই নামঞ্জুর করে পৃথক দুটি মামলায়ই র্যা বের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফ। একই সঙ্গে পলাতক ১৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন তিনি।
গত ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকা থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। এর তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় সেলিনা বাদী হয়ে নূর হোসেনসহ পাঁচ আসামির নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি এবং নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একই থানায় আরেকটি মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডল গত ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে নূর হোসেন, র্যা বের সাবেক তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) এম এম রানাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বর্তমানে র্যা বের সাবেক এই তিন কর্মকর্তাসহ ২২ জন কারাগারে রয়েছেন। পলাতক আছেন ১৩ জন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেছেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে নিম্ন আদালত থেকে নথি তলব করেছেন।
অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া এবং হাসমত আলী, আমিনুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও ইকবাল হোসেন।
এর আগে ৮ জুলাই নারাজি আবেদন গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বাদী সেলিনা বলেন, এজাহারভুক্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার বা জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় একটি মামলার বাদী সেলিনার দাখিল করা নারাজি আবেদন ৮ জুলাই নামঞ্জুর করে পৃথক দুটি মামলায়ই র্যা বের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিম সাইদুজ্জামান শরীফ। একই সঙ্গে পলাতক ১৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন তিনি।
গত ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকা থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। এর তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় সেলিনা বাদী হয়ে নূর হোসেনসহ পাঁচ আসামির নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি এবং নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একই থানায় আরেকটি মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মণ্ডল গত ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে নূর হোসেন, র্যা বের সাবেক তিন কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) এম এম রানাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বর্তমানে র্যা বের সাবেক এই তিন কর্মকর্তাসহ ২২ জন কারাগারে রয়েছেন। পলাতক আছেন ১৩ জন।
No comments