কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে গলদঘর্ম সরকারি দল by উৎপল রায়
মেয়র
পদের প্রার্থী নিয়ে নিশ্চিন্ত হলেও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন
নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রার্থী বাছাইয়ে বেকায়দায় পড়েছে সরকারি দল
আওয়ামী লীগ। ভেস্তে যেতে বসেছে প্রতিটি ওয়ার্ডে একক প্রার্থী বাছাইয়ের
পরিকল্পনা। দুই সিটিতে ৯৩টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী
লীগের ৫শ’র বেশি প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বৈধ প্রার্থী
হিসেবে ঘোষিত হয়েছেন ৪শ’র বেশি প্রার্থী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহানগরের
অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থন প্রত্যাশী একাধিক। কোন কোন
ওয়ার্ডে এ সংখ্যা ৩ থেকে ১২ জন পর্যন্ত। তারা সবাই নির্বাচনে অংশ নেয়ার
জন্য দলের কেন্দ্রীয়, মহানগরের নেতা, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের কাছে
জোর লবিং ও তদবির করছেন। কোন কোন প্রার্থীর জন্য ঢাকার সংসদ সদস্য ও
প্রভাবশালী মন্ত্রীরাও উঠেপড়ে লেগেছেন। নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে
নির্বাচনের সুযোগ দিতে এমপি-মন্ত্রীরাও তৎপর। ফলে প্রতিটি ওয়ার্ডে একক
প্রার্থী বাছাইয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী বাছাইয়ে
দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের শীর্ষ নেতারা। কাকে রেখে
কাকে সমর্থন দেয়া হবে এনিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে তারা। একদিকে সঠিক
প্রার্থীকে সমর্থন অন্যদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকানো সব মিলিয়ে কাউন্সিলর
পদে প্রার্থী বাছাইয়ে গলদঘর্ম অবস্থায় আওয়ামী লীগ। তবে, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা দাবি করছেন, প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া তারা
গুছিয়ে এনেছেন। ইতিমধ্যে দলের অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচন করবেন না
বলে প্রত্যাহারপত্র জমা দিচ্ছেন। নেতারা আশা করছেন প্রার্থী বাছাইয়ের আগেই
আরও অনেকেই প্রত্যাহারপত্র জমা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন। কিন্তু
কতজন প্রত্যাহারপত্র জমা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাবেন সে বিষয়ে নিজেরাও
সন্দিহান তারা।
দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের কয়েকজন নেতা আলাপকালে জানান, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারা বদ্ধপরিকর। আর বড় দল হিসেবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকবে এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু সবাইকে সমর্থন দেয়া সম্ভব নয়। এলাকায় যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে, যারা উন্নয়নে বিশ্বাসী ও সৎ লোক তাদেরকেই বাছাই করে একক প্রার্থিতা নিশ্চিত করা হবে। আর যারা দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নির্বাচনে লড়বেন ব্যক্তিগতভাবেই তাদের নির্বাচন করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কামরুল ইসলাম গতকাল মানবজমিনকে বলেন, সময় আসলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী যে যারা সমর্থিত প্রার্থীর বাইরে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তারা শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে। আর যারা এ সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে অংশ নেবে তাদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গত ২৭শে মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে নগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও দলের সমর্থন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন আওয়ামী সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণের প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের পক্ষ থেকে একক কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান শেখ হাসিনা। তিনি আরও জানান, বৃহত্তর স্বার্থে দলের যেকোন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে পরিণতি ভাল হবে না বলেও হুঁশিয়ারি করেন তিনি। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এরকম কঠোর মনোভাবেও অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন।
ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের জন্য আওয়ামী লীগের ৩ থেকে ১২ জন প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। মনোনয়ন বৈধ ঘোষিত হওয়ার পরপরই তারা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। দলের সমর্থন প্রত্যাশীদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারাও রয়েছেন। জানা গেছে, ঢাকা উত্তরে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিতে চান অন্তত একডজন প্রার্থী। এদের বেশির ভাগ থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা। উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করতে চান ৯ জন। উত্তরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি দলের সমর্থন চান ৮ জন প্রার্থী। প্রার্থীদের বেশির ভাগ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা। এদিকে দক্ষিণে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের সমর্থনে কাউন্সিলর নির্বাচনে লড়তে চান। এরকম ৬০ থেকে ৭০টি ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী দলীয় সমর্থনে নির্বাচন করতে চাইছেন। কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, মহানগরের অনেক থানা ও ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য অনেক আগে থেকেই তারা প্রচার- প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। এছাড়া দলীয় রাজনীতির পাশাপাশি নিজ নিজ ওয়ার্ডে বহুদিন ধরেই তারা উন্নয়নমূলক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছেন। দলের জন্যও তারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন। অতীতে জেল, জুলুম সয়েছেন। এখন কেন্দ্র থেকে যদি দুর্বল, অসৎ, অগ্রহণযোগ্য ও দলে যাদের অবদান নেই তাদের সমর্থন করা হয় তাহলে তারা নির্দেশনা উপেক্ষা করে যেকোন মূল্যে নির্বাচন করবেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মানবজমিনকে