বড় পদোন্নতিতেও ‘বঞ্চনা’, প্রশাসনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, পিএসদের জয়জয়কার
‘গণপদোন্নতি’ নিয়ে জনপ্রশাসনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন যোগ্য থাকার পরও তাঁদের পদোন্নতি ‘বঞ্চিত’ করা হয়েছে। রাজনৈতিক পরিচয় দিয়েও অনেককে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে।
সব মিলিয়ে ৮৭৩ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিতে গিয়ে আরও কয়েক শ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি ‘বঞ্চিত’ করা হয়েছে বলে পদোন্নতি না পাওয়া কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা বেজায় খুশি। বিশেষ করে যেসব কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন তাঁরা বেশি খুশি হয়েছেন। কারণ, এই পদগুলোকে প্রশাসনের নীতিনির্ধারণী পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গাড়িসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধাও বেশি। তবে পদ না থাকার কারণে অতিরিক্ত সচিব হয়েও অনেককে উপসচিবের দপ্তরেই কাজ করতে হবে।
বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেছেন, জনপ্রশাসনে চার বছর ধরে ঢালাও পদোন্নতি হলেও পদগুলোকে সে অনুযায়ী উন্নীত (আপগ্রেড) করা হয়নি, নতুন করে পদ সৃষ্টি করা হয়নি। এ কারণে পদোন্নতি হলেও নতুন পদে বদলি বা পদায়নে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি বেশ জটিল। এর পরও কিছু কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যেমন এখন যুগ্ম সচিবদের পদে অতিরিক্ত সচিবদেরও পদায়নের সুযোগ করা হয়েছে।
জনপ্রশাসনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৮৫ বিসিএস পর্যন্ত কর্মকর্তারা অবসরে না যাওয়া পর্যন্ত এই সমস্যা কাটবে না। কারণ, ওই বিসিএস পর্যন্ত মাত্রাতিরিক্ত কর্মকর্তা রয়েছেন।
গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, আরেক কর্মকর্তা নিজ কার্যালয়ে ছেড়ে মন খারাপ করে বসে আছেন। জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, বিসিএস মেধা তালিকায় তাঁর চেয়ে অন্তত পেছনে থাকা ২৬ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি হয়েছে, কিন্তু তাঁকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।
একটি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ১১তম বিসিএসের মেধা তালিকায় প্রথম পাঁচে থাকা এক কর্মকর্তা (জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব) চার দফায় পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন। এ রকমভাবে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা তাঁদের অভিযোগের কথা জানান।
পিএসদের জয়জয়কার: নতুন পদোন্নতিতে দলীয় পরিচয় ও আস্থাভাজন কর্মকর্তারা প্রাধান্য পেয়েছেন। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব, সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও বিভিন্ন সংস্থা প্রধানের অন্তত ৩২ জন একান্ত সচিব (পিএস) পদোন্নতি পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব-১ সাজ্জাদুল হাসান ও একান্ত সচিব-২ নমিতা হালদার যুগ্ম সচিব থেকে পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন। তাঁদের দুজনকেই গতকাল আবার প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ১ ও ২ হিসেবে নতুন করে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, পদ ছাড়া কোনোভাবেই পদোন্নতি দেওয়া ঠিক নয়। আর পদোন্নতিতে যদি দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতি হয়ে থাকে তা দুঃখজনক।
সব মিলিয়ে ৮৭৩ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিতে গিয়ে আরও কয়েক শ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি ‘বঞ্চিত’ করা হয়েছে বলে পদোন্নতি না পাওয়া কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা বেজায় খুশি। বিশেষ করে যেসব কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন তাঁরা বেশি খুশি হয়েছেন। কারণ, এই পদগুলোকে প্রশাসনের নীতিনির্ধারণী পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গাড়িসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধাও বেশি। তবে পদ না থাকার কারণে অতিরিক্ত সচিব হয়েও অনেককে উপসচিবের দপ্তরেই কাজ করতে হবে।
বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেছেন, জনপ্রশাসনে চার বছর ধরে ঢালাও পদোন্নতি হলেও পদগুলোকে সে অনুযায়ী উন্নীত (আপগ্রেড) করা হয়নি, নতুন করে পদ সৃষ্টি করা হয়নি। এ কারণে পদোন্নতি হলেও নতুন পদে বদলি বা পদায়নে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি বেশ জটিল। এর পরও কিছু কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যেমন এখন যুগ্ম সচিবদের পদে অতিরিক্ত সচিবদেরও পদায়নের সুযোগ করা হয়েছে।
জনপ্রশাসনের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৮৫ বিসিএস পর্যন্ত কর্মকর্তারা অবসরে না যাওয়া পর্যন্ত এই সমস্যা কাটবে না। কারণ, ওই বিসিএস পর্যন্ত মাত্রাতিরিক্ত কর্মকর্তা রয়েছেন।
গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, আরেক কর্মকর্তা নিজ কার্যালয়ে ছেড়ে মন খারাপ করে বসে আছেন। জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, বিসিএস মেধা তালিকায় তাঁর চেয়ে অন্তত পেছনে থাকা ২৬ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি হয়েছে, কিন্তু তাঁকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।
একটি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ১১তম বিসিএসের মেধা তালিকায় প্রথম পাঁচে থাকা এক কর্মকর্তা (জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব) চার দফায় পদোন্নতি বঞ্চিত হয়েছেন। এ রকমভাবে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা তাঁদের অভিযোগের কথা জানান।
পিএসদের জয়জয়কার: নতুন পদোন্নতিতে দলীয় পরিচয় ও আস্থাভাজন কর্মকর্তারা প্রাধান্য পেয়েছেন। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব, সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও বিভিন্ন সংস্থা প্রধানের অন্তত ৩২ জন একান্ত সচিব (পিএস) পদোন্নতি পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব-১ সাজ্জাদুল হাসান ও একান্ত সচিব-২ নমিতা হালদার যুগ্ম সচিব থেকে পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন। তাঁদের দুজনকেই গতকাল আবার প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ১ ও ২ হিসেবে নতুন করে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, পদ ছাড়া কোনোভাবেই পদোন্নতি দেওয়া ঠিক নয়। আর পদোন্নতিতে যদি দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতি হয়ে থাকে তা দুঃখজনক।
No comments