ইঁদুরের কাছে পরাজিত
পাঁচ বছর ইঁদুর আর মানুষের যুদ্ধ শেষে
উচ্ছেদ হলো এক ডজন পরিবার। যুক্তরাজ্যের নিংস্টোন হাউজিং এসোসিয়েশনে এ ঘটনা
ঘটেছে বলে জানায় মিরর। ইঁদুরের অত্যাচারে তারা নতুন বাড়িতে গিয়ে উঠেছে।
পরিবারগুলোর অভিযোগ, পাঁচ বছর ধরে তাদের বাড়ির প্রতিটি আনাচে কানাচে,
দেয়ালের ফাটলে দৌড়াদৌড়ি করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় অসুবিধা তৈরি করেছে
দৈত্যের মতো বড় ইঁদুরগুলো।
ইঁদুর আতঙ্কে ঘর ছেড়ে যাওয়া ২২ বছর বয়সি জোদি স্ক্যানল্যান বলেন, আমার এবং আমার প্রতিবেশীদের বাড়ির প্রতিটি অংশেই ইঁদুরের জ্বালাতন ছিলো। এরা সারাক্ষণই দেয়ালের ছিদ্র দিয়ে দ্রুত ছুটোছুটি করতো। এটা ওটা উল্টে দিতো। রান্না ঘরের খাবার চুরি করতো। তিনি বলেন, ঈঁদুরের জ্বালাতন এতটাই অসহ্যকর ছিলো যে, তাকে ইঁদুরের আক্রমনে নস্ট হয়ে যাওয়া ঘরের জিনিসপত্র মেরামতের জন্য রীতিমতো কয়েকজন কর্মচারিও রাখতে হয়েছে। এ দূরবস্থার কথা পাঁচ বছর আগেই আমরা হাইজিং সোসাইটিকে জানিয়েছি। তখন ব্যবস্থা নিলে হয়তো ইঁদুরগুলো এতোটা বাড়তে পারতো না।
ইঁদুর আতঙ্কে ঘর ছেড়ে যাওয়া ২২ বছর বয়সি জোদি স্ক্যানল্যান বলেন, আমার এবং আমার প্রতিবেশীদের বাড়ির প্রতিটি অংশেই ইঁদুরের জ্বালাতন ছিলো। এরা সারাক্ষণই দেয়ালের ছিদ্র দিয়ে দ্রুত ছুটোছুটি করতো। এটা ওটা উল্টে দিতো। রান্না ঘরের খাবার চুরি করতো। তিনি বলেন, ঈঁদুরের জ্বালাতন এতটাই অসহ্যকর ছিলো যে, তাকে ইঁদুরের আক্রমনে নস্ট হয়ে যাওয়া ঘরের জিনিসপত্র মেরামতের জন্য রীতিমতো কয়েকজন কর্মচারিও রাখতে হয়েছে। এ দূরবস্থার কথা পাঁচ বছর আগেই আমরা হাইজিং সোসাইটিকে জানিয়েছি। তখন ব্যবস্থা নিলে হয়তো ইঁদুরগুলো এতোটা বাড়তে পারতো না।
দুই সন্তানের মা জোদি অভিযোগ করেন, তিনি তার সন্তানদেরকে নিয়ে এ বাড়িতে নিরাপদ বোধ করছিলেন না। ইঁদুরগুলো রাতের বেলা দেয়ালজুড়ে দৌড়াতো। বিছানা, মেঝেতে হুটোপুটি করতো। বাড়িজুড়ে ছিলো ইঁদুরের হাইচই। তাই তার সন্তানরা আতঙ্কে ঘুমুতে পারতো না। তা ছাড়া তার ছোট সন্তানের বয়ম মাত্র ২২ মাস। দৈত্যের মতো দেখতে ইঁদুরগুলোর সাথে এই ২২ মাস বয়সি সন্তানের আকারের খুব একটা পার্থক্য নেই। যে কোনো সময় ইঁদুররা তাকে কোনো দুর্ঘটনায় ফেলতে পারে।
তিনি বলেন, শুরুর দিকে ওদের উৎপাত কিছুটা সহ্য করা গেলেও, গত বছর থেকে এরা আমার বাড়ির প্রতিটি আনাচে কানাচে আস্তানা গেঁড়েছে। আমি কোনো যায়গায় পানি রাখতে পারতাম না। প্রতি বিশ মিনিট পর পর বিদ্যুৎ চলে যেতো। কারণ এরা বৈদ্যুতিক তারগুলো চিবিয়ে নস্ট করে দিতো।
জোদি বলেন, প্রতিদিনই ইঁদুরগুলোর সংখ্যা বাড়ছিলোই। অন্য অনেকেই বাড়িতে ইঁদুর দেখেছেন। তবে আমার মতো এমন অভিজ্ঞতা কারো হয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, যখন তার প্রতিবেশীরা মিলে ইঁদুরগুলোকে উচ্ছেদ করার জন্য লোক ভাড়া করলো। তখন সাময়িক উৎপাত কমে এলেও পরে আবার সেটা বেড়ে যায়। পরে ইঁদুরগুলো টয়লেটের পাইপ কামড়াতে থাকে। মাঝে মাঝেই টয়লেটের ফ্যাশও ছেড়ে দিতো।
ইঁদুরের সাথে পাঁচ বছর লড়াইয়ের পর পরাাজিত হয়ে গত সেপ্টেম্বরে তারা এলাকা ছেড়ে নতুন বাড়িতে চলে যান। এর আগে এই ১২টি পরিবার মিলে এক কণ্ট্রাক্টরকে বাড়িগুলো মেরামত করার জন্য বলেন। কিন্তু ইঁদুরগুলোর উৎপাতে মেরামতের লোকেরাও কাজ ফেলে পালিয়ে যায়।
তবে নতুন যায়গায় আবাস গড়া পরিবারগুলোর কয়েকজন বলছেন, তারা আবার বাড়িগুলো মেরামতের চেষ্টা চালাবেন। ফিরে যাবেনন নিজেদের পুরনো বাড়িতে।
অন্য দিকে পরিবারগুলোর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে নিংস্টোন হাউজিং এসোসিয়েশন। হাউজিংয়ের কাস্টমার এবং কমিউনিটি অপারেশনের পরিচালক মার্ক বেয়ার্ড বলেন, এমন পরিস্থিতির মুখে পড়ে অধিবাসিরা চলে যাওয়ায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। যে কোনো উপায়ে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো। আমরা নিশ্চিত বাড়িগুলোকে ইঁদুরমুক্ত করা যাবে।
No comments