এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে মান্না
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হয় |
অসুস্থ
মাহমুদুর রহমান মান্নাকে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাঁকে
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নাকে কাল প্রথমে বারডেম হাসপাতাল ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) শয্যা ফাঁকা না থাকায় ওই দুটি হাসপাতাল তাঁকে ভর্তি নেয়নি। এরপর তাঁকে হৃদরোগ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর আগে গত ৩১ মার্চ মান্নাকে কারাগার থেকে বারডেমে নেওয়া হলেও সিসিইউতে শয্যা ফাঁকা না থাকায় সেখানে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। ওই দিনই বারডেম থেকে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মেডিকেল থেকে জানানো হয়, কারা কর্তৃপক্ষ এখানে ভর্তির বিষয়ে অনুরোধ না করায় তারা ভর্তি নিতে পারবে না। ওই দিনই মান্নাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
মান্নার আইনজীবী আবদুল মান্নান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি, চিকিৎসকেরাও বলছেন, উনি গুরুতর অসুস্থ। ওনার হার্টে ব্লক ও উচ্চ রক্তচাপ আছে। বহুদিন ধরে উনি স্পন্ডিলাইটিসের রোগী। তার পরও তিনি সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না।’
আইনজীবী বলেন, এসব চিকিৎসা কারা হাসপাতালে নেই বলেই ওনাকে বাইরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার দাবি জানানো হয়। উচ্চ আদালতও সেই নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তার পরও তা প্রতিপালনে এতদিন লাগার বিষয়টি দুঃখজনক।
মান্নার আইনজীবীরা জানান, প্রথম দফায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার পর তাঁকে দ্বিতীয় দফায় আরেকটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিন দিনের মাথায় অসুস্থ হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তাঁকে আবার জেলে নেওয়া হয়। তখন থেকে অসুস্থ এই ব্যক্তিকে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল।
এদিকে মান্না সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করে আসছিল তাঁর পরিবার। চিকিৎসকেরা সিসিইউতে রাখার পরামর্শ দিলেও তাঁকে এক সপ্তাহ ধরে কারাগারে সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের নেতারা।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরের দিকে পুলিশ মান্নাকে কারাগারে নিয়ে যান। এই হাসপাতালের পরিচালক এস টি এম আবু আজম প্রথম আলোকে বলেন, মান্নার হৃদযন্ত্রের রক্তনালিতে আগে থেকেই ব্লক ছিল। হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে আসার পর তাঁর একটি ইসিজি করা হয়েছে। এতে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
আজ বুধবার মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে মান্নার সুচিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও পরিচালক জানিয়েছেন।
মান্নার স্ত্রী মেহের নিগার প্রথম আলোকে বলেন, ২ এপ্রিল কারাগারে ওনার সঙ্গে সর্বশেষ দেখা হয়েছে। আজ জানতে পারলেন, উনি হাসপাতালে। এর আগে তাঁকে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে নেওয়া হলেও সিসিইউতে শয্যা ফাঁকা না থাকার কথা বলে কারাগারে পাঠানো হয়।
মান্নার স্ত্রী আরও বলেন, সিসিইউ না পেলে তাঁকে অন্তত কেবিনে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা যেত। কিন্তু অসুস্থ শরীরে তাঁকে বারবার কারাগারেই ফেরত পাঠানো হয়। এমনকি একজন বিশিষ্ট নাগরিক হলেও তাঁকে ডিভিশন না দিয়ে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে রাখা হয়েছে।
