গৃহবধূর মর্মান্তিক মৃত্যু- পুলিশ বাহিনী কী করছে আসলে?
ছিনতাইকারীদের কবলে রিকশারোহী নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু অপরাধের ভয়াবহতার প্রতীক। এর আগে গত রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঢাকা–যশোর মহাসড়কে বাস ডাকাতির সময় যাত্রীদের আহত-রক্তাক্ত করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাগুলো অপরাধীদের পাশবিক হিংস্রতার ইঙ্গিত দেয়। এ রকম ঘটনা আমাদের ব্যথিত, ক্ষুব্ধ ও ক্রুদ্ধ করে।
দিনে বা রাতে, যত্রতত্র ছিনতাই-রাহাজানি ঘটছে। ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনা গড়াচ্ছে রক্তপাত থেকে হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত। প্রায় কোনো ক্ষেত্রেই পুলিশের বাধাদানের উদাহরণ মেলে না। ঘটনা ঘটার পর পুলিশের বিজ্ঞোচিত বাণী ভরসার বদলে বিরক্তিই সৃষ্টি করে। এদিকে বুধবারের প্রথম আলো বলছে, শহর নারীর জন্য অনিরাপদ।
অপরাধ অপরাধই। তবু অপরাধের ধরনের মধ্যে উত্তরোত্তর হিংস্রতা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। মোটরসাইকেল, কার বা মাইক্রোবাসে করে তারা আসে, ছিনতাইয়ে অসুবিধা হলে হত্যায়ও তারা দ্বিধা করে না। ছিনতাইয়ে নিহত আয়েশা আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগই ছিনতাইকারীরা নিতে চেয়েছিল। প্রাণের মূল্যে হলেও তারা ছিনতাই সফল করতে চেয়েছিল। এবং তারা সফল। সুতরাং তারা সচেতনভাবেই খুনের জন্য দায়ী। এদের আটক করে বিচারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তিদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক, আপেক্ষিকভাবে নিরাপদ আবাসিক এলাকাসহ নিরাপত্তা কোথায় আছে? এত এত পুলিশ-র্যাব, কমিউনিটি পুলিশ তাহলে কী করছে? কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশের উপস্থিতিতেই এসব ঘটে। সুতরাং পুলিশ বাহিনীর চরিত্র ও তাদের পরিচালনার ধরন নিয়েও প্রশ্ন তোলা দরকার। রাজনৈতিকীকরণ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে একে ব্যতিব্যস্ত রাখা এবং দুর্নীতি পুলিশ বাহিনীর কার্যকারিতা নষ্ট করছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে, তা উপেক্ষার সুযোগ নেই। গৃহবধূর মর্মান্তিকভাবে নিহত হওয়ার ঘটনা জনমনে অসন্তোষ ও নিরাপত্তাহীনতার সঞ্চার করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টনক এখন না নড়লে কবে নড়বে? ছিনতাই, রাহাজানি, অপহরণ যে মাত্রায় বেড়েছে, এর জন্য সরকারের উদাসীনতার দায় মোটেই কম নয়।
দিনে বা রাতে, যত্রতত্র ছিনতাই-রাহাজানি ঘটছে। ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনা গড়াচ্ছে রক্তপাত থেকে হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত। প্রায় কোনো ক্ষেত্রেই পুলিশের বাধাদানের উদাহরণ মেলে না। ঘটনা ঘটার পর পুলিশের বিজ্ঞোচিত বাণী ভরসার বদলে বিরক্তিই সৃষ্টি করে। এদিকে বুধবারের প্রথম আলো বলছে, শহর নারীর জন্য অনিরাপদ।
অপরাধ অপরাধই। তবু অপরাধের ধরনের মধ্যে উত্তরোত্তর হিংস্রতা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। মোটরসাইকেল, কার বা মাইক্রোবাসে করে তারা আসে, ছিনতাইয়ে অসুবিধা হলে হত্যায়ও তারা দ্বিধা করে না। ছিনতাইয়ে নিহত আয়েশা আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগই ছিনতাইকারীরা নিতে চেয়েছিল। প্রাণের মূল্যে হলেও তারা ছিনতাই সফল করতে চেয়েছিল। এবং তারা সফল। সুতরাং তারা সচেতনভাবেই খুনের জন্য দায়ী। এদের আটক করে বিচারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তিদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়ক, আপেক্ষিকভাবে নিরাপদ আবাসিক এলাকাসহ নিরাপত্তা কোথায় আছে? এত এত পুলিশ-র্যাব, কমিউনিটি পুলিশ তাহলে কী করছে? কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশের উপস্থিতিতেই এসব ঘটে। সুতরাং পুলিশ বাহিনীর চরিত্র ও তাদের পরিচালনার ধরন নিয়েও প্রশ্ন তোলা দরকার। রাজনৈতিকীকরণ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে একে ব্যতিব্যস্ত রাখা এবং দুর্নীতি পুলিশ বাহিনীর কার্যকারিতা নষ্ট করছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে, তা উপেক্ষার সুযোগ নেই। গৃহবধূর মর্মান্তিকভাবে নিহত হওয়ার ঘটনা জনমনে অসন্তোষ ও নিরাপত্তাহীনতার সঞ্চার করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টনক এখন না নড়লে কবে নড়বে? ছিনতাই, রাহাজানি, অপহরণ যে মাত্রায় বেড়েছে, এর জন্য সরকারের উদাসীনতার দায় মোটেই কম নয়।
No comments