সামনের মাসগুলোতেও অস্থিতিশীলতা চলবে -স্ট্র্যাটফোর
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসভিত্তিক বেসরকারি বৈশ্বিক গোয়েন্দা সংস্থা
স্ট্র্যাটেজিক ফোরকাস্টিংয়ের (স্ট্র্যাটফোর) বাংলাদেশবিষয়ক এক প্রতিবেদনে
পূর্বাভাস দিয়েছে, বাংলাদেশের দুই প্রধান প্রতিপক্ষ অনমনীয় থেকে যাবে।
অর্থনীতির বিরাট ক্ষতির আশঙ্কা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অস্থিতিশীলতা সামনের
মাসগুলোতেও অব্যাহত থাকতে পারে। অর্থনীতির ক্ষতি চলতি সংকট অবসানে কোন চাপ
সৃষ্টি নাও করতে পারে। তারা বলেছে, অর্থনীতির গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায়
বাংলাদেশ সংকট টানা তৃতীয় মাসে পড়েছে যা দেশটির বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ক্ষতির
কারণ। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এটি একটি জিওপলিটিক্যাল ইন্টেলিজেন্স
ফার্ম। এর প্রতিষ্ঠাতা জর্জ ফ্রাইডম্যান ১৯৯৬ সালে ফার্মটি চালু করেন। গত
২৭শে জানুয়ারিতে তাঁর লেখা বই ‘ফ্লাশপয়েন্টস: দি এমার্জিং ক্রাইসিস ইন
ইউরোপ’ বের হয়েছে।
ওই রিপোর্টের ভাষায়, ‘বিশেষ করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যকার রাজনৈতিক মেরুকরণ বজায় থাকবে। কারণ উভয়পক্ষ ধ্বংসের প্রান্তসীমায় পৌঁছানোর নীতিতে অটল আছে। বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তার, ক্রাকডাউন ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকির মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বিরোধী সমর্থকদের নিঃশেষ করতে চাইছেন। বিএনপি আশা করছে যে, তারা অর্থনৈতিক ক্ষতি আরো বহন করা কঠিন করে তুলতে পারবে, যদিও এর ফলে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও পশ্চিমা সরকারগুলোকে তার প্রতি বিমুখ করে তুলতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বারংবার বিরোধী দলকে সহিংসতা পরিহার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি গত ফেব্রুয়ারির শেষে তিনি সন্ত্রাস দমনে সাহায্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আর এই জায়গাটিতেই অন্তত আওয়ামী লীগ তার নিজের বিবেচনায় মনে করে সে তার প্রতিপক্ষ বিএনপির তুলনায় এগিয়ে আছে। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক, সন্ত্রাস দমনের উত্তম রেকর্ড এবং শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে তার চমৎকার সম্পর্ক থাকা- এইসব মিলিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার নিরঙ্কুশতম অবস্থানকে বজায় রাখতে অনমনীয় রয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, ‘বঙ্গোপসাগরের উত্তর তীরে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দরিদ্র দেশ। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন থেকে তীব্র রাজনৈতিক বিভক্তি, ঘন ঘন সামরিক হস্তক্ষেপ এবং দশকের পর দশক ধরে চলা অস্থিতিশীলতা এর ইতিহাস জুড়ে রয়েছে। অস্থিতিশীলতা দেশটিকে গরিব ও তার শ্রমিকদের মজুরি কম করে রেখেছে। এই প্রেক্ষাপটে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের এই জনপদে বস্ত্রশিল্পের বিকাশ ঘটেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত তার দুর্বল রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনার ভিকটিম। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সঙ্গে এর আগে যেটুকু সমঝোতায় গেছে তার অন্যতম চালিকাশক্তি হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা উভয়ে দেশটির পোশাক খাতের রপ্তানির সর্ববৃহৎ গৃহীতা। যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ইইউ অনুরূপ সুবিধা তুলে নিতে হুমকি দিয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের বিতর্কের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য সুবিধা খর্ব করেছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগ বিএনপির সঙ্গে সতর্কতার সঙ্গে যে রিঅ্যানগেঞ্জমেন্ট করেছে এবং তার ফলে দেশে অধিকতর রাজনৈতিক স্থিতির যে একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তাতে অবশ্য পোশাকখাতের জন্য কোন বাড়তি সুবিধা বয়ে আনেনি। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগকে স্বল্পসংখ্যায় যারা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল তার মধ্যে ভারত অন্যতম। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে বিদ্যুৎ আমদানি সংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং দু’দেশের মধ্যকার সমুদ্র সীমানা বিরোধের নিষ্পত্তি হয়েছে, যা বঙ্গোপসাগরের অনাবিষ্কৃত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। ঢাকা অবশ্য একইসঙ্গে চীনা ও জাপানি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতেও পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ যতই বৃদ্ধি পাক না কেন, শেখ হাসিনার সরকার তার প্রতিপক্ষ বিএনপির সঙ্গে এ পর্যন্ত কেবলই প্রতীকী ছাড় দিয়েছে। আওয়ামী লীগের পেছনে শক্তিশালী অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা থাকাটা বিবেচনায় নিয়েও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামী রয়েছে তারা নতুন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান ও শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে দেয়া কর্মসূচিতে অবিচল রয়েছে।