আইনজীবী মান্নান খান জানান, প্রবাসীর সঙ্গে টেলিফোন আলাপ ও উসকানির মামলায় জামিন আবেদন গতকাল মহানগর দায়রা জজ আদালত নাকচ করে দিয়েছেন। এখন তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। তাঁর মতে, কোন প্রবাসীর সঙ্গে মান্না ফোনে আলোচনা করেছিলেন, তাঁকে চিহ্নিত করা না গেলে মামলা গুরুত্বহীন হয়ে যায়। তা ছাড়া যে উসকানির অভিযোগ আনা হয়েছে, তেমন কোনো ঘটনা বাস্তবে ঘটেনি। এ ছাড়া এর আগে সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে কথোপকথন মামলায় রিমান্ডের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদনও আদালত খারিজ করে দেন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্নাকে কাল প্রথমে বারডেম হাসপাতাল ও পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) শয্যা ফাঁকা না থাকায় ওই দুটি হাসপাতাল তাঁকে ভর্তি নেয়নি। এরপর তাঁকে হৃদরোগ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর আগে গত ৩১ মার্চ মান্নাকে কারাগার থেকে বারডেমে নেওয়া হলেও সিসিইউতে শয্যা ফাঁকা না থাকায় সেখানে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। ওই দিনই বারডেম থেকে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু মেডিকেল থেকে জানানো হয়, কারা কর্তৃপক্ষ এখানে ভর্তির বিষয়ে অনুরোধ না করায় তারা ভর্তি নিতে পারবে না। ওই দিনই মান্নাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
মান্নার আইনজীবী আবদুল মান্নান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বারবার বলছি, চিকিৎসকেরাও বলছেন, উনি গুরুতর অসুস্থ। ওনার হার্টে ব্লক ও উচ্চ রক্তচাপ আছে। বহুদিন ধরে উনি স্পন্ডিলাইটিসের রোগী। তার পরও তিনি সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না।’
আইনজীবী বলেন, এসব চিকিৎসা কারা হাসপাতালে নেই বলেই ওনাকে বাইরে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার দাবি জানানো হয়। উচ্চ আদালতও সেই নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তার পরও তা প্রতিপালনে এতদিন লাগার বিষয়টি দুঃখজনক।
মান্নার আইনজীবীরা জানান, প্রথম দফায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার পর তাঁকে দ্বিতীয় দফায় আরেকটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিন দিনের মাথায় অসুস্থ হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই তাঁকে আবার জেলে নেওয়া হয়। তখন থেকে অসুস্থ এই ব্যক্তিকে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল।
এদিকে মান্না সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করে আসছিল তাঁর পরিবার। চিকিৎসকেরা সিসিইউতে রাখার পরামর্শ দিলেও তাঁকে এক সপ্তাহ ধরে কারাগারে সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্য ও নাগরিক ঐক্যের নেতারা।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরের দিকে পুলিশ মান্নাকে কারাগারে নিয়ে যান। এই হাসপাতালের পরিচালক এস টি এম আবু আজম প্রথম আলোকে বলেন, মান্নার হৃদযন্ত্রের রক্তনালিতে আগে থেকেই ব্লক ছিল। হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে আসার পর তাঁর একটি ইসিজি করা হয়েছে। এতে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।
আজ বুধবার মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে মান্নার সুচিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও পরিচালক জানিয়েছেন।
মান্নার স্ত্রী মেহের নিগার প্রথম আলোকে বলেন, ২ এপ্রিল কারাগারে ওনার সঙ্গে সর্বশেষ দেখা হয়েছে। আজ জানতে পারলেন, উনি হাসপাতালে। এর আগে তাঁকে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে নেওয়া হলেও সিসিইউতে শয্যা ফাঁকা না থাকার কথা বলে কারাগারে পাঠানো হয়।
মান্নার স্ত্রী আরও বলেন, সিসিইউ না পেলে তাঁকে অন্তত কেবিনে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা যেত। কিন্তু অসুস্থ শরীরে তাঁকে বারবার কারাগারেই ফেরত পাঠানো হয়। এমনকি একজন বিশিষ্ট নাগরিক হলেও তাঁকে ডিভিশন না দিয়ে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে রাখা হয়েছে।
আইনজীবী মান্নান খান জানান, প্রবাসীর সঙ্গে টেলিফোন আলাপ ও উসকানির মামলায় জামিন আবেদন গতকাল মহানগর দায়রা জজ আদালত নাকচ করে দিয়েছেন। এখন তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। তাঁর মতে, কোন প্রবাসীর সঙ্গে মান্না ফোনে আলোচনা করেছিলেন, তাঁকে চিহ্নিত করা না গেলে মামলা গুরুত্বহীন হয়ে যায়। তা ছাড়া যে উসকানির অভিযোগ আনা হয়েছে, তেমন কোনো ঘটনা বাস্তবে ঘটেনি। এ ছাড়া এর আগে সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে কথোপকথন মামলায় রিমান্ডের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদনও আদালত খারিজ করে দেন।
No comments