উত্তরে তাবিথই ভরসা বিএনপির?
ঢাকা
ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়ে
গেছে। কিন্তু ঢাকা উত্তরে এখনো প্রার্থীই চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি।
দলটি এখনো চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর জন্য অপেক্ষা করছে।
সূত্র জানায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ও মিন্টুর বিপক্ষে গেলে
তাঁর ছেলে তাবিথ আউয়ালকে সমর্থন দেওয়ার কথা জোর দিয়ে ভাবছে বিএনপি।
তাঁকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
অবশ্য উত্তরে বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরীকে প্রার্থী করার জন্য বিএনপির একটি অংশ তৎপর। মাহী নিজেও আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সব জাতীয়তাবাদী শক্তির সমর্থন চেয়েছেন। তবে মাহী দাবি করেছেন, বিএনপির সমর্থনের জন্য তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এদিকে বিএনপি-জোটের একটি অংশ সরাসরি মাহীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিএনপির কয়েকজন প্রভাবশালী জ্যেষ্ঠ নেতাও তাঁর বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে আবদুল আউয়াল মিন্টুকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। সে জন্য উত্তরে বিএনপির আর কোনো নেতা মেয়র পদে প্রার্থী হননি। বিএনপির সূত্র জানায়, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশঙ্কা ছিল মিন্টুর মনোনয়ন ইচ্ছাকৃতভাবে বাতিল করা হতে পারে। এ জন্য তিনি মিন্টুকে একজন বিকল্প প্রার্থীও ঠিক করতে বলেছিলেন। মিন্টু বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিবের নাম বলেছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া তাতে সায় না দেওয়ায় পরবর্তীতে ছেলে তাবিথের নামেও মনোনয়নপত্র তোলার ব্যবস্থা করেন মিন্টু।
মিন্টুর মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশন বাতিল করলেও তাবিথ বৈধ প্রার্থী। কিন্তু ছেলেকে নির্বাচনে রাখতে মিন্টু ইচ্ছাকৃত ভুল করেছেন-এমন সমালোচনার মুখে নির্বাচন করতে অনিচ্ছার কথা জানান তাবিথ আউয়াল। বিএনপির সূত্র জানায়, গত সোমবার রাতে তাবিথ আউয়াল ও তাঁর মা নাসরিন আউয়ালকে ডেকে পাঠান খালেদা জিয়া। এ সময় প্রার্থী হতে চান না বলে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় খালেদা জিয়া তাবিথকে মৃদু ভর্ৎসনা করেন বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে মিন্টুর জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করার পাশাপাশি তাবিথকে মানসিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। প্রার্থিতার বিষয়ে জানতে চাইলে তাবিথ আউয়াল গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি তো আছিই। এখন বাবার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।’
এর আগে খালেদা জিয়ার বাসা থেকে বের হয়ে অবশ্য তাবিথ প্রথম আলোকে বলেছিলেন, কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। দীর্ঘদিন পর খালেদা জিয়া বাসায় ফিরেছেন, এ জন্য তাঁর মা তাঁদের নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন নিয়েছেন বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ মাহী বি. চৌধুরী। বিএনপির একটি অংশ তাঁকে সমর্থন দেওয়ার পক্ষে। নির্বাচন করতে অনিচ্ছুক-তাবিথের এমন বক্তব্যের পর মাহীর সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। কিন্তু এর মধ্যে বিএনপি ও জোটের একটি অংশ সরাসরি মাহীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিক পাঁচটি দল তাঁকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি তুলেছে।
আপত্তির কারণ জানতে চাইলে বিএনপি-জোটের শরিক বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, বিকল্পধারা ২০-দলীয় জোটের কেউ না। চলমান আন্দোলনে তারা কখনো হরতালের পক্ষে, কখনো বিপক্ষে কথা বলেছে। জোট গঠনের সময় বিকল্পধারা আসেনি। কারণ হিসেবে বলেছিল, যুদ্ধাপরাধীদের দল আছে জোটে। এখন এই জোটের সমর্থন চাওয়া সুবিধাবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
অবশ্য উত্তরে বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরীকে প্রার্থী করার জন্য বিএনপির একটি অংশ তৎপর। মাহী নিজেও আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে সব জাতীয়তাবাদী শক্তির সমর্থন চেয়েছেন। তবে মাহী দাবি করেছেন, বিএনপির সমর্থনের জন্য তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এদিকে বিএনপি-জোটের একটি অংশ সরাসরি মাহীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বিএনপির কয়েকজন প্রভাবশালী জ্যেষ্ঠ নেতাও তাঁর বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করছেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে আবদুল আউয়াল মিন্টুকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি। সে জন্য উত্তরে বিএনপির আর কোনো নেতা মেয়র পদে প্রার্থী হননি। বিএনপির সূত্র জানায়, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশঙ্কা ছিল মিন্টুর মনোনয়ন ইচ্ছাকৃতভাবে বাতিল করা হতে পারে। এ জন্য তিনি মিন্টুকে একজন বিকল্প প্রার্থীও ঠিক করতে বলেছিলেন। মিন্টু বিএনপির একজন যুগ্ম মহাসচিবের নাম বলেছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া তাতে সায় না দেওয়ায় পরবর্তীতে ছেলে তাবিথের নামেও মনোনয়নপত্র তোলার ব্যবস্থা করেন মিন্টু।
মিন্টুর মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশন বাতিল করলেও তাবিথ বৈধ প্রার্থী। কিন্তু ছেলেকে নির্বাচনে রাখতে মিন্টু ইচ্ছাকৃত ভুল করেছেন-এমন সমালোচনার মুখে নির্বাচন করতে অনিচ্ছার কথা জানান তাবিথ আউয়াল। বিএনপির সূত্র জানায়, গত সোমবার রাতে তাবিথ আউয়াল ও তাঁর মা নাসরিন আউয়ালকে ডেকে পাঠান খালেদা জিয়া। এ সময় প্রার্থী হতে চান না বলে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় খালেদা জিয়া তাবিথকে মৃদু ভর্ৎসনা করেন বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে মিন্টুর জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করার পাশাপাশি তাবিথকে মানসিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। প্রার্থিতার বিষয়ে জানতে চাইলে তাবিথ আউয়াল গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি তো আছিই। এখন বাবার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।’
এর আগে খালেদা জিয়ার বাসা থেকে বের হয়ে অবশ্য তাবিথ প্রথম আলোকে বলেছিলেন, কোনো রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। দীর্ঘদিন পর খালেদা জিয়া বাসায় ফিরেছেন, এ জন্য তাঁর মা তাঁদের নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর থেকে মেয়র পদে মনোনয়ন নিয়েছেন বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ মাহী বি. চৌধুরী। বিএনপির একটি অংশ তাঁকে সমর্থন দেওয়ার পক্ষে। নির্বাচন করতে অনিচ্ছুক-তাবিথের এমন বক্তব্যের পর মাহীর সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। কিন্তু এর মধ্যে বিএনপি ও জোটের একটি অংশ সরাসরি মাহীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিক পাঁচটি দল তাঁকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি তুলেছে।
আপত্তির কারণ জানতে চাইলে বিএনপি-জোটের শরিক বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, বিকল্পধারা ২০-দলীয় জোটের কেউ না। চলমান আন্দোলনে তারা কখনো হরতালের পক্ষে, কখনো বিপক্ষে কথা বলেছে। জোট গঠনের সময় বিকল্পধারা আসেনি। কারণ হিসেবে বলেছিল, যুদ্ধাপরাধীদের দল আছে জোটে। এখন এই জোটের সমর্থন চাওয়া সুবিধাবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
No comments