আশুরার আমল by মাওলানা জিয়াউল আশরাফ
ইসলামী বর্ষপঞ্জি মতে, মহররম মাস হলো আরবি সনের প্রথম মাস। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে চারটি মাস সব মাসের চেয়ে ফজিলতপূর্ণ ও সম্মানিত। আর তা আল কুরআনের আয়াতে কারিমা দ্বারা প্রমাণিত। মহররম সেই চারটি মাসের মধ্যে অন্যতম মাস। অন্য তিনটি হলোÑ জিলকদ, জিলহজ ও রজব।আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঘোষণা করেন, আল্লাহ তায়ালা আসমান-জমিন সৃষ্টি করার দিন থেকেই মাসের সংখ্যা ও বার নির্ধারণ করে রেখেছেন। তন্মধ্যে চারটি মাস অধিক সম্মানিত। সুতরাং তোমরা এই সম্মানিত মাসগুলোর মধ্যে (ঝগড়াবিবাদ ও খুনখারাবি করে) নিজেদের ওপর জুলুম করো না। ওপরের আয়াতে এ কথা প্রমাণিত যে, মহররম মাসটি অত্যন্ত ফজিলত ও বরকতপূর্ণ মাসগুলোর অন্যতম। মহররম মাসের সম্মানের বিষয়ে রাসূল সা: বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর মাস মহররমের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে। কেননা যে ব্যক্তি মহররমের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে, তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত দান করে সম্মানিত করবেন আল্লাহ তায়ালা’ (মুসলিম ইবনে মাজা)। অপর হাদিসে রাসূল সা: এরশাদ করেন, ‘রমজানের রোজার পরই আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রিয় হলো মহররম মাসের রোজা’ (মুসলিম)।
অপর হাদিসে রাসূলে করিম সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি মহররমের প্রথম দশ দিন রোজা রাখে, সে যেন দশ হাজার বছর যাবৎ দিনে রোজা রাখল এবং রাতে ইবাদত করল’ (বায়হাকি)। মহররম মাসের সবচেয়ে উত্তম রোজা হলো ইয়াওমুল আশুরা তথা মহররমের দশ তারিখের রোজা। তবে যেহেতু ইহুদিরাও দশ তারিখের রোজা রাখে, তাই রাসূল সা: দশ তারিখের রোজার সাথে মিলিয়ে আরো একটি, অর্থাৎ মোট দু’টি রোজা রাখার কথা বলেছেন। নিঃসন্দেহে এই রোজা অনেক ফজিলতপূর্ণ, যা একাধিক হাদিস ও বুজুর্গানে দ্বীনের আমল দ্বারা প্রমাণিত। তবুও আমাদের মনে রাখতে হবে, এই রোজা ফরজ নয়। তাই যার যার ইচ্ছানুযায়ী এই দিনে রোজা রাখতে পারেন। না রাখলে কোনো গুনাহ হবে না। আজকের সমাজে অনেকে এই রোজা না রাখাকে মহাপাপ মনে করেন, যা চরম অজ্ঞতার পরিচায়ক। মহররম মাস যেহেতু পবিত্র ও সম্মানিত, তাই এ মাসে সামর্থ্য অনুসারে দান-খয়রাত, নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াতেরও বিশেষ ফজিলত রয়েছে। তাই এই মাসে এবাদতের প্রতি বিশেষভাবে মনোনিবেশ করা দরকার।
মহররম মাসে বিদআত : মহররম মাস আনন্দের মাস, আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করার মাস। নতুন বছরের শুরুর মাসেই নিজেকে সংশোধন ও সত্যের আলোয় রাঙানোর মাস। এখানে বিদআত তথা অতিরঞ্জিত কোনো কিছুর স্থান নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলোÑ আশুরাকে কেন্দ্র করে কিছু ভ্রান্ত মতবাদ সমাজে চালু আছে। যেমন তাজিয়া তৈরি, হোসাইন রা:-কে স্মরণ করার নামে মাতম করা অথবা অতি আনন্দে আলোকসজ্জা বা পটকা ফুটানো ইত্যাদি। এগুলো ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না। ইসলামের মতো সত্য ও সুন্দর ধর্মে এসব ভণ্ডামির কোনো আশ্রয় নেই। মহররম মাসে আমাদের উচিত সর্বপ্রকার কুসংস্কার ও বিদআত থেকে মুক্ত হয়ে কুরআন ও হাদিসের আলোকে এ মাসকে যথাযথ সম্মান করা এবং বেশি বেশি এবাদত করা।
লেখক : পরিচালক, মাদরাসা হাদিউল
উম্মাহ ইন্টারন্যাশনাল
অপর হাদিসে রাসূলে করিম সা: বলেন, ‘যে ব্যক্তি মহররমের প্রথম দশ দিন রোজা রাখে, সে যেন দশ হাজার বছর যাবৎ দিনে রোজা রাখল এবং রাতে ইবাদত করল’ (বায়হাকি)। মহররম মাসের সবচেয়ে উত্তম রোজা হলো ইয়াওমুল আশুরা তথা মহররমের দশ তারিখের রোজা। তবে যেহেতু ইহুদিরাও দশ তারিখের রোজা রাখে, তাই রাসূল সা: দশ তারিখের রোজার সাথে মিলিয়ে আরো একটি, অর্থাৎ মোট দু’টি রোজা রাখার কথা বলেছেন। নিঃসন্দেহে এই রোজা অনেক ফজিলতপূর্ণ, যা একাধিক হাদিস ও বুজুর্গানে দ্বীনের আমল দ্বারা প্রমাণিত। তবুও আমাদের মনে রাখতে হবে, এই রোজা ফরজ নয়। তাই যার যার ইচ্ছানুযায়ী এই দিনে রোজা রাখতে পারেন। না রাখলে কোনো গুনাহ হবে না। আজকের সমাজে অনেকে এই রোজা না রাখাকে মহাপাপ মনে করেন, যা চরম অজ্ঞতার পরিচায়ক। মহররম মাস যেহেতু পবিত্র ও সম্মানিত, তাই এ মাসে সামর্থ্য অনুসারে দান-খয়রাত, নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াতেরও বিশেষ ফজিলত রয়েছে। তাই এই মাসে এবাদতের প্রতি বিশেষভাবে মনোনিবেশ করা দরকার।
মহররম মাসে বিদআত : মহররম মাস আনন্দের মাস, আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করার মাস। নতুন বছরের শুরুর মাসেই নিজেকে সংশোধন ও সত্যের আলোয় রাঙানোর মাস। এখানে বিদআত তথা অতিরঞ্জিত কোনো কিছুর স্থান নেই। কিন্তু বাস্তবতা হলোÑ আশুরাকে কেন্দ্র করে কিছু ভ্রান্ত মতবাদ সমাজে চালু আছে। যেমন তাজিয়া তৈরি, হোসাইন রা:-কে স্মরণ করার নামে মাতম করা অথবা অতি আনন্দে আলোকসজ্জা বা পটকা ফুটানো ইত্যাদি। এগুলো ইসলাম কোনোভাবেই সমর্থন করে না। ইসলামের মতো সত্য ও সুন্দর ধর্মে এসব ভণ্ডামির কোনো আশ্রয় নেই। মহররম মাসে আমাদের উচিত সর্বপ্রকার কুসংস্কার ও বিদআত থেকে মুক্ত হয়ে কুরআন ও হাদিসের আলোকে এ মাসকে যথাযথ সম্মান করা এবং বেশি বেশি এবাদত করা।
লেখক : পরিচালক, মাদরাসা হাদিউল
উম্মাহ ইন্টারন্যাশনাল
No comments