দেড় কোটি টাকার স্কুল ভবন হস্তান্তরের আগেই ফাটল
উখিয়া
পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনতলা নতুন একাডেমিক ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল
দেখা দিয়েছে। প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবন হস্তান্তরের আগে
একাধিক স্থানে ফাটল দেখা দেয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়
লোকজনের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি পলেস্তরায় ফাটল ভবনের
তেমন সমস্যা হবে না। ভবনটি নির্মাণের শুরু থেকে ব্যাপক অনিয়ম, কারচুপির
অভিযোগ আনলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা আমলে না নেয়ায় এ অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে
বলে দাবি এলাকাবাসীর।
উখিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ সঙ্কট নিরসনের লক্ষ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে চারতলা ফাউন্ডেশনসহ তিনতলা বিদ্যালয় একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের ঠিকাদার দীপংকর বড়ুয়া কাজটির টেন্ডার নেন। বিদ্যালয় ভবনটি যে স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে সে স্থান নিয়ে এলাকাবাসীর আপত্তি ছিল।
স্থানীয় অভিভাবক শাহ আলম, আবদুল কাদেরসহ অনেকে গত রোববার বলেন, যেখানে ভবন করা হয়েছে সে জায়গায় এক সময় পুকুর ছিল। কালক্রমে সেটি ভরাট হয়ে পড়ে। স্থানীয় ঠিকাদার জসিম উদ্দিন ও মিজানুর রহমান বলেন, মাটি নরম বা গর্ত জাতীয় স্থানে কোন পাকা স্থাপনা করতে গেলে সেখানের মাটি পরীক্ষাসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয় এবং এসব স্থানে ভবন নির্মাণের শুরুতে পাইলিং করে ভিত শক্ত করে তুলতে হয়। কিন্তু উখিয়ায় স্কুল ভবন নির্মাণের আগে পাইলিং করা হয়নি এবং বেজমেন্ট ঢালাই ও ভরাট কাজে অনিয়ম থাকতে পারে। ফলে তিনতলা বিশিষ্ট একটি পাকা ভবনের ওজন কয়েক শ’ টন হবে বিধায় ত্রুটি থাকলে ভবন দেবে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফাটল নানা ঝুঁকি থাকতে পারে।
উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোছাইন সিরাজী বলেন, এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। তবে তা যদি হয়ে থাকে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য একরামুল হক বলেন, আমরা দু’মাস পূর্বে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। ভবন নির্মাণে কি হয়েছে না হয়েছে তা জানি না। তবে ভবন নির্মাণকালে বিভিন্ন অনিয়ম ও কারচুপির কথা লোকমুখে শুনেছি। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান ও উখিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, নতুন একাডেমিক ভবনে ফাটল দেখা দেয়ার বিষয়ে আমি অবগত নয়। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা না বলে কোন মন্তব্য করা যাচ্ছে না। কক্সবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সমীর কুমার রতন দাশ বলেন, সরকারের মডেল স্কুল ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে গত ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়। ইতিমধ্যে কাজ প্রায় সম্পন্নের পথে। ভবন নির্মাণ স্থলে পুকুর থাকার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, নিয়ম অনুসারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ওই স্থানে ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ভবনের ফাটল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্লাস্টারের উপর ছোটখাটো ফাটল কোন সমস্যা হবে না। এগুলো নিয়ে অহেতুক উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
উখিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শ্রেণী কক্ষ সঙ্কট নিরসনের লক্ষ্যে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে চারতলা ফাউন্ডেশনসহ তিনতলা বিদ্যালয় একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের ঠিকাদার দীপংকর বড়ুয়া কাজটির টেন্ডার নেন। বিদ্যালয় ভবনটি যে স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে সে স্থান নিয়ে এলাকাবাসীর আপত্তি ছিল।
স্থানীয় অভিভাবক শাহ আলম, আবদুল কাদেরসহ অনেকে গত রোববার বলেন, যেখানে ভবন করা হয়েছে সে জায়গায় এক সময় পুকুর ছিল। কালক্রমে সেটি ভরাট হয়ে পড়ে। স্থানীয় ঠিকাদার জসিম উদ্দিন ও মিজানুর রহমান বলেন, মাটি নরম বা গর্ত জাতীয় স্থানে কোন পাকা স্থাপনা করতে গেলে সেখানের মাটি পরীক্ষাসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয় এবং এসব স্থানে ভবন নির্মাণের শুরুতে পাইলিং করে ভিত শক্ত করে তুলতে হয়। কিন্তু উখিয়ায় স্কুল ভবন নির্মাণের আগে পাইলিং করা হয়নি এবং বেজমেন্ট ঢালাই ও ভরাট কাজে অনিয়ম থাকতে পারে। ফলে তিনতলা বিশিষ্ট একটি পাকা ভবনের ওজন কয়েক শ’ টন হবে বিধায় ত্রুটি থাকলে ভবন দেবে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফাটল নানা ঝুঁকি থাকতে পারে।
উখিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোছাইন সিরাজী বলেন, এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। তবে তা যদি হয়ে থাকে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য একরামুল হক বলেন, আমরা দু’মাস পূর্বে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। ভবন নির্মাণে কি হয়েছে না হয়েছে তা জানি না। তবে ভবন নির্মাণকালে বিভিন্ন অনিয়ম ও কারচুপির কথা লোকমুখে শুনেছি। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান ও উখিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, নতুন একাডেমিক ভবনে ফাটল দেখা দেয়ার বিষয়ে আমি অবগত নয়। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা না বলে কোন মন্তব্য করা যাচ্ছে না। কক্সবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সমীর কুমার রতন দাশ বলেন, সরকারের মডেল স্কুল ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে গত ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়। ইতিমধ্যে কাজ প্রায় সম্পন্নের পথে। ভবন নির্মাণ স্থলে পুকুর থাকার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, নিয়ম অনুসারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ওই স্থানে ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ভবনের ফাটল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্লাস্টারের উপর ছোটখাটো ফাটল কোন সমস্যা হবে না। এগুলো নিয়ে অহেতুক উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
No comments