বলেন, দলের নেতাকর্মীদের আবেগ আমরা বুঝি। কিন্তু যেকোন মূল্যে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। এজন্য দলীয় সভানেত্রীরও নির্দেশনা রয়েছে। যদি কেউ দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে তাকে বহিষ্কারের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেও দলের হাইকমান্ড পেছপা হবে না। কিন্তু এভাবে প্রার্থীদের নিবৃত্ত করা সম্ভব কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই নেতা বলেন, ১৫/২০টি ওয়ার্ডে হয়তো এরকম হতে পারে। তবে, নির্বাচনের আগেই সব ঠিক হয়ে যাবে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ গতকাল মানবজমিনকে বলেন, ইতিমধ্যেই অনেক প্রার্থী নির্বাচন করবেন না বলে প্রত্যাহার পত্র জমা দেয়া শুরু করেছেন। অন্যদের মঙ্গলবার রাত বারটা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তারা যদি নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ান তবে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ বলেন, আমরা আশা করবো দলীয় সমর্থন যারা পাবেন না তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। যারা সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের কয়েকজন নেতা আলাপকালে জানান, দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তারা বদ্ধপরিকর। আর বড় দল হিসেবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকবে এটাও স্বাভাবিক। কিন্তু সবাইকে সমর্থন দেয়া সম্ভব নয়। এলাকায় যাদের গ্রহণযোগ্যতা আছে, যারা উন্নয়নে বিশ্বাসী ও সৎ লোক তাদেরকেই বাছাই করে একক প্রার্থিতা নিশ্চিত করা হবে। আর যারা দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নির্বাচনে লড়বেন ব্যক্তিগতভাবেই তাদের নির্বাচন করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট কামরুল ইসলাম গতকাল মানবজমিনকে বলেন, সময় আসলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী যে যারা সমর্থিত প্রার্থীর বাইরে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তারা শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে। আর যারা এ সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে অংশ নেবে তাদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। গত ২৭শে মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে নগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও দলের সমর্থন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন আওয়ামী সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণের প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের পক্ষ থেকে একক কাউন্সিলর প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান শেখ হাসিনা। তিনি আরও জানান, বৃহত্তর স্বার্থে দলের যেকোন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে পরিণতি ভাল হবে না বলেও হুঁশিয়ারি করেন তিনি। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের এরকম কঠোর মনোভাবেও অনেক কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন।
ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের জন্য আওয়ামী লীগের ৩ থেকে ১২ জন প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। মনোনয়ন বৈধ ঘোষিত হওয়ার পরপরই তারা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। দলের সমর্থন প্রত্যাশীদের মধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারাও রয়েছেন। জানা গেছে, ঢাকা উত্তরে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিতে চান অন্তত একডজন প্রার্থী। এদের বেশির ভাগ থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা। উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করতে চান ৯ জন। উত্তরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি দলের সমর্থন চান ৮ জন প্রার্থী। প্রার্থীদের বেশির ভাগ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা। এদিকে দক্ষিণে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের সমর্থনে কাউন্সিলর নির্বাচনে লড়তে চান। এরকম ৬০ থেকে ৭০টি ওয়ার্ডে একাধিক প্রার্থী দলীয় সমর্থনে নির্বাচন করতে চাইছেন। কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, মহানগরের অনেক থানা ও ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের জন্য অনেক আগে থেকেই তারা প্রচার- প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। এছাড়া দলীয় রাজনীতির পাশাপাশি নিজ নিজ ওয়ার্ডে বহুদিন ধরেই তারা উন্নয়নমূলক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছেন। দলের জন্যও তারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন। অতীতে জেল, জুলুম সয়েছেন। এখন কেন্দ্র থেকে যদি দুর্বল, অসৎ, অগ্রহণযোগ্য ও দলে যাদের অবদান নেই তাদের সমর্থন করা হয় তাহলে তারা নির্দেশনা উপেক্ষা করে যেকোন মূল্যে নির্বাচন করবেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মানবজমিনকে বলেন, দলের নেতাকর্মীদের আবেগ আমরা বুঝি। কিন্তু যেকোন মূল্যে দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। এজন্য দলীয় সভানেত্রীরও নির্দেশনা রয়েছে। যদি কেউ দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে তাকে বহিষ্কারের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেও দলের হাইকমান্ড পেছপা হবে না। কিন্তু এভাবে প্রার্থীদের নিবৃত্ত করা সম্ভব কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই নেতা বলেন, ১৫/২০টি ওয়ার্ডে হয়তো এরকম হতে পারে। তবে, নির্বাচনের আগেই সব ঠিক হয়ে যাবে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ গতকাল মানবজমিনকে বলেন, ইতিমধ্যেই অনেক প্রার্থী নির্বাচন করবেন না বলে প্রত্যাহার পত্র জমা দেয়া শুরু করেছেন। অন্যদের মঙ্গলবার রাত বারটা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তারা যদি নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ান তবে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ বলেন, আমরা আশা করবো দলীয় সমর্থন যারা পাবেন না তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন। যারা সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন তাদের বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments