বাধা না মানা ঈদ আনন্দ
ঈদের
পুরোটা দিন ছিল শ্রাবণের বৃষ্টি। পরদিন রোববারও একই অবস্থা। গতকাল
সোমবার হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি। প্রকৃতির এই বিরূপ আচরণ বাধা হয়নি ঈদ আনন্দে।
আনন্দ পরিপূর্ণ করতে নগরবাসীর অনেকেই ছুটে গেছেন বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে।
রাজধানী ও আশপাশের বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ছিল হাজারো মানুষের উপস্থিতি।
যানবাহন পেলে ফাঁকা ও যানজটমুক্ত রাজপথ পেরিয়ে অল্প সময়েই বিনোদনকেন্দ্রে পৌঁছেছেন মানুষ। তবে গণপরিবহন কম থাকায় চলাচলে সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। সময়মতো যানবাহন না পেয়ে বৃষ্টিতে ভিজলেও তাতে আনন্দের রেশ কাটেনি।
চিড়িয়াখানায় জিরাফের অপেক্ষায়: লম্বা গলার জিরাফ মানুষের আগ্রহ বোঝে না, তাই রোববার দুপুরে বেশ খানিকটা সময় দেয়ালঘেরা ঘরের বাইরে বের হয়নি। ওদিকে জিরাফ দেখতে তখন বৃষ্টির মধ্যেই বেষ্টনীর বাইরে কয়েক শ নারী, পুরুষ, শিশুর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা। একসময় অবসান হয় দর্শনার্থীদের অপেক্ষার। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে বড় জিরাফটি। উল্লাসে মেতে ওঠে সবাই, সঙ্গে চিৎকার আর করতালির আওয়াজ।
এ দৃশ্য মিরপুরের চিড়িয়াখানার। সেদিন এমন দৃশ্য দেখা যায় আরও কয়েকটি প্রাণীর খাঁচার বেষ্টনীর বাইরে।
ঈদে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চ মধ্যবিত্তের বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র ছিল এই চিড়িয়াখানা। শিশুরা মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে নানা প্রাণী দেখেছে, উপভোগ করেছে। কিন্তু ঈদের দিন তুমুল বৃষ্টি এই আনন্দ অনেকটা ম্লান করে দেয়। আর চিড়িয়াখানার ভেতর কোনো ছাউনি না থাকায় প্রায় সব দর্শনার্থীকেই কাকভেজা হতে হয়েছে।
পুরান ঢাকার দক্ষিণ মৈশুন্ডী থেকে যমজ সহোদর শিশু হাসান ও হোসেন চিড়িয়াখানায় এসেছিল ঈদের পরদিন। বড়দের সঙ্গে দুই ভাই এখাঁচা থেকে ওখাঁচা ঘুরে ঘুরে দেখেছে। দুজনই বৃষ্টিতে ভিজে একাকার। হোসেন বলল, ঈদের সালামি হিসেবে বড় ভাইয়ের কাছে আবদার করেছিল চিড়িয়াখানায় আসবে।
ওয়ারী থেকে তিন বছরের এষা ও সাত বছরের মালিহা এসেছে চাচার সঙ্গে। মালিহার চাচা ইউসুফ আলী বলেন, ‘ঈদের সময় বেড়াতে আসার নানা ঝক্কি। অটোরিকশা দ্বিগুণ ভাড়া নিয়েছে। এখানে এসে বৃষ্টিতে ভিজছি। তবু বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে এসেছি। বাচ্চাদের আনন্দ দেখে ভালো লাগছে।’
ছোটদের-বড়দের শিশুপার্ক: বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীবাগ থেকে শাহবাগের শিশুপার্কে এসেছিল শিশু মারিয়াম মনোয়ার। রোববার সারা বিকেল বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শিশুপার্কে কাটিয়েছে সে। চড়েছে বিভিন্ন রাইডে। তার বাবা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মেয়ের কান্না সামলাতেই ওর মাকে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে চলে এসেছি।’
ঈদের দিন এবং এর পরদিনের মতো গতকালও শিশুপার্কের প্রতিটি রাইডের সামনে সাধারণ দিনের তুলনায় বেশি ভিড় দেখা গেছে। ঈদ উপলক্ষে নতুন করে সাজানো হয় পার্কের চারপাশ। রং নষ্ট হয়ে যাওয়া রাইডগুলোতে নতুন করে রং লাগানো হয়। কিন্তু সাজসজ্জা তেমন কাজে আসেনি, বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। পার্কের পরিবেশ পরিষ্কার করা হলেও বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় পার্কের প্রবেশমুখে ঢুকতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
শিশুদের সঙ্গে এসেছিলেন বড়রা। বড়দের সংখ্যাও কম ছিল না। বলতে গেলে শিশুপার্কে বড়দের সংখ্যা ছিল শিশুদের সংখ্যার কাছাকাছি।
শিশুপার্কের উল্টো দিকে রাস্তার ওপারে রমনা পার্কেও দেখা যায় ভিড়। কেউ সবান্ধব এসেছেন, কেউ এসেছেন সপরিবারে। বৃষ্টির সময় রমনা পার্কের ছাউনিগুলোতে তিলধারণের ঠাঁই ছিল না। বড় গাছগুলোই বৃষ্টিতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও ঘুরতে গেছেন অনেকে।
শ্যামলীর শিশুমেলাতেও ছিল আনন্দপ্রিয় শিশু, কিশোর ও তাদের অভিভাবকদের ভিড়।
পুরান ঢাকার বিনোদন-কেন্দ্রগুলো: পুরান ঢাকার লালবাগ কেল্লার পাশাপাশি বলধা গার্ডেন, আহসান মঞ্জিলসহ বেড়ানোর জায়গাগুলোতে সপরিবারে এসেছিলেন অনেকে। ঈদের দিন দুপুরে বলধা গার্ডেনের সামনে দেখা গেল শাহিন-লিপি দম্পতিকে। শাহিন দাঁড়িয়ে ছিলেন টিকিট কাউন্টারের সামনে। বললেন, ‘বাসা থেকে অনেক দূরে হওয়ায় বলধা গার্ডেনে তেমন একটা আসা হয় না। ঈদ উপলক্ষে স্ত্রীকে নিয়ে এলাম।’
চকবাজার, লক্ষ্মীবাজার, সুরিটোলা, আরমানিটোলা, ইংলিশ রোড, ধূপখোলা মাঠ, নয়াবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় স্থানীয়ভাবে মেলার আয়োজন করা হয়। ঈদের দিন থেকে শুরু হওয়া এই মেলাগুলোতে ঘুরে দেখা যায় শিশু-কিশোরদের সরব উপস্থিতি। ছিল বড়রাও।
ফ্যান্টাসি কিংডম, নন্দন পার্ক এবং অন্যান্য: রাজধানীর পাশে থিম পার্ক বলে খ্যাত বিনোদনকেন্দ্রগুলোতেও ছিল উল্লেখ করার মতো ভিড়। ফ্যান্টাসি কিংডম, নন্দন পার্কের মতো আধুনিক এই বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে বৃষ্টি কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ঈদের দিন দুপুরের পর থেকে ঢল নেমেছিল এসব কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের। মধ্যরাত পর্যন্ত হাজারো দর্শনার্থীর পদচারণে মুখর ছিল এসব কেন্দ্র। ঈদ উপলক্ষে এসব কেন্দ্রে প্রতিদিন থাকছে কনসার্ট, ড্যান্স শো, ডিজে শো, সেলফি জোন, মেহেদি কর্নারসহ অনেক কিছু। ঈদের দিন এসব আয়োজনে অংশ নিয়েছে অনেকেই।
ভিআইপি সড়কে রিকশাবিলাস, সেলফি: ঈদের দিন থেকে শুরু করে গতকাল পর্যন্ত রাজধানীর বেশির ভাগ প্রধান সড়ক ছিল যানজটমুক্ত। প্রায় ফাঁকা। ঈদের ছুটিতে প্রায় ফাঁকা ভিআইপি সড়কে রিকশা চলতেও ছিল না কোনো বাধা। বৃষ্টির মধ্যে রিকশায় করে ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেকে। এই রিকশাবিলাসে কেউ কেউ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে রিকশার হুড ফেলেছেন, কেউবা হুড খোলা রেখে বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দ উপভোগ করেছেন।
অনেকে আনন্দকে ধরে রাখতে মেতে ছিলেন মোবাইল ফোনে সেলফি তোলায়। নগরের বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে দেখা গেছে দল বেঁধে সেলফি তোলার দৃশ্য।
অবশ্য ঘুরে বেড়িয়ে আনন্দ পাওয়া মানুষের আনন্দে কিছুটা বাদ সেধেছে যানবাহনের ভাড়া। উৎসবকে উপলক্ষ করে রিকশা, অটোরিকশা, মিশুকের ভাড়া গুনতে হয়েছে অতিরিক্ত। বাসেও এর ব্যতিক্রম ছিল না।
