দৈনিক আজাদ উপমহাদেশ খ্যাত একটি বাংলা পত্রিকা
দৈনিক আজাদ উপমহাদেশ খ্যাত একটি বাংলা পত্রিকা। ১৯৩৬ সালের ৩১ অক্টোবর পত্রিকাটি কলকাতা থেকে আত্মপ্রকাশ করে। প্রখ্যাত সাংবাদিক মওলানা আকরম খাঁর উদ্যোগে ও সম্পাদনায় ‘বাংলা ও আসামের মুসলমানদের মুখপত্র’ হিসেবে দৈনিক আজাদ প্রকাশিত হয়। আট পৃষ্ঠার পত্রিকাটি তখন নিজস্ব রোটারি মেশিনে ছাপা হতো। এ সময় বার্তা সম্পাদক ছিলেন সাহিত্যিক মোহাম্মদ মোদাব্বের। পত্রিকা প্রকাশের সার্বিক দায়িত্ব পালন করতেন মওলানা সাহেব নিজে ও তার জ্যেষ্ঠ পুত্র মোহাম্মদ খায়রুল আনাম খাঁ। এ সময় পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আবুল কালাম শামসুদ্দীন ও নজীর আহমদ চৌধুরী। আর খায়রুল কবির ছিলেন এর ঢাকা প্রতিনিধি।
দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালের ১৯ অক্টোবর পত্রিকাটি ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। আজাদ তখন ছিল পূর্ববঙ্গের প্রধান দৈনিক পত্রিকা। ঢাকায় স্থানান্তরের পর আজাদের সম্পাদক হন আবুল কালাম শামসুদ্দীন। সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন মুজিবুর রহমান খাঁ ও আবু জাফর শামসুদ্দীন। বার্তা সম্পাদক হলেন খায়রুল কবির। কিছু দিনের মধ্যেই কাগজ সঙ্কটের কারণে পত্রিকার প্রকাশনা সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে অচিরেই পত্রিকার প্রকাশনা শুরু করতে হয়। ১৯৪৯ সালে ‘সাধু সাবধান’ শিরোনামে একটি সম্পাদকীয় লিখলে তা নিয়ে পূর্ববঙ্গ পার্লামেন্টে তীব্র বাদানুবাদ এবং আজাদের স্টাফ রিপোর্টারদের এর অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়। সরকার পত্রিকাটির বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয়। ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে আজাদ সাহসী ভূমিকা পালন করে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে পুরো ঢাকা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। দৈনিক আজাদ গুলিবর্ষণের নিন্দা জানিয়ে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছিল। সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক সভা বা পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন। স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের সময়ে বিভিন্ন কালাকানুনের বিরুদ্ধে অন্যান্য পত্রিকার পাশাপাশি দৈনিক আজাদ জোরালো প্রতিবাদ জানায় এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রতিবাদে ও ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলনে জনগণের পক্ষে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
১৯৬৯ সালে মওলানা আকরম খাঁর মৃত্যুর পর পত্রিকাটির মালিকানা ও কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। স্বাধীনতার পর দৈনিক আজাদ সরকারি ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু দিন প্রকাশিত হওয়ার পর আবার ব্যক্তিমালিকানায় ছেড়ে দেয়া হয়। দুঃখের বিষয়, ১৯৯০ সালে পত্রিকাটির প্রকাশনা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। বিক্রয় হয়ে যায় ঢাকেশ্বরী এলাকায় আজাদ পত্রিকার ভবনটিও।
দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ সালের ১৯ অক্টোবর পত্রিকাটি ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। আজাদ তখন ছিল পূর্ববঙ্গের প্রধান দৈনিক পত্রিকা। ঢাকায় স্থানান্তরের পর আজাদের সম্পাদক হন আবুল কালাম শামসুদ্দীন। সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন মুজিবুর রহমান খাঁ ও আবু জাফর শামসুদ্দীন। বার্তা সম্পাদক হলেন খায়রুল কবির। কিছু দিনের মধ্যেই কাগজ সঙ্কটের কারণে পত্রিকার প্রকাশনা সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে অচিরেই পত্রিকার প্রকাশনা শুরু করতে হয়। ১৯৪৯ সালে ‘সাধু সাবধান’ শিরোনামে একটি সম্পাদকীয় লিখলে তা নিয়ে পূর্ববঙ্গ পার্লামেন্টে তীব্র বাদানুবাদ এবং আজাদের স্টাফ রিপোর্টারদের এর অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়। সরকার পত্রিকাটির বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয়। ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে আজাদ সাহসী ভূমিকা পালন করে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে পুরো ঢাকা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। দৈনিক আজাদ গুলিবর্ষণের নিন্দা জানিয়ে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছিল। সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক সভা বা পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন। স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের সময়ে বিভিন্ন কালাকানুনের বিরুদ্ধে অন্যান্য পত্রিকার পাশাপাশি দৈনিক আজাদ জোরালো প্রতিবাদ জানায় এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রতিবাদে ও ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলনে জনগণের পক্ষে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
১৯৬৯ সালে মওলানা আকরম খাঁর মৃত্যুর পর পত্রিকাটির মালিকানা ও কর্তৃত্ব নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। স্বাধীনতার পর দৈনিক আজাদ সরকারি ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু দিন প্রকাশিত হওয়ার পর আবার ব্যক্তিমালিকানায় ছেড়ে দেয়া হয়। দুঃখের বিষয়, ১৯৯০ সালে পত্রিকাটির প্রকাশনা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়। বিক্রয় হয়ে যায় ঢাকেশ্বরী এলাকায় আজাদ পত্রিকার ভবনটিও।
No comments