নান ধর্ষণ তদন্তে বাংলাদেশে আসতে চায় পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি by পরিতোষ পাল
পশ্চিমবঙ্গের
রাণাঘাটের একটি কনভেন্ট স্কুলে লুটপাট ও এক নানকে ধর্ষণের ঘটনার তদন্তের
সুত্রে রাজ্যের সিআইডির গোয়েন্দারা বাংলাদেশে যেতে চাইছে। পশ্চিমবঙ্গ
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অনুমতি চেয়ে ভারতের
পররাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে নবান্ন সুত্রে জানা গেছে। এই
ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই একজন বাংলাদেশিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের
জেরা করে জানা গেছে, গত ১৪ই মার্চ কনভেন্ট স্কুলে লুটপাট ও ধর্ষণের ঘটনায়
যুক্তদের অধিকাংশই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে। তদন্তকারীদের
ধারণা, বাংলাদেশের দুষ্কৃতিদের একটি দল এই ঘটনায় জড়িত। এর আগে খাগড়াগড়
বিস্ফোরণ তদন্তে ভারতের এনআইএ-র একটি দল ঢাকা গিয়েছিল। গত বৃহষ্পতিবার
মুম্বাই থেকে সেলিম শেখ নামে এক বাংলাদেশিকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর
দিনইপশ্চিমবঙ্গের হাবড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গোপাল সরকার নামে এক
রাজমিস্ত্রিকে। তার বাড়িতেই বাংলাদেশি দুষ্কৃতিরা মাঝে মাঝেই জড়ো হত। ধৃত
গোপাল সরকারই ওই ষড়যন্ত্রের অন্যতম চক্রী বলে অভিযোগ করেছে সিআইডি।
রানাঘাটের ওই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের ঘটনার আগে ও পরে আশ্রয় দেয়া
ছাড়াও নানা ভাবে সাহায্য করেছিলেন গোপাল। তিনি লুঠ হওয়া টাকার ভাগ পেয়েছেন
বলে তদন্তকারীদের দাবি। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, পেশায় রাজমিস্ত্রি গোপাল
মাস খানেক আগে ওই স্কুলে মেরামতির কাজ করেছিলেন। স্কুলের ভিতরে সব ব্যবস্থা
তার নখদর্পনে ছিল। বাংলাদেশি দুষ্কৃতীর দলকে ওই স্কুলে ডাকাতির বিষয়ে
গোপালই পরামর্শ দিয়েছিল বলে সিআইডির দাবি। বছর দুয়েক আগে গোপাল বাংলাদেশের
খুলনা জেলার মনিরামপুর থেকে এসে হাবরায় বসবাস করা শুরু করেন। গোপালের
স্ত্রী অনিতার মেসোমশাই মিলন এই দুষ্কৃতী দলের মূল পান্ডা বলে গোয়েন্দাদের
ধারণা। সিআইডি সুত্রে জানা গেছে, মিলনও বাংলাদেশি। সে-ও মনিরামপুরের
বাসিন্দা। বছর দু’য়েক ধরেই হাবড়ার গোয়ালহাটির বাড়িতে মিলন-সহ অন্য
দুষ্কৃতীরা আশ্রয় নিত। শুধু উত্তর ২৪ পরগনাই নয়, কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি ও
দক্ষিণ ভারতের নানা জায়গায় ডাকাতির ঘটনায় এই দলটি জড়িত বলে মনে করছেন
তদন্তকারীরা। ধৃত দ’ুজনকে জেরা করে রাণাঘাটের ঘটনায় যুক্ত দুষ্কৃতীদের ভারত
ও বাংলাদেশে কোথায় কোথায় ডেরা রয়েছে, তার হদিস জানাার চেষ্টা করছে
গোয়েন্দরা।
তবে স্কুলের সিসিফুটেজে যে কজন দুস্কৃতির ছবি দেখা গেছে তারা সকলেই সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে চলে গিযেছে বলে তদন্তকারি গোয়েন্দাদের সন্দেহ। ধৃত দুজনের জেরাতেও সেই তথ্য উঠে এসেছে। ধৃত দুজনই বর্তমানে সিআইডি হেফাজতে রয়েছে। এদিকে এ ঘটনার তদন্তভার সিবিআই নিতে অস্বীকার করায় পশ্চিমবঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ হযেছেন বলে জানা গেছে। গত শুক্রবারই রাণাঘাটকান্ডে যে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে না, তা ভারত সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যকে।
তবে স্কুলের সিসিফুটেজে যে কজন দুস্কৃতির ছবি দেখা গেছে তারা সকলেই সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে চলে গিযেছে বলে তদন্তকারি গোয়েন্দাদের সন্দেহ। ধৃত দুজনের জেরাতেও সেই তথ্য উঠে এসেছে। ধৃত দুজনই বর্তমানে সিআইডি হেফাজতে রয়েছে। এদিকে এ ঘটনার তদন্তভার সিবিআই নিতে অস্বীকার করায় পশ্চিমবঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ হযেছেন বলে জানা গেছে। গত শুক্রবারই রাণাঘাটকান্ডে যে সিবিআই তদন্ত হচ্ছে না, তা ভারত সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যকে।
No comments