যানবাহন পেলে ফাঁকা ও যানজটমুক্ত রাজপথ পেরিয়ে অল্প সময়েই বিনোদনকেন্দ্রে পৌঁছেছেন মানুষ। তবে গণপরিবহন কম থাকায় চলাচলে সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। সময়মতো যানবাহন না পেয়ে বৃষ্টিতে ভিজলেও তাতে আনন্দের রেশ কাটেনি।
চিড়িয়াখানায় জিরাফের অপেক্ষায়: লম্বা গলার জিরাফ মানুষের আগ্রহ বোঝে না, তাই রোববার দুপুরে বেশ খানিকটা সময় দেয়ালঘেরা ঘরের বাইরে বের হয়নি। ওদিকে জিরাফ দেখতে তখন বৃষ্টির মধ্যেই বেষ্টনীর বাইরে কয়েক শ নারী, পুরুষ, শিশুর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা। একসময় অবসান হয় দর্শনার্থীদের অপেক্ষার। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে বড় জিরাফটি। উল্লাসে মেতে ওঠে সবাই, সঙ্গে চিৎকার আর করতালির আওয়াজ।
এ দৃশ্য মিরপুরের চিড়িয়াখানার। সেদিন এমন দৃশ্য দেখা যায় আরও কয়েকটি প্রাণীর খাঁচার বেষ্টনীর বাইরে।
ঈদে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চ মধ্যবিত্তের বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র ছিল এই চিড়িয়াখানা। শিশুরা মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে নানা প্রাণী দেখেছে, উপভোগ করেছে। কিন্তু ঈদের দিন তুমুল বৃষ্টি এই আনন্দ অনেকটা ম্লান করে দেয়। আর চিড়িয়াখানার ভেতর কোনো ছাউনি না থাকায় প্রায় সব দর্শনার্থীকেই কাকভেজা হতে হয়েছে।
পুরান ঢাকার দক্ষিণ মৈশুন্ডী থেকে যমজ সহোদর শিশু হাসান ও হোসেন চিড়িয়াখানায় এসেছিল ঈদের পরদিন। বড়দের সঙ্গে দুই ভাই এখাঁচা থেকে ওখাঁচা ঘুরে ঘুরে দেখেছে। দুজনই বৃষ্টিতে ভিজে একাকার। হোসেন বলল, ঈদের সালামি হিসেবে বড় ভাইয়ের কাছে আবদার করেছিল চিড়িয়াখানায় আসবে।
ওয়ারী থেকে তিন বছরের এষা ও সাত বছরের মালিহা এসেছে চাচার সঙ্গে। মালিহার চাচা ইউসুফ আলী বলেন, ‘ঈদের সময় বেড়াতে আসার নানা ঝক্কি। অটোরিকশা দ্বিগুণ ভাড়া নিয়েছে। এখানে এসে বৃষ্টিতে ভিজছি। তবু বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে এসেছি। বাচ্চাদের আনন্দ দেখে ভালো লাগছে।’
ছোটদের-বড়দের শিশুপার্ক: বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীবাগ থেকে শাহবাগের শিশুপার্কে এসেছিল শিশু মারিয়াম মনোয়ার। রোববার সারা বিকেল বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শিশুপার্কে কাটিয়েছে সে। চড়েছে বিভিন্ন রাইডে। তার বাবা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মেয়ের কান্না সামলাতেই ওর মাকে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে চলে এসেছি।’
ঈদের দিন এবং এর পরদিনের মতো গতকালও শিশুপার্কের প্রতিটি রাইডের সামনে সাধারণ দিনের তুলনায় বেশি ভিড় দেখা গেছে। ঈদ উপলক্ষে নতুন করে সাজানো হয় পার্কের চারপাশ। রং নষ্ট হয়ে যাওয়া রাইডগুলোতে নতুন করে রং লাগানো হয়। কিন্তু সাজসজ্জা তেমন কাজে আসেনি, বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। পার্কের পরিবেশ পরিষ্কার করা হলেও বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় পার্কের প্রবেশমুখে ঢুকতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