ওই প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, ‘সামরিক বাহিনী বারংবার ঘোষণা দিয়েছে যে, অচলাবস্থা নিরসনে তার পক্ষে কোন পদক্ষেপ নেয়ার কোন পরিকল্পনা নেই এবং আওয়ামী লীগ বিনিয়োগ বিলম্বিত হওয়া এবং অর্থনীতির পুনর্জাগরণকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিলেও নিজের অবস্থান আরো সংহত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই বাংলাদেশ তার চলমান সংকট থেকে কোন দ্রুত বা সহজ উত্তরণ দেখছে না।’
ওই রিপোর্টের ভাষায়, ‘বিশেষ করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যকার রাজনৈতিক মেরুকরণ বজায় থাকবে। কারণ উভয়পক্ষ ধ্বংসের প্রান্তসীমায় পৌঁছানোর নীতিতে অটল আছে। বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তার, ক্রাকডাউন ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকির মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বিরোধী সমর্থকদের নিঃশেষ করতে চাইছেন। বিএনপি আশা করছে যে, তারা অর্থনৈতিক ক্ষতি আরো বহন করা কঠিন করে তুলতে পারবে, যদিও এর ফলে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও পশ্চিমা সরকারগুলোকে তার প্রতি বিমুখ করে তুলতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বারংবার বিরোধী দলকে সহিংসতা পরিহার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি গত ফেব্রুয়ারির শেষে তিনি সন্ত্রাস দমনে সাহায্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আর এই জায়গাটিতেই অন্তত আওয়ামী লীগ তার নিজের বিবেচনায় মনে করে সে তার প্রতিপক্ষ বিএনপির তুলনায় এগিয়ে আছে। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক, সন্ত্রাস দমনের উত্তম রেকর্ড এবং শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে তার চমৎকার সম্পর্ক থাকা- এইসব মিলিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার নিরঙ্কুশতম অবস্থানকে বজায় রাখতে অনমনীয় রয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, ‘বঙ্গোপসাগরের উত্তর তীরে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দরিদ্র দেশ। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন থেকে তীব্র রাজনৈতিক বিভক্তি, ঘন ঘন সামরিক হস্তক্ষেপ এবং দশকের পর দশক ধরে চলা অস্থিতিশীলতা এর ইতিহাস জুড়ে রয়েছে। অস্থিতিশীলতা দেশটিকে গরিব ও তার শ্রমিকদের মজুরি কম করে রেখেছে। এই প্রেক্ষাপটে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের এই জনপদে বস্ত্রশিল্পের বিকাশ ঘটেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনও পর্যন্ত তার দুর্বল রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনার ভিকটিম। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সঙ্গে এর আগে যেটুকু সমঝোতায় গেছে তার অন্যতম চালিকাশক্তি হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা উভয়ে দেশটির পোশাক খাতের রপ্তানির সর্ববৃহৎ গৃহীতা। যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ইইউ অনুরূপ সুবিধা তুলে নিতে হুমকি দিয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের বিতর্কের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য সুবিধা খর্ব করেছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগ বিএনপির সঙ্গে সতর্কতার সঙ্গে যে রিঅ্যানগেঞ্জমেন্ট করেছে এবং তার ফলে দেশে অধিকতর রাজনৈতিক স্থিতির যে একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, তাতে অবশ্য পোশাকখাতের জন্য কোন বাড়তি সুবিধা বয়ে আনেনি। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগকে স্বল্পসংখ্যায় যারা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল তার মধ্যে ভারত অন্যতম। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে বিদ্যুৎ আমদানি সংক্রান্ত একটি চুক্তি এবং দু’দেশের মধ্যকার সমুদ্র সীমানা বিরোধের নিষ্পত্তি হয়েছে, যা বঙ্গোপসাগরের অনাবিষ্কৃত প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। ঢাকা অবশ্য একইসঙ্গে চীনা ও জাপানি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতেও পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ যতই বৃদ্ধি পাক না কেন, শেখ হাসিনার সরকার তার প্রতিপক্ষ বিএনপির সঙ্গে এ পর্যন্ত কেবলই প্রতীকী ছাড় দিয়েছে। আওয়ামী লীগের পেছনে শক্তিশালী অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা থাকাটা বিবেচনায় নিয়েও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট যার মধ্যে জামায়াতে ইসলামী রয়েছে তারা নতুন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান ও শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে দেয়া কর্মসূচিতে অবিচল রয়েছে।
ওই প্রতিবেদনের উপসংহারে বলা হয়েছে, ‘সামরিক বাহিনী বারংবার ঘোষণা দিয়েছে যে, অচলাবস্থা নিরসনে তার পক্ষে কোন পদক্ষেপ নেয়ার কোন পরিকল্পনা নেই এবং আওয়ামী লীগ বিনিয়োগ বিলম্বিত হওয়া এবং অর্থনীতির পুনর্জাগরণকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিলেও নিজের অবস্থান আরো সংহত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই বাংলাদেশ তার চলমান সংকট থেকে কোন দ্রুত বা সহজ উত্তরণ দেখছে না।’
No comments