নাইজেরিয়ায় আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস
কট্টরপন্থী
সংগঠন বোকো হারামের হামলায় জর্জরিত নাইজেরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট গুডলাক জনাথন কঠিন ভোটের লড়াইয়ে
নামছেন মুহাম্মাদু বুহারির বিরুদ্ধে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হবে
ভোটগ্রহণ এবং শেষ হবে বিকাল ৫টায়। স্বাধীনতার পর দেশটিতে এটিই সবচেয়ে কঠিন
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ
খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। ১৯৯৯ সাল থেকে পিপল’স ডেমোক্রেটিক পার্টি
(পিডিপি) নাইজেরিয়ার রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। তবে প্রধান
বিরোধী দল অল প্রোগ্রেসিভস কংগ্রেস (এপিসি) মোক্ষম চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে
পিডিপি’র প্রতি। এদিকে নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সহিসংতা
প্রতিরোধের ব্যাপারে একটি সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন দুই
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। ২০১১ সালে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল দুটির মধ্যে
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ের সময় এবং ভোটের পরে পাল্টাপাল্টি হামলা
ও সহিংসতায় প্রায় ৮০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন। গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভোট
অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও, পরে নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতির সময় দিতে তা
সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়। একই সঙ্গে নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বোকো
হারামের দখলকৃত কয়েকটি অঞ্চলে সরকারি নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্যও
সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়। এদিকে গতকাল নাইজেরীয় সেনাবাহিনী গোওজা শহরতলি থেকে
বোকো হারামকে হটিয়ে সেখানে নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। এ শহরতলিতে বোকো
হারামের সদরদপ্তর ছিল বলে ধারণা করা হয়। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।
নাইজেরিয়ার জনগণের প্রতি বিপুল সংখ্যায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি
আশা প্রকাশ করেন, প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে ‘স্বচ্ছ,
অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ’। এদিকে যিনিই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন
না কেন, তার সামনে থাকছে বোকো হারামকে নির্মূল করার চ্যালেঞ্জ।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ)
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছর এ পর্যন্ত বোকো হারামের হামলায় নাইজেরিয়ায় প্রায়
১,০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
No comments