শিশুদের সঙ্গে এসেছিলেন বড়রা। বড়দের সংখ্যাও কম ছিল না। বলতে গেলে শিশুপার্কে বড়দের সংখ্যা ছিল শিশুদের সংখ্যার কাছাকাছি।
শিশুপার্কের উল্টো দিকে রাস্তার ওপারে রমনা পার্কেও দেখা যায় ভিড়। কেউ সবান্ধব এসেছেন, কেউ এসেছেন সপরিবারে। বৃষ্টির সময় রমনা পার্কের ছাউনিগুলোতে তিলধারণের ঠাঁই ছিল না। বড় গাছগুলোই বৃষ্টিতে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও ঘুরতে গেছেন অনেকে।
শ্যামলীর শিশুমেলাতেও ছিল আনন্দপ্রিয় শিশু, কিশোর ও তাদের অভিভাবকদের ভিড়।
পুরান ঢাকার বিনোদন-কেন্দ্রগুলো: পুরান ঢাকার লালবাগ কেল্লার পাশাপাশি বলধা গার্ডেন, আহসান মঞ্জিলসহ বেড়ানোর জায়গাগুলোতে সপরিবারে এসেছিলেন অনেকে। ঈদের দিন দুপুরে বলধা গার্ডেনের সামনে দেখা গেল শাহিন-লিপি দম্পতিকে। শাহিন দাঁড়িয়ে ছিলেন টিকিট কাউন্টারের সামনে। বললেন, ‘বাসা থেকে অনেক দূরে হওয়ায় বলধা গার্ডেনে তেমন একটা আসা হয় না। ঈদ উপলক্ষে স্ত্রীকে নিয়ে এলাম।’
চকবাজার, লক্ষ্মীবাজার, সুরিটোলা, আরমানিটোলা, ইংলিশ রোড, ধূপখোলা মাঠ, নয়াবাজারসহ বেশ কিছু এলাকায় স্থানীয়ভাবে মেলার আয়োজন করা হয়। ঈদের দিন থেকে শুরু হওয়া এই মেলাগুলোতে ঘুরে দেখা যায় শিশু-কিশোরদের সরব উপস্থিতি। ছিল বড়রাও।
ফ্যান্টাসি কিংডম, নন্দন পার্ক এবং অন্যান্য: রাজধানীর পাশে থিম পার্ক বলে খ্যাত বিনোদনকেন্দ্রগুলোতেও ছিল উল্লেখ করার মতো ভিড়। ফ্যান্টাসি কিংডম, নন্দন পার্কের মতো আধুনিক এই বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে বৃষ্টি কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ঈদের দিন দুপুরের পর থেকে ঢল নেমেছিল এসব কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের। মধ্যরাত পর্যন্ত হাজারো দর্শনার্থীর পদচারণে মুখর ছিল এসব কেন্দ্র। ঈদ উপলক্ষে এসব কেন্দ্রে প্রতিদিন থাকছে কনসার্ট, ড্যান্স শো, ডিজে শো, সেলফি জোন, মেহেদি কর্নারসহ অনেক কিছু। ঈদের দিন এসব আয়োজনে অংশ নিয়েছে অনেকেই।
ভিআইপি সড়কে রিকশাবিলাস, সেলফি: ঈদের দিন থেকে শুরু করে গতকাল পর্যন্ত রাজধানীর বেশির ভাগ প্রধান সড়ক ছিল যানজটমুক্ত। প্রায় ফাঁকা। ঈদের ছুটিতে প্রায় ফাঁকা ভিআইপি সড়কে রিকশা চলতেও ছিল না কোনো বাধা। বৃষ্টির মধ্যে রিকশায় করে ঘুরে বেড়িয়েছেন অনেকে। এই রিকশাবিলাসে কেউ কেউ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে রিকশার হুড ফেলেছেন, কেউবা হুড খোলা রেখে বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দ উপভোগ করেছেন।
অনেকে আনন্দকে ধরে রাখতে মেতে ছিলেন মোবাইল ফোনে সেলফি তোলায়। নগরের বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্রে দেখা গেছে দল বেঁধে সেলফি তোলার দৃশ্য।
অবশ্য ঘুরে বেড়িয়ে আনন্দ পাওয়া মানুষের আনন্দে কিছুটা বাদ সেধেছে যানবাহনের ভাড়া। উৎসবকে উপলক্ষ করে রিকশা, অটোরিকশা, মিশুকের ভাড়া গুনতে হয়েছে অতিরিক্ত। বাসেও এর ব্যতিক্রম ছিল না।
ঈদের আগের দিন থেকেই রাজধানীতে শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। গতকালও ছিল। এর মধ্যেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে গিয়েছিল মানুষ। ঈদের পরদিন গত রোববার ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে তোলা ছবি l প্রথম আলো |
No comments