সোনারগাঁয়ে নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে বেহাকৈর খাল by মনিরুজ্জামান
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরের শত বছরের পুরোনো বেহাকৈর খালের মুখসহ প্রায় পুরো অংশ বাঁশ পুঁতে দখল করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সোনাপুর এলাকা থেকে তোলা ছবি l প্রথম আলো |
নিশ্চিহ্ন
হয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী
বেহাকৈর খাল। তিন কিলোমিটার দীর্ঘ খালের কোথাও ৫০-৬০ শতাংশ, আবার কোথাও
পুরোটাই দখল হয়ে গেছে। এই দখলদারির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন স্থানীয়
লোকজন। ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তারাও খাল দখল করে নির্মিত স্থাপনা অপসারণে
উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রাম থেকে শুরু হয়ে সাদিপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খালটি বিস্তৃত। এর মধ্যে সোনাপুরে খালটির প্রায় পুরোটাই দখল হয়ে গেছে। এ ছাড়া বাকি অংশেও দখল হয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।
এলাকাবাসী জানান, কয়েক বছর ধরে খালটি দখল চলছে। এর মধ্যে সোনাপুর অংশ দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে খালের মুখসহ প্রায় পুরো অংশ দখলের কারণে পানিনিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। খাল দখলের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন কাঁচপুর ও সাদিপুর ইউনিয়নের ৩০ গ্রামের লোকজন। তাঁরা খালটি দখলমুক্ত করার জন্য লাগাতার আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলনের মুখে স্থানীয় ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সরেজমিনে তদন্ত করে গত বুধবার উপজেলা সহকারী কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছেন।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, খালের ৪০ বিঘা খাস সম্পত্তি দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালীরা। ওই সম্পত্তির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১২০ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে দখলদারদের মধ্যে স্থানীয় নিউ স্টিল রি-রোলিং মিলসের মালিক সালাউদ্দিনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তিনি খালের জায়গা দখল করে একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া সোনাপুর গ্রামের আবদুর রউফ, ফারুক হোসেন, শহীদুল্লাহ, নুরু মিয়া, হাফেজ মিয়া, রফিকুল ইসলাম, কামাল হোসেন, তপু বাবুসহ ৪৯ জন দখলদার খাল দখল করেছেন।
জানতে চাইলে আবদুর রউফ, নুরু মিয়া ও রফিকুল ইসলাম বলেন, খালের পাশের জায়গার মালিক হিসেবে তাঁরা কিছু সরকারি জায়গা দখল করেছেন। এ বিষয়ে সংবাদ না লিখতে তাঁরা অনুরোধ করেন। আর একাধিকবার চেষ্টা করেও সালাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, খালের দুই পাশে বাঁশ পুঁতে বালু ফেলে ভরাটকাজ চলছে। স্থানীয় লোকজন জানান, আওয়ামী লীগের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে এই দখল উৎসব চলছে। সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম, আলমগীর কবির, সোহাগ কাজীসহ কয়েকজন জানান, চোখের সামনে খাল দখল চলছে। অথচ প্রশাসন শুধু নোটিশ দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে। তাঁরা দখলদারদের পাশাপাশি ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদেরও শাস্তি দাবি করেন।
বুধবার কাঁচপুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সুজিত কুমার চন্দ্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি চিঠিতে উল্লেখ করেন, এই খালের প্রশস্ত ছিল ২০ থেকে ৩০ ফুট। দখলদারেরা এর প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে। তিনি খালটি পুনরুদ্ধারে দখলদারদের উচ্ছেদের অনুরোধ করেন।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাছের ভূঞা প্রথম আলোকে বলেন, ‘খালটি উৎসব করেই দখল করেছে প্রভাবশালীরা। আমরাও উৎসব করেই তাদের উচ্ছেদ করব।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রাম থেকে শুরু হয়ে সাদিপুর ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খালটি বিস্তৃত। এর মধ্যে সোনাপুরে খালটির প্রায় পুরোটাই দখল হয়ে গেছে। এ ছাড়া বাকি অংশেও দখল হয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।
এলাকাবাসী জানান, কয়েক বছর ধরে খালটি দখল চলছে। এর মধ্যে সোনাপুর অংশ দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে খালের মুখসহ প্রায় পুরো অংশ দখলের কারণে পানিনিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। খাল দখলের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন কাঁচপুর ও সাদিপুর ইউনিয়নের ৩০ গ্রামের লোকজন। তাঁরা খালটি দখলমুক্ত করার জন্য লাগাতার আন্দোলন করে আসছেন। আন্দোলনের মুখে স্থানীয় ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সরেজমিনে তদন্ত করে গত বুধবার উপজেলা সহকারী কমিশনারের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছেন।
ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, খালের ৪০ বিঘা খাস সম্পত্তি দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন প্রভাবশালীরা। ওই সম্পত্তির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১২০ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে দখলদারদের মধ্যে স্থানীয় নিউ স্টিল রি-রোলিং মিলসের মালিক সালাউদ্দিনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, তিনি খালের জায়গা দখল করে একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া সোনাপুর গ্রামের আবদুর রউফ, ফারুক হোসেন, শহীদুল্লাহ, নুরু মিয়া, হাফেজ মিয়া, রফিকুল ইসলাম, কামাল হোসেন, তপু বাবুসহ ৪৯ জন দখলদার খাল দখল করেছেন।
জানতে চাইলে আবদুর রউফ, নুরু মিয়া ও রফিকুল ইসলাম বলেন, খালের পাশের জায়গার মালিক হিসেবে তাঁরা কিছু সরকারি জায়গা দখল করেছেন। এ বিষয়ে সংবাদ না লিখতে তাঁরা অনুরোধ করেন। আর একাধিকবার চেষ্টা করেও সালাউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, খালের দুই পাশে বাঁশ পুঁতে বালু ফেলে ভরাটকাজ চলছে। স্থানীয় লোকজন জানান, আওয়ামী লীগের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে এই দখল উৎসব চলছে। সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম, আলমগীর কবির, সোহাগ কাজীসহ কয়েকজন জানান, চোখের সামনে খাল দখল চলছে। অথচ প্রশাসন শুধু নোটিশ দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছে। তাঁরা দখলদারদের পাশাপাশি ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদেরও শাস্তি দাবি করেন।
বুধবার কাঁচপুর ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সুজিত কুমার চন্দ্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি চিঠিতে উল্লেখ করেন, এই খালের প্রশস্ত ছিল ২০ থেকে ৩০ ফুট। দখলদারেরা এর প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে। তিনি খালটি পুনরুদ্ধারে দখলদারদের উচ্ছেদের অনুরোধ করেন।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাছের ভূঞা প্রথম আলোকে বলেন, ‘খালটি উৎসব করেই দখল করেছে প্রভাবশালীরা। আমরাও উৎসব করেই তাদের উচ্ছেদ করব।’
No comments